Who am I ?

... no description fits me exactly. But i can say, i m always trying to find out what is the proper way to express myself and my thoughts. Like after the main course, u need a dessert... this is my mind dessert. Time passes on and so do my thoughts...i try to catch some of them and stick them here with letters, words, sentences and all other possible ways i know.

অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম একটু একটু করে লেখালেখি করি নিজের মত করে।কোন কারণে নয়, শখের বশে অহেতুক কিছু কথা লিখে জীবনের একটা দলিল করে রাখার মত আরকি...কিন্তু কিছুতেই আর হয়ে ওঠে না।সেটাই স্বাভাবিক কারন আমার মত অলস মানুষ কম ই আছে দুনিয়ায় ! অবশেষে একদিন শুরু করে দিলাম । মনের অনেক কথা , সামাজিক চিন্তা, নিজের মতামত কিংবা নিতান্তই আবোলতাবোল কিছু হয়ত লিখব। তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যেন কেউ আমার কথা তে আঘাত পেয়ে মাইন্ড না খায়...আমি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান,দল, গোষ্ঠি, সমিতি, জাতি, গোত্র, ধর্ম বা শ্রেনীকে কেন্দ্র করে, উপেক্ষা করে, কটাক্ষ করে, আঘাত করে, উদ্দেশ্য করে, ইঙ্গিত করে বা উস্কানী দিয়ে কিছু লিখবো না। তারপর ও যদি কেউ যদি আমার কোন পোস্ট দ্বারা মানসিক, সামাজিক, চারিত্রিক, বাহ্যিক, আন্তরিক (!), আর্থিক বা শারিরিক (!?) ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে (যা জীবনেও সম্ভব না, হলেও মানবো না !) তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে বিবেচিত হবে কারণ এই ব্লগ শুধুমাত্র ভারসাম্যহীনদের ভারসাম্যের প্রচেষ্টামাত্র...

আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...

সায়ন আনজীর
২০১০।

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

শিক্ষা কি ?

মাঝে মাঝেই মাথাতে একটা পোকা চাড়া দিয়ে ঠে-নিজেকে মনে হয় অথর্ব, অকাজের, বুদ্ধিহীন, ভীতু, জড় পদার্থ (সবগুলোই ঠিক!) তখন কোন কাজ ই ভাল লাগে না; মনে হয় “ধুর শালা, কি আছে “গীবনে” (মুরাদ টাকলা ধন্যবাদ)”। কিন্তু কেন মনে হয় তা বের করে নিজেকে তার চেয়েও বেশী অসহায় মনে হয়। বুঝতে পারি কতটা নিচে আমি। নিজের অজান্তে কতটা বিক্ষুব্ধ আর বিবেক বর্জিত আমি। আমার চারপাশের যা কিছু অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারীতা, তার দায় ত আমার উপরেও আছে। আমিও ত মুখ বন্ধ করে দেখেও না দেখার ভান করে দ্রুত হেটে পার হয়ে যাই যেন আমাকে জড়াতে না হয়...
সবচেয়ে বড় কথা, চারপাশের এত এত বিরামহীন নিয়মহীন অব্যবস্থাপনা, এর মূল কারন কি? শুধু শুধু আমরা সরকারি দল, বিরোধী দল, সাবেক বিরোধী দল, ধর্মীয় দল, নিরধর্মীয় দল ইতং বিতং নিয়ে কোন্দল করছি। আগে প্রচলিত ছিল, সরষের মাঝে ভুত; এখন ত paddy field এর ট্রাক্টরের diesel এ “কেরাসিন” !!! আমরা মোটামুটি আমাদের সবকিছুকেই একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। কি সেই শিল্প? বিবেকহীন অনৈতিক যুক্তিহীন শিল্প ! (যারা যারা বিমূর্ত শিল্পকলা ভেবে বসে আছেন তারা হাত তুলেন) আমরা এতটাই এই শিল্পের প্রেমিক, যে নিজেরা একের পর এক এই শিল্প তৈরী করেই চলেছি না বুঝেই।
আমাদের মাঝে কয়জন আছেন যারা রাস্তায় হাটার সময় footpath ব্যবহার করেন? যেখানে footpath নাই সেখানে রাস্তার পাশ ঘেঁসে হাটি? উত্তরটা দেওয়ার আগে আমাদের চিন্তা করে নিতে হবে, কারন আমরা কখনই এভাবে ভাবি না। অথচ গ্রাম থেকে শহরে আসা একটা মানুষ ঠিক ঠিক এই নিয়ম মেনে রাস্তায় চলে, সেটা গাড়ি চাপার ভয়ে হোক অথবা গাড়ি চাপা না পরলেও তার চালকের গালাগালির ভয়ে হলেও হতে পারে। কিন্তু তাকে আপনি কোনভাবেই বলতে পারবেন না সে নিয়মের লঙ্ঘন করেছে। আবার কয়েকদিন পরে, সেই গ্রামের লোকটাই যখন সরকারী কোন পদে আসীন হবেন, তখন তার ভাবের ফাপড়ে অন্যদের কাপড় নষ্ট হতে পারে ! শুধু সে-ই না, তার আত্মীয়-স্বজন সহ আশেপাশের লোকজন এমনকি বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাটে ফাঁপর দিয়ে বেড়ায়। যে মানুষ সারাজীবন (শুধু সারা জীবন না, তার বাবা, তার বাবা... আব্বে Banglalink এর এড !!!) নিষ্পেষিত হয়ে এসেছে, সে সমাজের প্রতি মজ্জাগত বিদ্বেষ প্রকাশ করবেই। আর সুযোগ পেলেই তার উসুল ও তুলবে । যেমন, ড্রাইভার নেমে এসে দরজা না খুলে দিলে গাড়ি থেকে নামবে  না... পিছনে জ্যাম লেগে যাক !!! একবার Green road Comfort hospital  এর সামনে বিশাল জ্যাম লাগিয়ে এক পতাকাবাহী গাড়ি থেকে এক ছ্যাঁচড়া (এর চেয়ে ভাল কিছু বলা সম্ভব না) নামলেন উনার ড্রাইভার দরজা খুলে ধরার পরে। আমি চিক্কুর দিয়ে বল্লামঃ “আহ হা ! কি কষ্ট, গাড়িটা ক্যান লিফটের মধ্যে ঢুকানো গেল না !!!” (পিছনে হাসির রোল পরে গেল) ছ্যাঁচড়া আমার দিকে আগুন দৃষ্টি দিয়ে তাকালো (ভাই, পুরা বাংলা ছবির ভিলেন ইষ্টাইল!) আর বেচারা ড্রাইভার ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে হাফ ছেড়ে বাচলো; নাহলে পাব্লিক পরিবার সম্পর্কিত গালাগালিগুলো ওকেই হজম করতে হত ।

