অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম একটু একটু করে লেখালেখি করি নিজের মত করে।কোন কারণে নয়, শখের বশে অহেতুক কিছু কথা লিখে জীবনের একটা দলিল করে রাখার মত আরকি...কিন্তু কিছুতেই আর হয়ে ওঠে না।সেটাই স্বাভাবিক কারন আমার মত অলস মানুষ কম ই আছে দুনিয়ায় ! অবশেষে একদিন শুরু করে দিলাম । মনের অনেক কথা , সামাজিক চিন্তা, নিজের মতামত কিংবা নিতান্তই আবোলতাবোল কিছু হয়ত লিখব। তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যেন কেউ আমার কথা তে আঘাত পেয়ে মাইন্ড না খায়...আমি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান,দল, গোষ্ঠি, সমিতি, জাতি, গোত্র, ধর্ম বা শ্রেনীকে কেন্দ্র করে, উপেক্ষা করে, কটাক্ষ করে, আঘাত করে, উদ্দেশ্য করে, ইঙ্গিত করে বা উস্কানী দিয়ে কিছু লিখবো না। তারপর ও যদি কেউ যদি আমার কোন পোস্ট দ্বারা মানসিক, সামাজিক, চারিত্রিক, বাহ্যিক, আন্তরিক (!), আর্থিক বা শারিরিক (!?) ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে (যা জীবনেও সম্ভব না, হলেও মানবো না !) তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে বিবেচিত হবে কারণ এই ব্লগ শুধুমাত্র ভারসাম্যহীনদের ভারসাম্যের প্রচেষ্টামাত্র...
আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...
This is my mind dessert. After a while of time i feel keyboard hungry to express a few thoughts and now i think i can share them and preserve them as well. Might be one day this will become an asset for me.
Who am I ?
... no description fits me exactly. But i can say, i m always trying to find out what is the proper way to express myself and my thoughts. Like after the main course, u need a dessert... this is my mind dessert. Time passes on and so do my thoughts...i try to catch some of them and stick them here with letters, words, sentences and all other possible ways i know.
সায়ন আনজীর
২০১০।
২০১০।
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৩
আমাদের কিছু
কিছু অতীত আর কিছু জ্বালাময়ী বর্তমান আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে চলে।কিন্তু একটি
জাতি হিসাবে আমাদের পাওয়া কিংবা আমাদের চাওয়ার পরিমান কি বা আদৌ আছে কিনা জানিনা।
আমেরিকানরা চায় মঙ্গলে বাড়ি বানাতে আর আমরা এখন ভাবি বাসায় গেলে কারেন্ট থাকবে ত
?! পৃথিবী বসে নেই-আমাদের মাঝে যারা বসে আছে তারা হয় অলস নয়ত আহাম্মক ! আমাদের
চিন্তার মাঝে অপুষ্টি ঢুকে গেছে।আমরা আমাদের box এর বাইরে
চিন্তা করে দেখি না বা চিন্তা করতে পারিনা।আমি নিজেও পারিনা।আমরা দিনরাত কামলা
খেটে যাই আর ভাবি অনেক কিছু করে ফেলেছি।কিন্তু একবার ও ভাবি না আমরা working hard but not working smart।
সুদূর ইতিহাস
থেকে নেয়া শিক্ষায় দেখি- পাকিরা আমাদের মনে করে বিচ্যুত মুসলমান। আর
হিন্দুস্তানিরা মনে করে বিচ্যুত বাঙ্গালী ! এই স্বকীয়তাটাকে আমরা আমাদের বৈশিষ্ট্য
করতে পারি নাই উলটা আমাদের নিজেদেরকে সংকর খেতাব দিয়ে ফেলেছি । আমাদের মাঝে এখন
নাই কোন সহনশীলতা বা আরেকজন কে নুন্যতম প্রশ্রয় দেওয়ার স্থান। একদল আম্লীগ আম্লীগ
করে জাতির জনক কে brand বানিয়ে মুখে
ফেনা তুলে ফেলতেসে।আরেকদল শহীদ জিয়া জিয়া করে মরগিয়া অবস্থা ! নিজের সাথে নিজের এই
ভন্ডামী আর কতদিন চলবে? আমাদের কেউ কি গোড়া বা সম্পূর্ণ ভাবে কোন পক্ষের জন্য
নিবেদিত প্রান? নাকি নিজের অবস্থান অনুযায়ী সুবিধাজনক স্থানে থাকার জন্য নিবেদিত?