আমি কয়েকদিন হল একটা ছোট initiative নিয়েছি। আমি যতটা সম্ভব গাড়ির হর্ন না বাজিয়ে চালানোর চেষ্টা করি। খুব অবাক করার মত বিষয়, আসলে হর্ন ছাড়া চালানো খুব কষ্টের কিছু না ! in fact, নিতান্ত বদ গোছের কেউ না হলে, আপনি অনায়াসে হর্ন ছাড়া চালাতে পারবেন। তবে হ্যা, high beam/deeper light ব্যবহার করতে হবে। আমি প্রায় প্রতিরাতেই বের হই আর অবাক হই, এই শহরের রিকশাওয়ালা পর্যন্ত লাইটের মানে বোঝে। গাড়ির deeper দেখে পথ ছেড়ে দেয়। আরও অবাক হয়েছি সিটি সার্ভিসের বাস (বিশেষ করে মিরপুর রুটের) যাদের side না দেওয়া আর “চাপ” মারার কুখ্যাতি আছে, তারাও deeper দেখে হাতের ইশারায় পার হয়ে যাওয়ার জন্য বলে অথচ হর্ন বাজালে ভ্রুক্ষেপ ও করেন না। গাড়ির প্রসঙ্গ যখন আসলই, তখন আরেকটা উদাহরন দেই; কয়েকদিন আগে এক ভদ্রগোছের অভদ্রলোক এর দেখা পেলাম। মিরপুরে সিএনজি পাম্পএ দাড়িয়ে আছি গ্যাস নেবার জন্য, লোকটি খুব সুন্দর করে আমার গাড়ি ঘেঁসে ঘেঁসে হেটে যাচ্ছে, এর মাঝে স্বভাবতই গাড়ি queue এ এগিয়ে যাওয়াতে শুধুই neutral থেকে gear  আ শিফট করাতে উনার ‘শইল্লে’ সামান্য touch মাত্র লাগে (honestly, ওইটা শুধু touch  বল্লেও বেশী বলা হবে, যারা জানেন তারা বুঝতেসেন) লোকটা পট করে দাড়িয়ে আমার ড্রাইভারকে যা তা বলা শুরু করে দিল, শুধু ওইটুকু হলেও চলত, কিন্তু যখন উনি গাড়ির side glass ধরে টানাটানি শুরু করে দিলেন তখন আমার দাড়িয়ে থাকাটা সম্ভব হল না-আমি তাকে বললাম, driver  এর পক্ষ থেকে আমি আপনাকে  sorry বলছি, আপনি এইভাবে glass টা ধরে টানলে তা ভেঙ্গে যাবে ! লোক টা একটা ছোট pause  দিয়ে আবার বলা শুরু করে দিল- শুধু sorry  বললে হবে নাকি? যখন দেখলাম উনি সমানে “ত্যানা” প্যাচাইতেছেন, তখন আমিও দিলাম একটু প্যাচ (আমার ত প্যাচ মারা স্বভাব আগে থেকেই) খুব মোলায়েম সুরে বললাম, আপনি ত footpath  বাদ দিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন তাই গাড়ি ত লাগিয়ে দিসে, কিন্তুক ! যদি আমার ছোট গাড়ি না হয়ে বাস বা ট্রাক হইত, then  এতক্ষনে ত aunty বিধবা হইয়া যাইত ! এইবার ব্যাটা মহা খেপে গেল কারন আমি তাকে আকারে-ইঙ্গিতে “মামা” বানায়ে ফেলসি! উনি বললেন- রাস্তা দিয়া হাটসিলাম মানে? আমি রাস্তা পার হইতেসিলাম!!! আমি বললাম- আপনি ত আরেকটা নিয়ম ভাংসেন, অই যে foot over bridge, আপনি অইটা ব্যবহার না করে এইভাবে রাস্তার divider ডিঙ্গায়া পার হইতেসেন, আপনার পোলা-মাইয়া দেখলে কি শিখবে???
এইবার আসি আসল কথায়ে, “শিক্ষা” কি?
আমাদের এত এত সমস্যা এত ঝামেলা তার কারন কি? আমরা ত দেশের শিক্ষা সূচকে অনেক বিশাল আয়তনে এগিয়ে গিয়েছি। এখন ত আমাদের দেশের ৭৮.৫৬% মানুষ শিক্ষিত (Wikipedia 2015 data, 61% according to UNESCO)! আমাদের দেশের গ্রামের স্কুলে পর্যন্ত কম্পিউটার আছে, ইন্টারনেট আছে (যদিও তা তে মূলত ফেসবুক দেখা হয় আর “আই এয়াম যুনাইদ” প্র্যাকটিস করা হয়)  যে দেশের মানুষ এর শিক্ষার হার এত, সেই দেশের অবস্থা এমন কেন?  উত্তরটা খোঁজার জন্য রকেট বিজ্ঞানী দরকার নাই, শুধু country ranking according to literacy rate এর দিকে তাকালেই চলবে। আমাদের মাঝের আমরা শুধুই দেখি “কতটা” শিক্ষিত “আমাদের” মাঝে। কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছি শিক্ষিত বলতে আমরা কি শুধুই একটা সার্টিফিকেট কে বোঝাচ্ছি কি না?
আমার মনে পরে আইবিএ-তে এনামুল হক স্যারের ইকোনমিক্স এর প্রথম ক্লাসের প্রথম কথা। উনি আমাদের কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, শিক্ষা কি? আমরা মোটামুটি মাথা চুল্কে চলটা তুলে ফেলসিলাম কিন্তু সঠিক উত্তরটা দিতে পারিনি। উত্তরটা হল, enlightenment , আলো ! “আমি এসেছি এখানে অন্যদের enlightened করতে। to give you thoughts of mind, broaden your thinking; স্যারের মুচকি হাসির ফাঁকে এই অমোঘ বাক্যটি সারাটা জীবন যেন জ্বলজ্বল করবে।
আসলেই কিন্তু তাই। শিক্ষিত সেই মানুষ, যার কাছ থেকে অন্য মানুষ কিছু শিখে। তার মানে এই না যে যেই মানুষটা সারাক্ষন অন্যদের “শিক্ষা” দিয়ে বেড়ান উনি মহা শিক্ষিত... (যার নজির আমরা দেখি, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় মাপের কোন অনুষ্ঠানে মহা সম্মানিত অতিথি আসেন কোন রকমে স্কুল পাশ করা মহান নেতা !!!) যে মানুষটির নিজের অজান্তে অথবা কাজের মাধ্যমে অন্য মানুষের মাঝে শিক্ষা প্রচারিত হয়, সেই শিক্ষিত। একটু ভাবেন ত, আমাদের কয়জন এভাবে চিন্তা করেছি? আমি ত প্রতিনিয়ত ভয় পাই, আমার বাজে জিনিসগুলো আমার সন্তান রা যেন না শিখে ফেলে। আমি জানি আপনারাও এভাবে সতর্ক থাকেন। কিন্তু নিজের সন্তান বাদে? অন্যদের ক্ষেত্রে?
আমাদের সমাজে অনেকে আছেন যারা বড়াই করেন, “আমি ত দুই যুগ ধরে বিদেশে থাকি, এই দেশের বাজে culture আমার মাঝে নাই” (খারান একটু হাইস্যা নেই...হাহাহা) বিদেশ এ থাকা টা যদি আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট-র মাঝে ফুটে উঠত তাহলে আপনি আর এই কথা বলতেন না !!! একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল,
এক বিয়ে বাড়িতে এক মহিলা এক লোককে দেখে বলছেঃ “আমি আমার বাচ্চাদেরকে যেভাবে বড় করছি তা দেখে যে কেউ স্বীকার করবে আমি কতটা modern”...
লোকটি জিজ্ঞেস করলঃ তাই? আপনি কি করেন?
ঃ আমি বিদেশে থাকি, আপনি?
ঃ অহ, আমি ঢাকা তে থাকি...
হাহাহা, কেউ হাসল না দেখে নিজেই হাসি, হাজার হলেও বিদেশে থাকা মানুষরা আমার সামনে নিদেনপক্ষে এইটাকে credit হিসাবে নেওয়ার আগে ৩/৪ বার ভাববে...(সায়ন যেই জিনিশ, অর সামনে না-ই বা বলি...) তবে বেশির ভাগ সময়ে, এই credit নেওয়াটা ঘটে supplementary ব্যাক্তি বর্গের মাঝে। মানে হল, যারা অন্যের উপর ভর করে বিদেশে গিয়েছেন-নিজের জন্য বা নিজের যোগ্যতায় না। যেমনঃ toilet cleaner কিনলে মগ free, লুঙ্গি কিনলে রুমাল free, সাবান কিনলে soap case ফ্রী, গাড়ি কিনলে এক কেজি পিঁয়াজ free... (রোজার দিন...) সেইরকম আর কি, জামাই বিদেশ গেসে-বউ ফ্রি তে গেসে...  
Credit নেওয়ার বিষয়টা যখন আসলোই, তখন আরও সুন্দর উদাহরন দেওয়া যায়, আমাদের এই সমাজে উপকারীর উপকার অস্বীকার করা একটা বিশাল credit এর ব্যাপার। শুধু তাই ই না, উপকারির অপকার করা ত celebrity পর্যায় পরে যায়! হয়ত, একটা ৭/৮ জনের সংসার চলত একটা মানুষের উপরে ভরসা করে, সেই মানুষটার নীরব কষ্ট স্বীকার করা উপার্জন থেকে সাহায্য নিয়ে চলত সেই সংসার; তার টাকায় ভর করা ভবিষ্যত, সংসারের ছোটদের- কিন্তু এক সময়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই সংসারের সবচেয়ে অবহেলিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষ সে-ই! কারন ততদিনে ভবিষ্যত তৈরী হয়ে গেছে, তাকে আর দরকার নাই। তার কষ্টগুলো তখন দেখা হয় বাতুলতা হিসাবে। এমন উদাহরন শুধু সিনেমাতে না, বাস্তবেও প্রচুর আছে। তথাকথিত “শিক্ষিত”, অথবা credit নেওয়া প্রবাসী পরিবারের মাঝেই আছে !
আমাদের দেশে আইন ভেঙ্গে বা নিয়ম ভেঙ্গে চলা কে ভাবা হয় খুব credit এর কাজ! রাস্তা তে মহা জ্যাম, উলটা পথে পু পু করে সাইরেন বাজিয়ে চলে যান, what a ভাব ! কোনখানে বিশাল queue? মাঝখানে ঢুকে বলেন, “জানেন আমি কে?” অত্যান্ত ভাব-বাচক ব্যাপার !!! কিন্তু আমরা এর উলটা টা চিন্তা করে দেখি না। যে মানুষটা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করল না, উপরন্তু, সেটা লুকিয়ে রাখার জন্য নিতান্ত সাধারন হয়ে চলল, অন্য মানুষ জানতে চাইবে, “উনি কে ভাই?” নিজের পরিচয় দিয়ে কাজ আদায় করার চেয়ে নিজের কাজের মাধ্যমে পরিচয় প্রচার কি বেশী ভাল না?
মহান স্রষ্ঠার কাছে, আমার বাবা-মা, বোন, স্ত্রী, পরিবার আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমি প্রতিনিয়ত কৃতজ্ঞ, পৃথিবীর অনেককিছু আমাকে তারা দেখিয়ে দিয়েছেন। কোনটা ভাল ভাবে, কোনটা কেন খারাপভাবে তার যুক্তি হয়ত আমি জানি না। কিন্তু তার প্রত্যেকটা আমাকে দিয়েছে অভিজ্ঞতা- শিক্ষা। আমিও যেন আমার সেই শিক্ষাটা একটু করে হলেও ছড়াতে পারি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, সেটাই কামনা করি । আর যাই হোক আমাকে গন্ড মূর্খ বলা ঠেকাতে হবে।
কে জানে, হয়ত সেটাই আসলে মানবসভ্যতার মূল উদ্দ্যেশ্য !

সায়ন

২১ জুন ২০১৬

রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

MarkeTHING

From the early days of history, when people used to exchange stuff; people tried to emphasize and highlight their own offerings with describing the features and benefits in various ways. Being involved into marketing for so many years now made me think sometimes how marketing has been evolving from time to time. Imagine the early days of marketing when a guy standing on the muddy banks of a river trying to exchange a fish he had caught with a piece of animal skin with another guy. Or even a person trying to show how his rocks being struck with the slightest effort can generate flames. Well done and precisely manufactured mindset.
Marketing is everywhere. A person entering school tries to be the good boy and be the teacher’s pet also does his marketing by portraying him/herself so gentle, polite and obedient. The backbenchers are on the other hand trying to exercise the oddest activities to prove that they have the guts to do the impossible and breaking the rules of all kinds. Self-marketing indeed. The corporate guy showing off his new car or elaborating his achievements to others is trying to impress to get into the “zone” for being a clans man. Even for a body builder who is spending (wasting!) his day and night to grow muscles to show is doing it for some sort of benefit. To me, marketing stands for some acts/tasks done to impress a potential person/entity to avail that act/task’s owner. (Now don’t try to search for this definition in any marketing reference as this is entirely my own opinion). Now imagine if there was no marketing at all. What would that be like?
There wouldn’t be any interviews at all. ‘Coz that is the very basic marketing showcasing that we all faced in some occasion of life. Now-a-days kids even face that entering the pre-school level as well. Although at pre-school it’s more like showcasing the parent’s power/ability of wallet and social stands. There would have been no ad firms. The people behind the art of making your product/service look like end of world decision not to avail. The people day and night banging their brains out to find a proper decent way to make you go for the product/service you don’t even bother to try for the next hundred years.
Imagine some gimmicks. It’s said widely in the TVC for Horlicks, it’s proved that this makes your kid ‘Taller”, “stronger” and “sharper”!!! Has it ever crossed your mind, which laboratory has proved this in which experiment and who have been taken as sample group? Try the internet and the result you will find is something you will never forget. Tang’s TVC says it has 100% vitamin C in it and during winter you should take it in hot water. If Tang is 100% vitamin C why are there so many other ingredient’s name written in the label? It should be written simply “100% vitamin C”. It is seen that the excess amount of heat can destroy Vitamin C completely. It should be preserved under the temperature of 70 degree Celsius to avoid the damage caused by the heat. High heat kills the enzyme ascorbic acid oxidase which is mostly found in fruits and vegetables. It happens due to the oxygen present in air. At high temperature, in the presence of sun light and oxygen present in air, vitamin C reacts and it is oxidized. Cooking in high temperature is also a cause for the destruction of vitamin C therefore food containing vitamin C should be cooked on low temperature. According to the laboratory tests, at 70 degree Celsius vitamin C is denatured. Vitamin C is the most unstable vitamin which can be easily denatured. Yet, the TVC says: “Gorom paani te Tang”. Then comes the obvious Fair and Lovely TVCs. If they were true, I would have been looking like Tom Cruise by now and no girl in the entire planet would have been brown skinned. (For me the case is different! Normally when you use a cream or body lotion the characteristics of that lotion transfers to your skin. For example: if you have oily skin you can use oil control lotion and you will not have an oily skin for a certain time. But for me it’s the other way round. The more I use whitening cream/lotions they take my skin’s characteristics in them and being adopted by my super black skin, I now use my lotions as my shoe shiner!!!)
Let me share a story with you. A farmer went to the market to buy a cow and when he reached the market he got caught by a very shrewd marketing specialist (!). The marketing guy was trying to sell a bicycle and pursued the farmer in many techniques. The more the farmer tried to stay on his goal the more the marketing guy was getting stronger on his point. At one stage, the marketing guy was saying: “listen my good fellow, if you buy this bicycle you can easily roam around with ease and think how smooth this cycle runs, not like the cow bouncing you off and on while you struggle to be on top.” The farmer was at the edge of his patience and replied: “Listen my friend, it would look uglier if I try to milk this bicycle instead of a cow…”
I being in marketing am very weak at self-marketing. I have been called dumb, fool and not-creative many times. I prefer to stay silent at times to understand things which many people think is me not understanding the whole thing all together (which is not entirely un-true as well….) I have been neither a notorious back bencher nor a front line goody boy tagged smart kid. Being a mediocre wasn’t a smooth journey for me – trust me on this and those who had similar experiences know for sure.
During my kid years, it was like after all the best guys getting their scores and flying colors it was my turn to try… In school I was like a follower and listener. I followed the guys who were intelligent and had the leader attitude. I listened to the teachers and parents scolding for the misdeeds the smart leader kids did. While other kids had fun with their peers I was like a jack of thousand peers yet master of none. I was in all circles of all levels of kids yet I did not belonged to any of them. Neither the kids thought I was a member of that circle as well.
When I entered my career life I realized people like me can work tough hours, day and night, without questioning against things and still get laughed at. It’s like a special breed of worker ants who suddenly by misfortunate events got a chair to sit that makes him a manager. Being less spoken when it comes to personal matters made me a “non-personal” person. A non-personal person is he who has no family life and could be easily cornered at any stage of work to get exploited. “If you have no time to finish your work, dump it on Scion, he will do it. If he says anything go and tell him I said him to do it-now let’s go have some fun!” Been there, did that and faced it with biting my teeth. Yet when it came to praise or show some credits, it wasn’t Scion. ‘Coz, Scion is the worker ant genre. The dumbest fool among fools who is there, will be there and if he is not there, call him over his cell phone and make sure he stays there even if he has nothing to do. My superiors have been making semi frowning faces and elaborated in details how I just screwed up a massive mess up but as a rule they were trying to do me a pity favor by promoting me with a small peanut raise! No matter how the company culture is, when it comes to “Boss” it’s more or less equal to the prophet. Irrelevant to whether the company is a multinational or a local one, people matters. I won’t say all the people I worked with or worked for are cruel monsters, yet the shadows they had around them or under them sometimes grew bigger than them even without them knowing.
My life’s story in a nutshell has been pretty much like that. Pushed aside, sidelined, neglected or overlooked- whatever can be done is there. Then one day I overheard an aunt (neighbor) who came at our house to invite my mom for her son’s wedding. She was over the moon and was saying: “You know, my son is such a good boy. During his school years I took him to school and he never missed a class. He was such a brilliant boy. The time when I returned with him from school he never even wanted to have an ice cream. Then when he went to college I was bound to buy a car for his transport. You know how dangerous the streets are and a good boy like him can easily become a victim of anything if being in the open-so my driver was always with him taking care of him. After grad years his father took ownership and my son entered a renowned company headed by his dad’s friend. He became such a man!!!”
Listening to this it suddenly struck me like a thunder from paradise! If that poor fellow being “babysitted” his entire life and still be the “MAN” then where do I stand? I really had more than enough what this “MAN” hasn’t even thought of in his darkest nightmares. I am still the same Scion but I do not take anything for granted now. It’s enough trying to be the good guy and it’s time to be myself. Ask for myself and justify myself until being served with justice.
And I really am proud and lucky that at last I feel that I have found my right path to ascend now, where I do not need to think about self-marketing rather my created product/service’s marketing to reach the light that is at the wildest distance. So who cares about marketing rather let the market come to you!!!

-Scion

23 Oct, 2015

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৫

Evolution

Since my childhood I have seen the power of student unity in various aspects of life. The students of this country have always taken the first step for any movement that we have seen in the pages of history. Probably being brought up in a university campus gave me the extra exposure to have the raw insights that was quite intriguing for anyone of that age. But I also observed the slow evolution of the student unity transforming into student political unity! Whether that’s a good thing or bad is beyond my ability to judge and also I don’t want to die early.
It all started for me when it was the great 90s with the movement against president Ershad. I saw how students got united disregarding their political affiliation. How they torched the railway tracks yet stood there with a red flag to stop the train from getting into harm. I saw how students asked the passengers humble to get off the bus before setting it on fire. I saw how they entered school classrooms and asked most gently the teachers to stop taking classes. At night I used to hear strange sounds. I had to ask one of my uncles who was a university student at that time what the sound was about. He replied with a great expert look on his face: “Those are gunshots. “They” are practicing. “They” are also making sure that everyone else knows that “they” got arms and be careful.”   - Never got the guts to ask who these “they” were. Then I saw the victory of student unity. Celebrations with sweets. I saw a fair and sound election. Then I saw the people who shared sweets running with sharp objects to beat each other.
During my college years, it never crossed my mind to enter politics neither to think about it. Although our college was politics free yet there were always groups who were involved in local political factions. I saw some classmates carrying pistols in their socks. (Oh God Almighty knows what they were carrying in their undies if only socks itself had pistols!!!) Then there was this incident that made me shake up a bit.
I wasn’t a great idol good boy but was renowned for my unusual stings and unconventional wickedness that sometimes even the teachers had to deal with. (for example: even I once called the principal a goat loud enough in open without knowing she was just next to me). So, it was a sunny morning. I was entering the college with my mountain bike that I used to roam around. On the ramp, there was this guy who used to be a “Pota” (“pati”+ “neta” = Pota; wannabe big shot leader). As I was trying to push the bike up the ramp he looked at me as if I was trying to push him off a cliff and with a vacant “gurgle-ish” voice asked me- hey take the cycle off the ramp and carry it over the stairs.” I was dumb founded thinking I was wrong or maybe I heard him wrong. Asked him, “Hey Dude ! (Now calling them “dude” is very insulting itself which I did not know at that time, they prefer to be called by “Big bro”-Borovai!), this ramp is for cycles, why don’t you just move an inch so that I can get up? (Now asking them to move? That’s beyond the manners for a commoner to a Wannabe big-shot). His reply came like a thunder: “did you take something?” (Referring to drugs!!!’Coz he never thought I was in normal state to ask him to move!!!). As always, the great Scion replies with the usual sting in the ass: “if I had taken anything, I would had been sitting on the ramp and asked others to use the stairs to pull up their bikes!!!” after that I simply entered the class. After the whole day of classes, when I was coming out from the college building, a guy came to me and asked me that “that” “Pota” is calling me to talk with him. Asking my other friends on the same route to wait a bit I went towards the back of the building. Even then nothing came into my mind as I had no dimension of thinking in this way negatively ever before. Just when I turned the curve I saw 3 or 4 guys with some “things” in their hand along with the Pota. The Pota came forward and started to push me. Using very offensive not-writable words with a physical push was too much at that moment for a poor tame college guy like me. When push comes to shove everyone revolts. So did I! Even before the Pota could imagine, I started punching and kicking him with all I have and fled the scene as soon as possible as I knew if they get hold of me, I would be nothing but a punching bag !
The following day was a horrific one. I explained the details to my parents and got grounded. My dad went to college and I also followed him after a while. I noticed a quite handsome number of goons around the campus who have been asked to “teach me a lesson”. Local security authority was informed as well as local political influential personnel.
After many more days passing by, I finished my grad school years, my post grad years. Yet I am constantly and intentionally biased to be rigid and reserved to express my political views. The moment I forget this or unintentionally cross the mental border I set for myself I find I move inside an argument where I feel out casted. Some people think I am mentally imbalanced. Some think I am against them (No matter which political party they support) and some even think I am not a Bangladeshi at all. (How pathetic!).
To me, this is my motherland. No one is more proud than me if you ask me of this country. But if you ask why I am proud of? I can’t reply. Because this pride comes from my veins-it’s my instinct. There are no reasons to be this much proud yet I am. Indians think we are bangla speaking people who deviated from the spirit of being “Bangla”. Pakistanis think we are muslims who are deviated from Islam. My point is, we are not a mix of India neither Pakistan. The mixture that you see is something unique and that uniqueness is called being “Bangladeshi”. It’s a pity that even after so many years we ourselves have never tried to uphold this uniqueness. Rather we always try to find the attachment of our uniqueness towards others adjacent cultures. The identity crisis that we are moving through is created by ourselves.
The incident that I mentioned was a glimpse of how student unity moved to student politics towards benefits for politics aka benefit for political backed people. What’s the result of this? The recent movement against Vat on education of private universities made me think once again of those golden days. When the ethics was stronger than logics. Morality stood on top of everything and we respected each other’s own spaces.
The political factions are just using the brilliant brains of this country to ruin the development of a happy peaceful nation. Each and every person who is academically a student is meritorious. Injecting the logics of a certain interest group in the name of being liberals, being soldiers of Islam, being atheist or open to religion, being in the side of the spirit of liberation war etc. All are same. If I launch a television channel and transmit Islamic programs the whole day and night it does not make my channel Islamic TV unless I morally and spiritually belief in Islam. Same goes to this, there are options for students and the demo that runs behind those option written doors are full of wealth and power. Actually it’s all vacant and null.  
Coming to the end, let me open your mind once again. The political parties say they are here for the benefit for people and for the welfare of society and country (huh?!). How many political parties have you seen has implemented their student wings to make even a single road stay neat and clean? Why isn’t there a movement against clean streets of the city? Why haven’t the student wings deployed their boys to control the jaywalkers in the busy streets of the city? Why there is no political mass movement for stopping motorbikes to stop using the footpaths?

There are thousands of causes that are for our benefit. No one moves for these other than the social entities/NGOs. Why? Because of they felt it more than us? No, because they know how to control a big market with minimum efforts. And we the mango people are very good at carrying orders instead of asking the reason of it.  

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

সাংবাদিক নাকি সাংঘাতিক

বাংলাদেশের একটি খুব শক্তিশালী সম্প্রদায় আছে- “সভ্য সুশীল” সমাজ। শক্তিশালী বলছি এই জন্য যে তারা মোটামোটি প্রতি রাতেই টিভি চ্যানেল গুলোতে বক্তব্য দিয়ে সাউন্ড সিস্টেম ফাটিয়ে দেন। “হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা, পিটিয়ে ছাগল man  করেঙ্গা”-টাইপ আরকি ! আমার এই লেখা এই সমাজ কে নিয়ে নয়, বরং যারা এই সমাজকে তৈরি করছে তাদের কে নিয়ে।কারা এরা? এরা আমাদের দেশের সাংবাদিক সম্প্রদায়! একই লোককে তারা কখনো রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ, কখনো অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ, কখনো সামাজিক বিশেষজ্ঞ, কখনো ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ, কখনো কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ আবার কখনো বিশ্ব বিশেষজ্ঞ হিসাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন। ভাব দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা সবাই ঢেউটিন আর উনারা যাকে আনবেন সেই অহীপ্রাপ্ত!!!

আমি বলব না যে সবাই এক, আবার এও বলব না যে কেউ ই ঠিক নাই। শুধু বলব, খারাপ ব্যাপারগুলো চোখে পড়ে সহজে আর এক ঝুড়ি আমের মধ্যে পচা আমটা না সরালে অথবা আলাদা না করলে, দোষটা বাকি সবার উপরেই সমান ভাবে পড়ে। কিন্তু  whistle blower কেউ ই কি নাই? দুঃখটা ঐখানেই... 

জাতির বিবেক নাকি সাংবাদিকের কাঁধে থাকে। তারা আমাদের সভ্যতার পথ দেখান এবং আঙ্গুল তুলে অসঙ্গতি তুলে জবাবদিহিতার ব্যাবস্থা করেন। কিন্তু উনারা কি এসবের বাইরে? নাকি ওনাদের কোন জবাবদিহিতা নাই? কয়েকটা নাড়া দেওয়া ঘটনা অথবা উদাহরন নিয়ে দেখি-

১. গাড়ি পোড়ানোর ছবি- খুব সুন্দর ও অমায়িক ভাবে তারা সেই ছবি সংগ্রহ করেন। অনেকটা টিউটরিয়ালের মত করে step by step ছবি দিয়ে দেখান কি করে পেট্রোল ঢালতে হয়, আগুন লাগাতে হয়... ভাল ত ! কিন্তু আমার কথা হল exact timing করে সেই ছবি তোলা কি করে সম্ভব? নাকি আগুন দেওয়ার আগে pose দিয়ে তারা দাড়িয়ে ছিল যেন photographer  ছবিটা তুলতে পারে? সব মেনে নিলেও এটা মানতে কষ্ট হয়, তাহলে কি আগুন লাগানর পরে সেই সাংবাদিক অপেক্ষা করেন কতক্ষনে অই গাড়ীটা ভস্মীভূত হবে? নাহলে কেন সেই আগুনটা ছড়াতে দেওয়া হয়???

২. শুধুই রানার?- কেঁদে কেঁদে আহাজারি করা মানুষের পাশে দাড়িয়ে যখন সাংবাদিক নামের মানুষটা মাইক্রোফোনটা এগিয়ে দিয়ে বলে-“আপনার অনুভূতি টুকু জানতে চাই” কিংবা জীবন যুদ্ধে সর্বস্ব হারানো মানুষটির ভাবলেশহীন অবয়বের পাশে দাড়িয়ে যখন কাব্যযুক্ত আফসোস বাক্য কপচান, তখন তাকে আমাদের বিবেক ভাবতে লজ্জা লাগে। শুধুই কি তারা এপাশের খবর অপাশের খবর আমাদের প্লেটে এনে দিবেন? নাকি তাদের ও কোন দায়িত্ববোধ আছে? খবরের এই অংশটুকু করেই যদি সাংবাদিক হতে পারে কেউ, তাহলে তাকে সাংবাদিক না বলে – সংবাদ wholesaler বা জোগানদার বলা ভাল। কয়টা ক্ষেত্রে আপনি দেখেন সেই কাব্য কপচানোর পরে ওই অসহায় মানুষটির ভাগ্য বদলাতে? কিংবা কোন অসঙ্গতির follow up করতে? সে লোকটি সেখানেই থাকে, কান্না বাড়তেই থাকে, মাঝখান থেকে সাংবাদিকটি তার একটি সংবাদ প্লট পান। কোন কিছুই বদলায় না।

৩. যত মত, তত গত- সব সংবাদেই শুনি বা দেখি, “এ ব্যাপারে অমুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন...” “নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে...” অথবা “এলাকা বাসীর ভাষ্যমতে...” এর মানে দাঁড়ায়, সংবাদটি সম্পর্কে সত্যটার কয়েকটা version আছে। এবং সেটা আমাদের সামনে লেংটা করে আবারো প্রমান করা হল। কিন্তু সত্য কখনই একাধিক হবে না। তাহলে সেখানে সাংবাদিকের মত বা ভাষ্যটা কোথায়? সে কি ভাষ্যটা দিতে ভয় পাচ্ছে? নাকি সে আবার সেই জোগানদার? প্রকৃত সত্যটা সাংবাদিকের নির্ভয়ে প্রকাশ করাটাই বিবেকের কাজ। এক্ষেত্রে বিবেক বড়ই যন্ত্রনাদায়ক হয়ে ওঠে।

৪. আসমানে তোলা- খুব বেশি হয় আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে। যখনই একটু ভাল করা শুরু করে তখন ই শুরু হয়ে যায় তার সাথে মহাগুরু ইতং বিতং বিশেষনের আধিক্যে আসল নাম হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সাদা বাংলায় যাকে বলে pump দেওয়া !!!pump এর চোটে আসমানে উঠে গেলে পরে যখন pump বন্ধ হয়ে যায় তখন সেই খেলোয়াড়টি মাটিতে পড়ে হাড়গোড় ভাংতে বাধ্য !!! উলটা ঘটনাও ঘটে- বিশেষজ্ঞ দের বিশেষজ্ঞ বনে যান সাংবাদিকরাই। ওর দিন শেষ, ওকে সরানো হোক ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু ভাল করা শুরু করলেই নম নম। এটা শুধু আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য না, মোটামুটি সারা বিশ্বেই আছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা খুব extreme যা অনেক খেলোয়াড়ের জন্যই কষ্টকর।

৫. বিবেকের আয়না, চেহারা দেখা যায়না- খুবই হতাশাজনক একটা দিক। সাংবাদিকরা যদি সমাজের আদর্শবান বিবেকের আয়না-ই হবেন, তাহলে তাদের কে দেখেই অন্যদের অনুসরন করা উচিত। sticker লাগিয়ে wrong side দিয়ে চলা, number plate এর জায়গায়ে “প্রেস” লিখে বেড়ানো, প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে ধূমপান করে বিরক্তির উদ্রেক ঘটানো ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাবুন ত একবার।

আগাড়ে-বাগাড়ে এখন নতুন trend হল online news site/portal খোলার। সেই খবর আদৌ সত্য কিনা সেটা পরে দেখা যাবে অবস্থা...
কোথায় যেন একটা কাহিনী পড়েছিলাম, ব্রিটিশ আমলে এক গ্রামে রামায়ন পালা চলছে। স্থানীয় থানা থেকে ইংরেজ সাহেব এসেছেন বাঙ্গাল পালা দেখে মজা নিতে। পালা শুরু হল। সবাই মন প্রান দিয়ে অভিনয় করছে। সাহেব কিছুই না বুঝের উশখুশ করছেন। এই সময়ে stage এ ঢুকল হনুমানজি। সাহেব ত হনুমানকে দেখে খুব খুশি। সাথে সাথে টাকা ছুঁড়ে দিলেন আর তালি দিয়ে গরম করে ফেললেন এলাকা। পালাকর দেখল বাহ, ভাল মওকা। সাথে সাথে আরেকজন কে হনুমানের সাজে stage এ তুলে ফেললেন। সাহেব দ্বিগুন খুশি, আবারও টাকা নিক্ষেপ আর তুমুল তালি... “more honu more honu” বলে চিৎকার... এরপর একে একে সব অভিনেতা অভিনেত্রী লেগে পড়ল হনুমান সাজে stage এ উঠতে আর টাকা কুড়াতে। টাকার নেশায় রাম হারিয়ে সব হনুমান হয়ে গেল।   

আমরা আমাদের মাঝের রাম কে হারিয়ে ফেললাম না ত?

-সায়ন আনজীর ২/১২/২০১৩

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৩

Trapped inside the Box !

আমাদের কিছু কিছু অতীত আর কিছু জ্বালাময়ী বর্তমান আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলে।কিন্তু একটি জাতি হিসাবে আমাদের পাওয়া কিংবা আমাদের চাওয়ার পরিমান কি বা আদৌ আছে কিনা জানিনা। আমেরিকানরা চায় মঙ্গলে বাড়ি বানাতে আর আমরা এখন ভাবি বাসায় গেলে কারেন্ট থাকবে ত ?! পৃথিবী বসে নেই-আমাদের মাঝে যারা বসে আছে তারা হয় অলস নয়ত আহাম্মক ! আমাদের চিন্তার মাঝে অপুষ্টি ঢুকে গেছে।আমরা আমাদের box এর বাইরে চিন্তা করে দেখি না বা চিন্তা করতে পারিনা।আমি নিজেও পারিনা।আমরা দিনরাত কামলা খেটে যাই আর ভাবি অনেক কিছু করে ফেলেছি।কিন্তু একবার ও ভাবি না আমরা working hard but not working smart

সুদূর ইতিহাস থেকে নেয়া শিক্ষায় দেখি- পাকিরা আমাদের মনে করে বিচ্যুত মুসলমান। আর হিন্দুস্তানিরা মনে করে বিচ্যুত বাঙ্গালী ! এই স্বকীয়তাটাকে আমরা আমাদের বৈশিষ্ট্য করতে পারি নাই উলটা আমাদের নিজেদেরকে সংকর খেতাব দিয়ে ফেলেছি । আমাদের মাঝে এখন নাই কোন সহনশীলতা বা আরেকজন কে নুন্যতম প্রশ্রয় দেওয়ার স্থান। একদল আম্লীগ আম্লীগ করে জাতির জনক কে brand বানিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেসে।আরেকদল শহীদ জিয়া জিয়া করে মরগিয়া অবস্থা ! নিজের সাথে নিজের এই ভন্ডামী আর কতদিন চলবে? আমাদের কেউ কি গোড়া বা সম্পূর্ণ ভাবে কোন পক্ষের জন্য নিবেদিত প্রান? নাকি নিজের অবস্থান অনুযায়ী সুবিধাজনক স্থানে থাকার জন্য নিবেদিত? ভোল পালটে ফেলতে কার কত কম সময় লাগে তা আমরা আদিকাল থেকে দেখে আসছি।এ আর নতুন কি? কিন্তু আমার কথা সেখানে না? আমার কথা হল আমাদের নিজেদের মাঝের মজ্জাগত ভেজাল নিয়ে। আপনি নিজে বাসা থেকে বের হয়ে যদি নিজের বাসার সামনে ময়লা দেখে না দেখার ভান করে চলে যান, আপনি যদি প্রকাশ্য দিবালকে এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে নাক ঝেরে রাস্তায় হলুদাভ সর্দি ফেলেন, আপনি যদি ভরা বাজারের মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে সিগারেট কিনে পিছনে জ্যাম বাধিয়ে ফেলেন, আপনি যদি প্লাস্টিক বোতলের সুস্বাদু কোমল (কঠিন) পানীয় পান করে সুন্দর করে রাস্থার মাঝখানে বোতল ছুড়ে টারগেট practice করেন, আপনি যদি জ্যাম দেখলেই wrong side দিয়ে রিকশা জাবার জন্য রিকশাওয়ালা কে ঝাড়ি লাগান তাহলে যতই চিল্লাই না কেন, আজ আপনি আমাকে সম্মান করলে, কালকে আপনিই আমাকে জুতা মারতে আসবেন। কারন আমাদের মাঝে এই শিক্ষাটুকু এখনো আসে নাই। আমাদের সম্মান ব্যাপারটা শেখার বাকী আছে। আমরা এখনো জাতি হিসাবে অপরিপক্ক।
আমরা মনে করি সম্মান বাজারে পাওয়া যায়। এবং এই ব্যাপারটার সাথে টাকা যুক্ত! সেলুকাস কে ডাকেন আর গোলাম হোসেন কে ডাকেন, বিচিত্র এই দেশ আর উপায়হীন মানুষের এমন ভাবার পিছনের কারণগুলো খুব আকাশপাতাল না। আমরা কি কাউকে সম্মান করি? নিজে চিন্তা করে দেখেন ত। কাকে সম্মান করেন আপনি? বাবা-মা ছাড়া আরেকজন বের করেন ত (এই যুগের পোলাপান ত তাও সম্মান করে না।) অফিসের বস? তাকে ত তেল মারেন-সম্মান করেন না। কলেজ বা university-র টিচার? সম্মান না, কিঞ্চিত ভয় আর কিঞ্চিত আশা করেন তার কাছে-কাউকে কাউকে সম্মান করেন বৈকি, আপনার মহল্লার মুরুব্বী? সেটা ত সামাজিকতা, মহল্লার মসজিদের ইমাম? মনে মনে উনাকে হেফাযতী/জামাতী ঘষা মারেন না? সম্মান কোথায় তাহলে? দেখেন ত মিলে কি না? দেশের অনুষ্ঠান সম্মান করেন দেখে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন না?... দেশী খাবার সম্মান করেন দেখে দেশী brand এর খাবার খান?... দোকানে গিয়ে দেশী সুই, মোম, কলম, ব্লেড, ব্যাটারী খোঁজেন? উত্তর দিয়ে দেখেন-নিজের সাথে কত্তদিন ধরে এই ভন্ডামি করে আসছেন।

কোন মুক্তিযোদ্ধা কে দেখে আমাদের কোন নেতা দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে সম্মান করে? কোন বয়স্ক জীর্ণ মুরুব্বীকে দেখে কয়টা লোক আর কিছু না হোক হাতের সিগারেট আড়াল করে? আমাদের পথ প্রদর্শক বলতে আমরা যাদের পাই, তারা কেউ আমাদের পথে হাটার-ও যোগ্য কিনা সন্দেহ। কাকে আপনার idol  মনে করবেন? সারাদিন সাহিত্য আর সংস্কৃতির উচ্চ পর্যায়ে গুরুগম্ভীর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা ব্যক্তি? যে কিনা প্রায় অবাধে মদ্য, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি নিষিদ্ধ সুখ উপভোগ করে আধুনিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে। নাকি ধর্ম ভীরু জ্ঞানী ব্যক্তি যে আপনাকে নানা অনুশাসনের পাশাপাশি তেতুল চাটা চটচটে লোল পড়া নারীর দিকে তাকিয়ে থাকে আর খেই হারিয়ে ফেলে? আজকাল ত একজন গালি দিলে আরেকজনের গালি দেওয়া যেন জায়েয হয়ে যায়। সেটাকে নিয়ে facebook, blog,siteগুলোতে উস্তম কুস্তম লেখালেখি, share, ধিক্কার আর মতামত প্রকাশ। আপনি ই বলেন ত, কয়টা মত থাকে যেখানে এই ব্যাপারটাকে শুধুমাত্র গালি হিসাবে দেখে ধিক্কার জানানো হয় আর কয়টা মত থাকে যেখানে political smell খোঁজা হয়। সবাই যদি এই গন্ধই খুজবেন ত মাঠে নামেন। দুইদিন মুক্তমঞ্চে গান গেয়ে কিংবা হেফাযতী নানার বানী শোনার দিওয়ানা হয়ে মতিঝিলে চিক্কুর পাড়লে হবে না। রাগ ঝারবেন? জায়গা মত ঝারেন দেখি কেমন সাহস? পারেন ত খালি আপনার নিচের যে মানুষটা চাকুরী করে তার আছে, যে রিকশাওয়ালা ভাড়া ২ টাকা বেশি চাইল, যে কাজের মেয়ে ঠান্ডা পানি আনতে ১ মিনিট দেরী করলো তার উপরে। যান না? আপনার এলাকার অভিভাবক কে গিয়ে বলে আসেন আপনার ক্ষোভ, আপনার চাওয়া, আপনার দাবী- পারবেন ? আমি মানুষ হিসাবে খারাপ, মানলাম। কিন্তু আমি আপনার মত রাস্তায় দাড়ায়ে মুতি না। আমি রাস্তা পার হতে গেলে অভার ব্রীজ থাকলে সেটা ব্যবহার করি। আমি মোটরসাইকেলে “সাংবাদিক” স্টিকার মেরে ফুটপাথ দিয়ে চালাই না। এইসব ঠুনকো ব্যাপারগুলো কি সরিয়ে রেখে আমাদের নিজেদের মত করে আমরা সামনে এগুনোর পথ খুজতে পারিনা? চিন্তাকে নোংরামীর মধ্যে ফেলে হাবুডুবু না খাইয়ে সাফল্যের পথটা কোথায় ভাবতে শেখানোর কেউ নাই আমাদের।

সম্মান, সহনশীলতা এগুলো মানুষের ভিতরে বাস করে। কেউ জোর করে চাপিয়ে দিলে হয় না। আর বেশী জোর করে চাপালে যা হয় তা ত এখন দেখতেই পাচ্ছি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমরা এখনো পুতুল নাচের পুতুলের মত একবার স্বাধীনতার পক্ষ বনাম বিপক্ষ, একবার আস্তিক বনাম নাস্তিক, একবার প্রগতিশীল বনাম ধর্ম ব্যবসায়ী লুঙ্গী কাছা মেরে হেঁইয়ো জোয়ান হেঁইয়ো জোয়ান করে সবাইকে নিজের দিকে টানার চেষ্টায় ব্যস্ত।

আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক চিন্তার আবির্ভাব কবে হবে?  

Trapped inside the Box !

আমাদের কিছু কিছু অতীত আর কিছু জ্বালাময়ী বর্তমান আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলে।কিন্তু একটি জাতি হিসাবে আমাদের পাওয়া কিংবা আমাদের চাওয়ার পরিমান কি বা আদৌ আছে কিনা জানিনা। আমেরিকানরা চায় মঙ্গলে বাড়ি বানাতে আর আমরা এখন ভাবি বাসায় গেলে কারেন্ট থাকবে ত ?! পৃথিবী বসে নেই-আমাদের মাঝে যারা বসে আছে তারা হয় অলস নয়ত আহাম্মক ! আমাদের চিন্তার মাঝে অপুষ্টি ঢুকে গেছে।আমরা আমাদের box এর বাইরে চিন্তা করে দেখি না বা চিন্তা করতে পারিনা।আমি নিজেও পারিনা।আমরা দিনরাত কামলা খেটে যাই আর ভাবি অনেক কিছু করে ফেলেছি।কিন্তু একবার ও ভাবি না আমরা working hard but not working smart

সুদূর ইতিহাস থেকে নেয়া শিক্ষায় দেখি- পাকিরা আমাদের মনে করে বিচ্যুত মুসলমান। আর হিন্দুস্তানিরা মনে করে বিচ্যুত বাঙ্গালী ! এই স্বকীয়তাটাকে আমরা আমাদের বৈশিষ্ট্য করতে পারি নাই উলটা আমাদের নিজেদেরকে সংকর খেতাব দিয়ে ফেলেছি । আমাদের মাঝে এখন নাই কোন সহনশীলতা বা আরেকজন কে নুন্যতম প্রশ্রয় দেওয়ার স্থান। একদল আম্লীগ আম্লীগ করে জাতির জনক কে brand বানিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেসে।আরেকদল শহীদ জিয়া জিয়া করে মরগিয়া অবস্থা ! নিজের সাথে নিজের এই ভন্ডামী আর কতদিন চলবে? আমাদের কেউ কি গোড়া বা সম্পূর্ণ ভাবে কোন পক্ষের জন্য নিবেদিত প্রান? নাকি নিজের অবস্থান অনুযায়ী সুবিধাজনক স্থানে থাকার জন্য নিবেদিত? ভোল পালটে ফেলতে কার কত কম সময় লাগে তা আমরা আদিকাল থেকে দেখে আসছি।এ আর নতুন কি? কিন্তু আমার কথা সেখানে না? আমার কথা হল আমাদের নিজেদের মাঝের মজ্জাগত ভেজাল নিয়ে। আপনি নিজে বাসা থেকে বের হয়ে যদি নিজের বাসার সামনে ময়লা দেখে না দেখার ভান করে চলে যান, আপনি যদি প্রকাশ্য দিবালকে এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে নাক ঝেরে রাস্তায় হলুদাভ সর্দি ফেলেন, আপনি যদি ভরা বাজারের মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে সিগারেট কিনে পিছনে জ্যাম বাধিয়ে ফেলেন, আপনি যদি প্লাস্টিক বোতলের সুস্বাদু কোমল (কঠিন) পানীয় পান করে সুন্দর করে রাস্থার মাঝখানে বোতল ছুড়ে টারগেট practice করেন, আপনি যদি জ্যাম দেখলেই wrong side দিয়ে রিকশা জাবার জন্য রিকশাওয়ালা কে ঝাড়ি লাগান তাহলে যতই চিল্লাই না কেন, আজ আপনি আমাকে সম্মান করলে, কালকে আপনিই আমাকে জুতা মারতে আসবেন। কারন আমাদের মাঝে এই শিক্ষাটুকু এখনো আসে নাই। আমাদের সম্মান ব্যাপারটা শেখার বাকী আছে। আমরা এখনো জাতি হিসাবে অপরিপক্ক।
আমরা মনে করি সম্মান বাজারে পাওয়া যায়। এবং এই ব্যাপারটার সাথে টাকা যুক্ত! সেলুকাস কে ডাকেন আর গোলাম হোসেন কে ডাকেন, বিচিত্র এই দেশ আর উপায়হীন মানুষের এমন ভাবার পিছনের কারণগুলো খুব আকাশপাতাল না। আমরা কি কাউকে সম্মান করি? নিজে চিন্তা করে দেখেন ত। কাকে সম্মান করেন আপনি? বাবা-মা ছাড়া আরেকজন বের করেন ত (এই যুগের পোলাপান ত তাও সম্মান করে না।) অফিসের বস? তাকে ত তেল মারেন-সম্মান করেন না। কলেজ বা university-র টিচার? সম্মান না, কিঞ্চিত ভয় আর কিঞ্চিত আশা করেন তার কাছে-কাউকে কাউকে সম্মান করেন বৈকি, আপনার মহল্লার মুরুব্বী? সেটা ত সামাজিকতা, মহল্লার মসজিদের ইমাম? মনে মনে উনাকে হেফাযতী/জামাতী ঘষা মারেন না? সম্মান কোথায় তাহলে? দেখেন ত মিলে কি না? দেশের অনুষ্ঠান সম্মান করেন দেখে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন না?... দেশী খাবার সম্মান করেন দেখে দেশী brand এর খাবার খান?... দোকানে গিয়ে দেশী সুই, মোম, কলম, ব্লেড, ব্যাটারী খোঁজেন? উত্তর দিয়ে দেখেন-নিজের সাথে কত্তদিন ধরে এই ভন্ডামি করে আসছেন।

কোন মুক্তিযোদ্ধা কে দেখে আমাদের কোন নেতা দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে সম্মান করে? কোন বয়স্ক জীর্ণ মুরুব্বীকে দেখে কয়টা লোক আর কিছু না হোক হাতের সিগারেট আড়াল করে? আমাদের পথ প্রদর্শক বলতে আমরা যাদের পাই, তারা কেউ আমাদের পথে হাটার-ও যোগ্য কিনা সন্দেহ। কাকে আপনার idol  মনে করবেন? সারাদিন সাহিত্য আর সংস্কৃতির উচ্চ পর্যায়ে গুরুগম্ভীর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা ব্যক্তি? যে কিনা প্রায় অবাধে মদ্য, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি নিষিদ্ধ সুখ উপভোগ করে আধুনিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে। নাকি ধর্ম ভীরু জ্ঞানী ব্যক্তি যে আপনাকে নানা অনুশাসনের পাশাপাশি তেতুল চাটা চটচটে লোল পড়া নারীর দিকে তাকিয়ে থাকে আর খেই হারিয়ে ফেলে? আজকাল ত একজন গালি দিলে আরেকজনের গালি দেওয়া যেন জায়েয হয়ে যায়। সেটাকে নিয়ে facebook, blog,siteগুলোতে উস্তম কুস্তম লেখালেখি, share, ধিক্কার আর মতামত প্রকাশ। আপনি ই বলেন ত, কয়টা মত থাকে যেখানে এই ব্যাপারটাকে শুধুমাত্র গালি হিসাবে দেখে ধিক্কার জানানো হয় আর কয়টা মত থাকে যেখানে political smell খোঁজা হয়। সবাই যদি এই গন্ধই খুজবেন ত মাঠে নামেন। দুইদিন মুক্তমঞ্চে গান গেয়ে কিংবা হেফাযতী নানার বানী শোনার দিওয়ানা হয়ে মতিঝিলে চিক্কুর পাড়লে হবে না। রাগ ঝারবেন? জায়গা মত ঝারেন দেখি কেমন সাহস? পারেন ত খালি আপনার নিচের যে মানুষটা চাকুরী করে তার আছে, যে রিকশাওয়ালা ভাড়া ২ টাকা বেশি চাইল, যে কাজের মেয়ে ঠান্ডা পানি আনতে ১ মিনিট দেরী করলো তার উপরে। যান না? আপনার এলাকার অভিভাবক কে গিয়ে বলে আসেন আপনার ক্ষোভ, আপনার চাওয়া, আপনার দাবী- পারবেন ? আমি মানুষ হিসাবে খারাপ, মানলাম। কিন্তু আমি আপনার মত রাস্তায় দাড়ায়ে মুতি না। আমি রাস্তা পার হতে গেলে অভার ব্রীজ থাকলে সেটা ব্যবহার করি। আমি মোটরসাইকেলে “সাংবাদিক” স্টিকার মেরে ফুটপাথ দিয়ে চালাই না। এইসব ঠুনকো ব্যাপারগুলো কি সরিয়ে রেখে আমাদের নিজেদের মত করে আমরা সামনে এগুনোর পথ খুজতে পারিনা? চিন্তাকে নোংরামীর মধ্যে ফেলে হাবুডুবু না খাইয়ে সাফল্যের পথটা কোথায় ভাবতে শেখানোর কেউ নাই আমাদের।

সম্মান, সহনশীলতা এগুলো মানুষের ভিতরে বাস করে। কেউ জোর করে চাপিয়ে দিলে হয় না। আর বেশী জোর করে চাপালে যা হয় তা ত এখন দেখতেই পাচ্ছি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমরা এখনো পুতুল নাচের পুতুলের মত একবার স্বাধীনতার পক্ষ বনাম বিপক্ষ, একবার আস্তিক বনাম নাস্তিক, একবার প্রগতিশীল বনাম ধর্ম ব্যবসায়ী লুঙ্গী কাছা মেরে হেঁইয়ো জোয়ান হেঁইয়ো জোয়ান করে সবাইকে নিজের দিকে টানার চেষ্টায় ব্যস্ত।

আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক চিন্তার আবির্ভাব কবে হবে?  

Trapped inside the Box !

আমাদের কিছু কিছু অতীত আর কিছু জ্বালাময়ী বর্তমান আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলে।কিন্তু একটি জাতি হিসাবে আমাদের পাওয়া কিংবা আমাদের চাওয়ার পরিমান কি বা আদৌ আছে কিনা জানিনা। আমেরিকানরা চায় মঙ্গলে বাড়ি বানাতে আর আমরা এখন ভাবি বাসায় গেলে কারেন্ট থাকবে ত ?! পৃথিবী বসে নেই-আমাদের মাঝে যারা বসে আছে তারা হয় অলস নয়ত আহাম্মক ! আমাদের চিন্তার মাঝে অপুষ্টি ঢুকে গেছে।আমরা আমাদের box এর বাইরে চিন্তা করে দেখি না বা চিন্তা করতে পারিনা।আমি নিজেও পারিনা।আমরা দিনরাত কামলা খেটে যাই আর ভাবি অনেক কিছু করে ফেলেছি।কিন্তু একবার ও ভাবি না আমরা working hard but not working smart

সুদূর ইতিহাস থেকে নেয়া শিক্ষায় দেখি- পাকিরা আমাদের মনে করে বিচ্যুত মুসলমান। আর হিন্দুস্তানিরা মনে করে বিচ্যুত বাঙ্গালী ! এই স্বকীয়তাটাকে আমরা আমাদের বৈশিষ্ট্য করতে পারি নাই উলটা আমাদের নিজেদেরকে সংকর খেতাব দিয়ে ফেলেছি । আমাদের মাঝে এখন নাই কোন সহনশীলতা বা আরেকজন কে নুন্যতম প্রশ্রয় দেওয়ার স্থান। একদল আম্লীগ আম্লীগ করে জাতির জনক কে brand বানিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলতেসে।আরেকদল শহীদ জিয়া জিয়া করে মরগিয়া অবস্থা ! নিজের সাথে নিজের এই ভন্ডামী আর কতদিন চলবে? আমাদের কেউ কি গোড়া বা সম্পূর্ণ ভাবে কোন পক্ষের জন্য নিবেদিত প্রান? নাকি নিজের অবস্থান অনুযায়ী সুবিধাজনক স্থানে থাকার জন্য নিবেদিত? ভোল পালটে ফেলতে কার কত কম সময় লাগে তা আমরা আদিকাল থেকে দেখে আসছি।এ আর নতুন কি? কিন্তু আমার কথা সেখানে না? আমার কথা হল আমাদের নিজেদের মাঝের মজ্জাগত ভেজাল নিয়ে। আপনি নিজে বাসা থেকে বের হয়ে যদি নিজের বাসার সামনে ময়লা দেখে না দেখার ভান করে চলে যান, আপনি যদি প্রকাশ্য দিবালকে এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে নাক ঝেরে রাস্তায় হলুদাভ সর্দি ফেলেন, আপনি যদি ভরা বাজারের মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে সিগারেট কিনে পিছনে জ্যাম বাধিয়ে ফেলেন, আপনি যদি প্লাস্টিক বোতলের সুস্বাদু কোমল (কঠিন) পানীয় পান করে সুন্দর করে রাস্থার মাঝখানে বোতল ছুড়ে টারগেট practice করেন, আপনি যদি জ্যাম দেখলেই wrong side দিয়ে রিকশা জাবার জন্য রিকশাওয়ালা কে ঝাড়ি লাগান তাহলে যতই চিল্লাই না কেন, আজ আপনি আমাকে সম্মান করলে, কালকে আপনিই আমাকে জুতা মারতে আসবেন। কারন আমাদের মাঝে এই শিক্ষাটুকু এখনো আসে নাই। আমাদের সম্মান ব্যাপারটা শেখার বাকী আছে। আমরা এখনো জাতি হিসাবে অপরিপক্ক।
আমরা মনে করি সম্মান বাজারে পাওয়া যায়। এবং এই ব্যাপারটার সাথে টাকা যুক্ত! সেলুকাস কে ডাকেন আর গোলাম হোসেন কে ডাকেন, বিচিত্র এই দেশ আর উপায়হীন মানুষের এমন ভাবার পিছনের কারণগুলো খুব আকাশপাতাল না। আমরা কি কাউকে সম্মান করি? নিজে চিন্তা করে দেখেন ত। কাকে সম্মান করেন আপনি? বাবা-মা ছাড়া আরেকজন বের করেন ত (এই যুগের পোলাপান ত তাও সম্মান করে না।) অফিসের বস? তাকে ত তেল মারেন-সম্মান করেন না। কলেজ বা university-র টিচার? সম্মান না, কিঞ্চিত ভয় আর কিঞ্চিত আশা করেন তার কাছে-কাউকে কাউকে সম্মান করেন বৈকি, আপনার মহল্লার মুরুব্বী? সেটা ত সামাজিকতা, মহল্লার মসজিদের ইমাম? মনে মনে উনাকে হেফাযতী/জামাতী ঘষা মারেন না? সম্মান কোথায় তাহলে? দেখেন ত মিলে কি না? দেশের অনুষ্ঠান সম্মান করেন দেখে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন না?... দেশী খাবার সম্মান করেন দেখে দেশী brand এর খাবার খান?... দোকানে গিয়ে দেশী সুই, মোম, কলম, ব্লেড, ব্যাটারী খোঁজেন? উত্তর দিয়ে দেখেন-নিজের সাথে কত্তদিন ধরে এই ভন্ডামি করে আসছেন।

কোন মুক্তিযোদ্ধা কে দেখে আমাদের কোন নেতা দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে সম্মান করে? কোন বয়স্ক জীর্ণ মুরুব্বীকে দেখে কয়টা লোক আর কিছু না হোক হাতের সিগারেট আড়াল করে? আমাদের পথ প্রদর্শক বলতে আমরা যাদের পাই, তারা কেউ আমাদের পথে হাটার-ও যোগ্য কিনা সন্দেহ। কাকে আপনার idol  মনে করবেন? সারাদিন সাহিত্য আর সংস্কৃতির উচ্চ পর্যায়ে গুরুগম্ভীর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা ব্যক্তি? যে কিনা প্রায় অবাধে মদ্য, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি নিষিদ্ধ সুখ উপভোগ করে আধুনিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে। নাকি ধর্ম ভীরু জ্ঞানী ব্যক্তি যে আপনাকে নানা অনুশাসনের পাশাপাশি তেতুল চাটা চটচটে লোল পড়া নারীর দিকে তাকিয়ে থাকে আর খেই হারিয়ে ফেলে? আজকাল ত একজন গালি দিলে আরেকজনের গালি দেওয়া যেন জায়েয হয়ে যায়। সেটাকে নিয়ে facebook, blog,siteগুলোতে উস্তম কুস্তম লেখালেখি, share, ধিক্কার আর মতামত প্রকাশ। আপনি ই বলেন ত, কয়টা মত থাকে যেখানে এই ব্যাপারটাকে শুধুমাত্র গালি হিসাবে দেখে ধিক্কার জানানো হয় আর কয়টা মত থাকে যেখানে political smell খোঁজা হয়। সবাই যদি এই গন্ধই খুজবেন ত মাঠে নামেন। দুইদিন মুক্তমঞ্চে গান গেয়ে কিংবা হেফাযতী নানার বানী শোনার দিওয়ানা হয়ে মতিঝিলে চিক্কুর পাড়লে হবে না। রাগ ঝারবেন? জায়গা মত ঝারেন দেখি কেমন সাহস? পারেন ত খালি আপনার নিচের যে মানুষটা চাকুরী করে তার আছে, যে রিকশাওয়ালা ভাড়া ২ টাকা বেশি চাইল, যে কাজের মেয়ে ঠান্ডা পানি আনতে ১ মিনিট দেরী করলো তার উপরে। যান না? আপনার এলাকার অভিভাবক কে গিয়ে বলে আসেন আপনার ক্ষোভ, আপনার চাওয়া, আপনার দাবী- পারবেন ? আমি মানুষ হিসাবে খারাপ, মানলাম। কিন্তু আমি আপনার মত রাস্তায় দাড়ায়ে মুতি না। আমি রাস্তা পার হতে গেলে অভার ব্রীজ থাকলে সেটা ব্যবহার করি। আমি মোটরসাইকেলে “সাংবাদিক” স্টিকার মেরে ফুটপাথ দিয়ে চালাই না। এইসব ঠুনকো ব্যাপারগুলো কি সরিয়ে রেখে আমাদের নিজেদের মত করে আমরা সামনে এগুনোর পথ খুজতে পারিনা? চিন্তাকে নোংরামীর মধ্যে ফেলে হাবুডুবু না খাইয়ে সাফল্যের পথটা কোথায় ভাবতে শেখানোর কেউ নাই আমাদের।

সম্মান, সহনশীলতা এগুলো মানুষের ভিতরে বাস করে। কেউ জোর করে চাপিয়ে দিলে হয় না। আর বেশী জোর করে চাপালে যা হয় তা ত এখন দেখতেই পাচ্ছি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমরা এখনো পুতুল নাচের পুতুলের মত একবার স্বাধীনতার পক্ষ বনাম বিপক্ষ, একবার আস্তিক বনাম নাস্তিক, একবার প্রগতিশীল বনাম ধর্ম ব্যবসায়ী লুঙ্গী কাছা মেরে হেঁইয়ো জোয়ান হেঁইয়ো জোয়ান করে সবাইকে নিজের দিকে টানার চেষ্টায় ব্যস্ত।

আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক চিন্তার আবির্ভাব কবে হবে?