ভোল পালটে ফেলতে কার কত কম সময় লাগে তা আমরা আদিকাল থেকে দেখে আসছি।এ আর নতুন কি?
কিন্তু আমার কথা সেখানে না? আমার কথা হল আমাদের নিজেদের মাঝের মজ্জাগত ভেজাল নিয়ে।
আপনি নিজে বাসা থেকে বের হয়ে যদি নিজের বাসার সামনে ময়লা দেখে না দেখার ভান করে চলে
যান, আপনি যদি প্রকাশ্য দিবালকে এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে নাক ঝেরে রাস্তায় হলুদাভ
সর্দি ফেলেন, আপনি যদি ভরা বাজারের মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে সিগারেট কিনে পিছনে জ্যাম
বাধিয়ে ফেলেন, আপনি যদি প্লাস্টিক বোতলের সুস্বাদু কোমল (কঠিন) পানীয় পান করে
সুন্দর করে রাস্থার মাঝখানে বোতল ছুড়ে টারগেট practice করেন, আপনি
যদি জ্যাম দেখলেই wrong side দিয়ে রিকশা
জাবার জন্য রিকশাওয়ালা কে ঝাড়ি লাগান তাহলে যতই চিল্লাই না কেন, আজ আপনি আমাকে
সম্মান করলে, কালকে আপনিই আমাকে জুতা মারতে আসবেন। কারন আমাদের মাঝে এই শিক্ষাটুকু
এখনো আসে নাই। আমাদের সম্মান ব্যাপারটা শেখার বাকী আছে। আমরা এখনো জাতি হিসাবে
অপরিপক্ক।
আমরা মনে করি
সম্মান বাজারে পাওয়া যায়। এবং এই ব্যাপারটার সাথে টাকা যুক্ত! সেলুকাস কে ডাকেন আর
গোলাম হোসেন কে ডাকেন, বিচিত্র এই দেশ আর উপায়হীন মানুষের এমন ভাবার পিছনের কারণগুলো
খুব আকাশপাতাল না। আমরা কি কাউকে সম্মান করি? নিজে চিন্তা করে দেখেন ত। কাকে
সম্মান করেন আপনি? বাবা-মা ছাড়া আরেকজন বের করেন ত (এই যুগের পোলাপান ত তাও সম্মান
করে না।) অফিসের বস? তাকে ত তেল মারেন-সম্মান করেন না। কলেজ বা university-র টিচার? সম্মান না, কিঞ্চিত ভয় আর কিঞ্চিত
আশা করেন তার কাছে-কাউকে কাউকে সম্মান করেন বৈকি, আপনার মহল্লার মুরুব্বী? সেটা ত
সামাজিকতা, মহল্লার মসজিদের ইমাম? মনে মনে উনাকে হেফাযতী/জামাতী ঘষা মারেন না? সম্মান
কোথায় তাহলে? দেখেন ত মিলে কি না? দেশের অনুষ্ঠান সম্মান করেন দেখে হিন্দি সিরিয়াল
দেখেন না?... দেশী খাবার সম্মান করেন দেখে দেশী brand
এর খাবার খান?... দোকানে গিয়ে দেশী সুই, মোম, কলম, ব্লেড, ব্যাটারী খোঁজেন?
উত্তর দিয়ে দেখেন-নিজের সাথে কত্তদিন ধরে এই ভন্ডামি করে আসছেন।
কোন
মুক্তিযোদ্ধা কে দেখে আমাদের কোন নেতা দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে সম্মান করে? কোন বয়স্ক
জীর্ণ মুরুব্বীকে দেখে কয়টা লোক আর কিছু না হোক হাতের সিগারেট আড়াল করে? আমাদের পথ
প্রদর্শক বলতে আমরা যাদের পাই, তারা কেউ আমাদের পথে হাটার-ও যোগ্য কিনা সন্দেহ।
কাকে আপনার idol মনে
করবেন? সারাদিন সাহিত্য আর সংস্কৃতির উচ্চ পর্যায়ে গুরুগম্ভীর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা
করা ব্যক্তি? যে কিনা প্রায় অবাধে মদ্য, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি নিষিদ্ধ সুখ উপভোগ
করে আধুনিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে। নাকি ধর্ম ভীরু জ্ঞানী ব্যক্তি যে আপনাকে নানা
অনুশাসনের পাশাপাশি তেতুল চাটা চটচটে লোল পড়া নারীর দিকে তাকিয়ে থাকে আর খেই
হারিয়ে ফেলে? আজকাল ত একজন গালি দিলে আরেকজনের গালি দেওয়া যেন জায়েয হয়ে যায়।
সেটাকে নিয়ে facebook, blog,siteগুলোতে উস্তম কুস্তম
লেখালেখি, share, ধিক্কার আর মতামত
প্রকাশ। আপনি ই বলেন ত, কয়টা মত থাকে যেখানে এই ব্যাপারটাকে শুধুমাত্র গালি হিসাবে
দেখে ধিক্কার জানানো হয় আর কয়টা মত থাকে যেখানে political
smell খোঁজা হয়। সবাই যদি এই গন্ধই খুজবেন ত মাঠে নামেন। দুইদিন মুক্তমঞ্চে গান
গেয়ে কিংবা হেফাযতী নানার বানী শোনার দিওয়ানা হয়ে মতিঝিলে চিক্কুর পাড়লে হবে না। রাগ
ঝারবেন? জায়গা মত ঝারেন দেখি কেমন সাহস? পারেন ত খালি আপনার নিচের যে মানুষটা
চাকুরী করে তার আছে, যে রিকশাওয়ালা ভাড়া ২ টাকা বেশি চাইল, যে কাজের মেয়ে ঠান্ডা
পানি আনতে ১ মিনিট দেরী করলো তার উপরে। যান না? আপনার এলাকার অভিভাবক কে গিয়ে বলে
আসেন আপনার ক্ষোভ, আপনার চাওয়া, আপনার দাবী- পারবেন ? আমি মানুষ হিসাবে খারাপ, মানলাম।
কিন্তু আমি আপনার মত রাস্তায় দাড়ায়ে মুতি না। আমি রাস্তা পার হতে গেলে অভার ব্রীজ
থাকলে সেটা ব্যবহার করি। আমি মোটরসাইকেলে “সাংবাদিক” স্টিকার মেরে ফুটপাথ দিয়ে
চালাই না। এইসব ঠুনকো ব্যাপারগুলো কি সরিয়ে রেখে আমাদের নিজেদের মত করে আমরা সামনে
এগুনোর পথ খুজতে পারিনা? চিন্তাকে নোংরামীর মধ্যে ফেলে হাবুডুবু না খাইয়ে সাফল্যের
পথটা কোথায় ভাবতে শেখানোর কেউ নাই আমাদের।
সম্মান,
সহনশীলতা এগুলো মানুষের ভিতরে বাস করে। কেউ জোর করে চাপিয়ে দিলে হয় না। আর বেশী
জোর করে চাপালে যা হয় তা ত এখন দেখতেই পাচ্ছি। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমরা
এখনো পুতুল নাচের পুতুলের মত একবার স্বাধীনতার পক্ষ বনাম বিপক্ষ, একবার আস্তিক
বনাম নাস্তিক, একবার প্রগতিশীল বনাম ধর্ম ব্যবসায়ী লুঙ্গী কাছা মেরে হেঁইয়ো জোয়ান হেঁইয়ো
জোয়ান করে সবাইকে নিজের দিকে টানার চেষ্টায় ব্যস্ত।
আমাদের প্রাপ্তবয়স্ক
চিন্তার আবির্ভাব কবে হবে?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন