Who am I ?

... no description fits me exactly. But i can say, i m always trying to find out what is the proper way to express myself and my thoughts. Like after the main course, u need a dessert... this is my mind dessert. Time passes on and so do my thoughts...i try to catch some of them and stick them here with letters, words, sentences and all other possible ways i know.

অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম একটু একটু করে লেখালেখি করি নিজের মত করে।কোন কারণে নয়, শখের বশে অহেতুক কিছু কথা লিখে জীবনের একটা দলিল করে রাখার মত আরকি...কিন্তু কিছুতেই আর হয়ে ওঠে না।সেটাই স্বাভাবিক কারন আমার মত অলস মানুষ কম ই আছে দুনিয়ায় ! অবশেষে একদিন শুরু করে দিলাম । মনের অনেক কথা , সামাজিক চিন্তা, নিজের মতামত কিংবা নিতান্তই আবোলতাবোল কিছু হয়ত লিখব। তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যেন কেউ আমার কথা তে আঘাত পেয়ে মাইন্ড না খায়...আমি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান,দল, গোষ্ঠি, সমিতি, জাতি, গোত্র, ধর্ম বা শ্রেনীকে কেন্দ্র করে, উপেক্ষা করে, কটাক্ষ করে, আঘাত করে, উদ্দেশ্য করে, ইঙ্গিত করে বা উস্কানী দিয়ে কিছু লিখবো না। তারপর ও যদি কেউ যদি আমার কোন পোস্ট দ্বারা মানসিক, সামাজিক, চারিত্রিক, বাহ্যিক, আন্তরিক (!), আর্থিক বা শারিরিক (!?) ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে (যা জীবনেও সম্ভব না, হলেও মানবো না !) তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে বিবেচিত হবে কারণ এই ব্লগ শুধুমাত্র ভারসাম্যহীনদের ভারসাম্যের প্রচেষ্টামাত্র...

আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...

সায়ন আনজীর
২০১০।

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 পদ্য ?



অসুস্থ প্রজন্ম জীবন শেখে টিভির আয়নায়

কাল কেয়ামত হলে লাইভ হবে কোন চ্যানেলে 

যুক্তি যেখানে মুখ লুকায় ক্ষমতার ছায়াতে 

সেখানে বাসমতী চাউলের সুঘ্রান কুকুর ছাড়া কেউ পায়না

দম্ভ আর নিজের দিকে আলোকিত করার তীব্রতা

ঝাঁজরা করে দেয় বিবেকের অথর্ব গম্ভীরতার কাঁচ 

সবাই দৌড়ায় কে কাকে ধাক্কা দিয়ে এক পা সামনে থাকবে

রক্ত আর ধুলার জমাট কাদায় পা ডুবিয়ে চাটুকারের দল

সম্মান আর শ্রদ্ধা যুদ্ধ করে স্বার্থের সাথে 

নির্বিকার দাড়িয়ে থাকে সভ্যতা আপন শান্তির বিনিময়ে


দিনশেষে

একঝাক ভনভনে মাছি থাকে পাশে, দিন শেষে...


-সায়ন

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২

Pipeline of CEOs

কয়েকদিন আগেই দেখলাম ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত সিইও দের কে নিয়ে অনেক লাফ ঝাপ দেওয়া হল। অনেকে অনেক কথা বললেও একটা বেসিক কথা কিন্তু ঠিকই উঠে এসেছে... শিক্ষার মান!!! 

হঠাত এই কথা বলার মানে আর কিছুই না, সিলেটে আমাদের দেশের গর্বের স্থান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন। অবাক করার বিষয় হল, আপাত দৃষ্টিতে এটা অনেক নবীন একটা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সেই তুলনায় আন্দোলনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। অনেক প্রতিবাদ আর প্রগতির আইডল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এরা। কেন? বারবার ওরাই কেন? তুলনামূলক ভাবে শিক্ষাগত দিক দিয়ে পশ্চাতপদ জনপদের মাঝখানে কিভাবে এরা এমন একটা সামনের সারির সুনামধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা আস্তে আস্তে দখল করে নিল? কারন অনেকগুলো। নবীন হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ মানুষের চোখ খোলা (আবার অনেকে কাঠের চশমা পরে ক্ষমতার লোভে চাটাচাটি করে, কিন্তু সেটা খুব কম)। তারা অনেক আগে থেকে ঘরে বসেও দুনিয়া দেখা আয়ত্ব করা শিখে গিয়েছে। সাথে সাথে সেইটাকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে কেরিয়ার আর বিজনেস সেন্স কিভাবে মনেটরি কনভারশন হবে তা-ও বের করে ফেলেছে। তাদের সাথে চুদুর বুদুর করে পার পাওয়া মুশকিল। অন্যান্য জায়গায় শ্লোগান দিয়ে হেলমেট পরায়া লেলিয়ে দিয়ে কাজ হলেও এখানে এভাবে কাজ হয়না। কারন যারা নেমে যাবে তাদের পাশে পাশে হেল্মেট পড়া ছেলেটিও ভাবে নিজের ৪ বছর পরের অবস্থানের জন্য গ্রেটার স্বার্থ কোনটা। 

না আমি এখানের ছাত্র ছিলাম না। কিন্তু আমার অনেক peer আর বন্ধু network এর কল্যানে এখানের অনেক কিছুই আমার জানা। 

কিন্তু আসল কথা অইখানে না, আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল আমার প্রথম লাইনটা নিয়ে কথা বলা। আমরা খুব বড় বড় কথা বলি। আমাদের দেশের অনেক লোক বড় বড় জায়গায় আছে... বুঝলাম। তাদের কয়জন আমাদের দেশে পড়াশুনা করে অইখানে অই বড় জায়গায় গিয়ে বসছে? মাথা চুল্কায়া চল্টা তুলে ফেললেও কয়টা বের হবে জানি না। আমাদের সরষের মধ্যে ভুত কে তাড়াবে?

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে যাদের কে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার থেকে যোগ্যতম প্রার্থীকে সাদা দল, লাল দল, হলুদ দল ইতং বিতং এর কারনে নেওয়া হয়নি? অমুকের আত্মীয়, তমুকের শালা আর অমুক দলের প্রাক্তন নেতার ভীরে কয়টা পড়ুয়া ভাল ছাত্রের ঠ্যাকা পরসে ধাক্কাধাক্কি করে শিক্ষক হওয়ার? তার চেয়ে বাইরে বা বিদেশে যাওয়া তার জন্য obviously better option ! কেউ কেউ logic দাড় করায়ে দিবে, ভাল ছাত্র হলেই ভাল শিক্ষক না... জ্বি ভাই, তাদের জন্য বলি... ধরেন কালকে বাংলাদেশের দিকে একটা ধুমকেতু ছুটে আসতেসে! হাতে ২৪ ঘন্টা সময়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশ উপায় দিতে করতে রাজি না। আমাদের একমাত্র বাঁচার রাস্তা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে ধুমকেতু কক্ষপথে নিয়ে এসে intercept করে বাঁচা। এখন এই কক্ষপথে আনার দ্বায়িত্ব কি আপনি আত্মীয় বা শালা কোটাতে আসা শিক্ষক কে দিবেন না ক্লাসের ফার্স্ট বয়টাকে দিবেন? (মুফতে সেই একটা সাই-ফাই সিনেমার প্লট দিয়ে দিলাম ...) যান আরো সহজ করে দেই... আপনার খুব জটিল একটা সার্জারি করতে হবে... আপনার অপশন শালা কোটা তে পাশ করা ডাক্তার আর সেই ক্লাসের ফার্স্ট বয়... (ইন্সুরেন্স এর নোমিনি পাল্টায়ে নিয়েন...)

আমাদের entire supply chain এই সমস্যা! পাশের দেশ যখন আইটি outsourcing, call center, back office নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা কি নিয়ে লাফাই? লাখ টাকার App কে ফুলিয়ে ফাপিয়ে শত কোটিতে নিয়ে গিয়ে সেটার বাজারের উপকারীতার screen saver (পড়েন মিথ্যা আশ্বাস) দেখিয়ে ফান্ড বের করার চিপা খুঁজতে। ধুমায়া বড় বড় বিল্ডিং ঝা চকচকা করে দাড় করিয়ে গাল্ভরা আইটি ঘেষা নাম দিয়ে ঘোষণা দিতে, যেন মানুষ মনে করে ওররে বাপ্রে এইটা না জানি আইটির কত কিছু করতেসে!!! এসব অনেক পরের step! বলতেসি না যে কাজের না, কিন্তু এই মুহূর্তে এইগুলার আসলেই কাজ নাই। উদাহরন দেই, আমাদের দেশে proper coder or programmer বের হওয়ার কোন pipeline এখন পর্যন্ত তৈরি হয় নাই। যারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে programmer or coder হয়ে বের হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসে তারা বেশির ভাগই self taught. হ্যা, অংক করার জন্য রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া আর অংক নিয়ে পরে থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু আমার কথা হল, যারা শ্রমিক হিসাবে কাজ করবে (code/program writer) তাদের স্কুল কয়টা? বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ছেলেটা নিজেকে programmer এর চেয়ে programmer দের manager হওয়ার জন্য বেশি আগ্রহি। তাহলে আমাদের সেই manager এর নিচের স্তরের মানুষগুলোর সাপ্লাই চেইন কই? মার্কেটিং এ পাশ করা ছেলেটা বাজারে ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে চমক দেখানো ATL করার জন্য মুখিয়ে থাকে কিন্তু আদতে মার্কেটে তার কোন রূটের কোন ডিলার কোন প্রোডাক্ট কোন shelf এ কতদিন কেন রাখছে সেইটা সে জানে না। জানেনা তার ROI কতদিনে আসবে আর আসলেও আদৌ তার কতটুকু মনেটরি আর কতটুকু ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসাবে?

ফিল্টারের পর ফিল্টারিং হওয়া এইসব ছাত্ররা অনেক কিছু জানে, কিন্তু ওদের কে সামনে এগিয়ে bigger picture পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পথের mentor ই যদি ঠিক না থাকে তাহলে আর multinational giant এর সিইও নিয়ে কথা বলার জন্য কয়েকদিন পরে দেশি company-র manager ও তৈরী হবে না। নাকি এভাবে step by step মেধা কে ছাঁচে ফেলে ঠুলি পরেই এগিয়ে যাবে সবাই? 


সায়ন 

২৭ জানুয়ারী ২০২২    

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ঘি সয় না !!!

 

 

এটা নিয়ে অনেকবার বলেছি, আবারো বলি – আমাদের দেশের মানুষ কিছু কিছু জিনিষ deserve করে না। সুতরাং শুধু শুধু সেগুলোতে খরচ না করে আমাদের মত আমজনতার ট্যাক্সের টাকা আরেকজনকে মুফতে গোগ্রাসে খাওয়ার scope বানানো বন্ধ করা উচিত।

যদি উদাহরন দেই, ট্রাফিক সিগ্ন্যালের বাত্তি !!! আজ পর্যন্ত দেখলাম না এইগুলাকে ঠিকঠাক মত ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করতে। উলটা এমন দেখসি যে লাল বাত্তি দেখে দাঁড়ায়ে পড়া confused driver কে ট্রাফিক পুলিশ ঝারি মারতেসে ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়ায়ে পরসে কেন? এর পাশাপাশি এইগুলার কারেন্টের খরচ, যখন তখন নিজেদের মনের ইচ্ছামত জ্বলে আর নিভে। আবার এইগুলাকে নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন ও দেখি করা হয়। রাস্তার একপাশ আটকায়ে ক্রেন লাগায়ে এইগুলা কে align করা হয়, রঙ করা হয়, ঠিকমত জ্বলতেসে কিনা চেক করা হয়!!! আদতে এইগুলাকে চাইলে বিয়া বাড়ির ডেকোরেশনের কাজে ভাড়া দিলেও কাজে আসতো… লাল, হলুদ, সবুজ নিজে নিজে জ্বলে একটা হাল্কা ডিজে ডিজে ভাব নিয়ে আসতো ! আমরা চাইলে কিন্তু বলতে পারি, আমরা wireless traffic signalling যুগে প্রবেশ করেছি। আমাদের দেশে বাচ্চাদের কে স্কুলে পড়ানো হবে, বলত বাবু, ট্রাফিক লাইট কাকে বলে? বাবু উত্তর দিবে- কোন এক কালে এদেশের রাস্তাঘাটে একধরনের লাইট দেখা যেত যার কোন কাজ ছিল না… ক্যান্টনমেন্ট বাদে এদেশের এমন কোন জায়গা দেখানো সম্ভব যেখানে ট্রাফিক লাইট মানা হয়? যদি না-ই হয়, তাহলে এগুলো রাখা হইসে কি দেশ হিসাবে status symbol হিসাবে? আমরা আসলে এগুলোর যোগ্য না।

আরেকটা জায়গা… BRTC…এই এমন একটা জায়গা যেখানে দুনিয়ার বড় বড় waste disposal কোম্পানি গুলোর হোমরাচোমরা বড় কর্তারা এসে পায়ে পড়ে থাকে একটা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য… বড় বড় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ওয়েস্ট ডিস্পোজাল এক্সপার্টরা এসে নিয়মিত কান্নাকাটি করে… এর এক্টাই কারন, এইখানে যা ই দেওয়া হোক, তা নাই হয়ে যায়। আপনি ভল্ভো আলেকজান্ডার দেন আর দাইয়ু দেন কোন লাভ নাই। প্রতি বাস মাত্র কয়েক সপ্তাহ ঠিকমত চলতে পারবে বড়জোর! তারপর থেকেই এটা নাই, ঐটা উধাও, এইটা বসা, ঐটা খসা… অনেকটা ব্ল্যাকহোলের মত… হা করে আছে বাইরে থেকে যা আসবে ক্যোঁৎ করে গিলে খাবে! অন্যান্য কোম্পানী লাভের উপরে লাভ করে মাসের পর মাস নিজেদের সেম বাস দিয়ে কোয়ালিটি সারভিস দিচ্ছে আর BRTC সেম জিনিষ নিমেষে ধ্বংস করে ফেলতেসে। আমার মনে হয় যখন কোন নতুন বাস ডিপোতে ঢুকে তখন কসাই-র ভাগাভাগি স্টার্ট হয়ে যায়, সিনাটা অমুক সাহেবের, সামনের রান অমুক ভাইএর, কলিজাটা তমুকের… সেরকম, ইঞ্জিন হেড অমুক স্যারের, টায়ারগুলা তমুক ভাইয়ের, সামনের গ্রিলসহ লাইটগুলা তমুকের… প্রতি বছর এরা লোকসান দিয়ে যাচ্ছে, প্রতিবছর নতুন বাসের হয় চাহিদা নাহলে চালান আসতেসে, প্রতিবছর সাংবাদিক আর বুদ্ধিজীবিদের ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে, প্রতিবছর ওখানের কর্মকর্তা/কর্মচারী দের পকেটে অঢেল টাকা ঢুকতেসে!!! এদের কে সোজাসুজি বন্ধ করে দেওয়া উচিত! আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এমন চোরের সিন্ডিকেট পোষার দরকার কি? এর চেয়ে এই বছর বছর ৩০০/৪০০ বাস না এনে এই বাজেট রেল+নৌ পথে উন্নতির জন্য ব্যবহার করা যাক। সড়কের ত উন্নয়ন হচ্ছেই, BRTC পোষার যুক্তিকতা কতটুকু?

 

আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি কোন ইভেন্ট টা হয় জানেন? না জানলে বলে দিচ্ছি –

উদ্বোধন !!!

 

সকালে অমুক উদ্বোধন, ত বিকালে তমুক … এক-ই মানুষ ও দেখা যায় অনেক জায়গায় অনেককিছু উদ্বোধন করে যাচ্ছেন। আজ "নিখিল বাংলাদেশ আলুপ্রেমী সমিতির" উদ্বোধন ত কালকে সেই লোক-ই "বাংলাদেশ আলু ঠেকাও আন্দোলনের" উদ্বোধনে হাজির। প্রচুর প্রচুর উদ্বোধন চারদিকে, কিন্তু এরপর এগুলোকে কয়জন দেখে? কয়জন আসলে এই উদ্বোধন হওয়া “ব্যাপারটার” সুবিধা ভোগ করেন? হ্যা, একেবারে যে সুবিধা দিচ্ছে না তা বলি নাই (সুরম্য পাবলিক টয়লেটগুলো এর খুব সুন্দর উদাহরন) , কিন্তু বেশিরভাগ-ই দিচ্ছে না এইটা বলেছি। ঢাকার বাসে Wifi সুবিধা… মহিলাদের জন্য আলাদা বাস… পথচারিদের রাস্তা পার হওয়ার জন্য বিশেষ বাটন লাগানো সিগ্নাল বাতি…ভ্রাম্যমান পাবলিক টয়লেট... মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা… চক্রাকার নৌপথ… ডেমু ট্রেন… নাগরিক সুবিধা-অসুবিধা app… নির্ধারিত রাস্তা ছাড়া রিকশা না চলাচল... কাওরানবাজার মাছের আড়তের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাস্তা খালি করে দেওয়া... মহাসড়কে অটোরিকশা না চলাচল... ট্রেনের ছাদে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা... বাংলাদেশের এমাজন+জেফ বেজোস... থুক্কু... কতকিছু শুধু আসলো মহা সমারোহে… গায়েব হয়ে গেল একদম কম সময়ে কোন আওয়াজ না করে ! কতকিছুর “নতুন দিক উন্মোচন” হল… কতকিছু “নতুন আশা” জাগালো… কিন্তু দিনশেষে???!!!

 

এজন্য-ই এই হতাশা, আগে দেখি নিজের এখন পর্যন্ত কি আছে? সেগুলোকে কি আমরা ঠিক মত utilize করতেসি? ধরি প্রথম যে উদাহরন টা দিলাম, ট্রাফিক পুলিশ হাত দিয়ে কন্ট্রোল করছে করুক, তাদের কে একটা wireless remote তৈরি করে দেই, যেটা দিয়ে manually তারা এই লাইটগুলোকে control করবেন, তাহলে ত আস্তে আস্তে লাইটের ব্যবহার টা inject হতে থাকবে সবার মনের ভিতরে এবং চালকের অবচেতন মনেও, এক সময় সেটাই চালু হয়ে যাবে… অনেকটা বাইকের হেলমেটের মত।

 

৫০ বছর ত পার হয়ে গেল, এখনও যদি আমাদের মুরুব্বি অভিভাবকেরা মনে করেন show off করেই চলতে পারবে আর নিজে যা বুঝে সেটাই ঠিক, তাহলে কপালে গালাগালি, দল থেকে বহিস্কার, সম্মানহীন ঝরে পড়া ছাড়া আর কোন ভবিষ্যত তাদের জন্য নাই। দেশটা উনাদের কাছে অনেক আশা করে, আমরা আমজনতা আজ এই আশা ব্যাপারটাই ছাড়তে শিখলাম না বলে…   

 

 

সায়ন

১৯ অক্টোবর ২০২১

শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

করোনার সময়গুলো

নভেল করোনা ভাইরাস, এমন একটা ভাইরাস যা শুধু আমাদের রুটি রুজি বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে আমাদের চেনা মোটামুটি সবকিছুই। আমাদের জীবনধারা এখন আগের মত নেই, কোনদিন আবার আগের মত হবে কিনা সেটাও আমাদের জানা নেই। আমাদের সমাজ থেকে শুরু করে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা - কোনকিছুকে এখন আর static ধরে বসে থাকার মত নেই। কিছুদিন আগেও যা ছিল স্বাভাবিক, এখন সেটার হয় অস্তিত্ব সংকট অথবা পরিবর্তিত চেহারা। কমবেশি সবাই এইসব জানে এবং এর প্রভাব feel  করছে, সুতরাং এগুলো নতুন করে বলার কিছু নাই। আমি শুধু আজকে বলতে এসেছি একদম ভিন্ন কয়েকটা কথা। নিজের মত করে নিজের উপলব্ধি থেকে বলা, দেখেন মিলে কিনা-

এই কঠিন সময়ের মাঝে আমরা সবাই। ধনী-গরিব যেটই বলিনা কেন, এর প্রভাব নিতান্ত মহা ধনী যারা কয়েক পুরুষ কিছু না করলেও চলবে তারা বাদে সবাই পাচ্ছি। সামাজিক স্তর বলতে এখনো যা আছে তা কি আদৌ থাকবে কয়েকদিন পরে? মধ্যবিত্ত শ্রেনী একটা স্বাভাবিক সময় পরে নিজেরাও নিম্নবিত্ত হয়ে পড়বে। কারন সীমিত resource  আর সেই resource avail করার সীমাবদ্ধতা তাদের উপরে প্রভাব ফেলা শুরু করবে। মধ্যবিত্তদের মাঝে দুইটা ভাগ আছে। এক দল যারা নিজেদের কে উচ্চবিত্তদের খুব নিকটে ভাবতে পছন্দ করে আর আরেক দল যারা মনে করে তারা আদতে "উচ্চ নিম্নবিত্ত"। দ্বিতীয় দলটার জন্য ভাবনা কম। কারন তারা নিজেরা এর মাঝেই evolve করে নিবে। কিন্তু অপর দলটার অবস্থা কি হবে ভেবে দেখেছেন? সামাজিক ভাবে তারা কোথায় আগাচ্ছে? status maintain করতে গিয়ে অনেক internal sacrifice must হয়ে যাবে। এই দলের show off অনেক বেশি সুতরাং তাদের এখন হয় সামাজিকভাবে corner cut করে selective ভাবে show off করতে হবে - যা হতে পারে social circle change করে এমন দলের সাথে show off করা যাদের কে influence করা এখন easy. অথবা readjust করে এমন কিছু জায়গা থেকে cost cut করা যেগুলো ultimately তাদের existence ধরে রাখবে। এদের মাঝে অনেকে panic করবে, অনেকে রীতিমত frustration আর depression এর মাঝে পরে যাবে। কেউ কেউ আরো খারাপ অবস্থা তে চলে যাবে। social distancing এর কারন তখন করোনা না হয়ে নিজের দৈন্যতা হয়ে যাবে। কিন্তু এসবের মাঝেও একটা ব্যাপার সবার মনে রাখা উচিত - Almighty আল্লাহ বলেন, হতাশা আরো হতাশা নিয়ে আসে, আর হতাশ হওয়া শয়তানের কাজ। 

যেহেতু সবাই এখন ঘরে বন্দি, সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে social media. বেশির ভাগ মানুষ এর মাঝেই বিনোদন খুজে নিচ্ছে। মজার ব্যাপার হল - এই social media গুলো খুব high end sophisticated Artificial intelligent থেকে তৈরী algorithm ব্যবহার করে । সুতরাং আপনি যা দেখতে চান, কমবেশি তার সাথে সম্পর্কিত জিনিশগুলোই সে আপনার সামনে নিয়ে আসে। হয়ত দুইদিন আগে আপনি online এ একটা ঘড়ি খুজতেসিলেন, আজকে সে আপনাকে কয়েকটা ঘড়ির ad দেখানো শুরু করে দিবে। আপনি যেই news টা খুজতেসিলেন, দেখবেন video suggestion হিসাবে সেটাই সামনে চলে আসছে।  এখন ভাবেন ত, যেই মানুষটা অনেক বেশি হতাশাগ্রস্থ, সে যা যা দেখে হতাশ হয়েছে, তার সামনে সেই জাতীয় ব্যাপারগুলোই আরো বেশি করে আসা শুরু করে দিল - একটা vicious cycle শুরু হয়ে যাবে। আমি সবসময় বলি, social media তে যা-ই দেখবেন, সেটা বিশ্বাস করে বসে থাকবেন না! এই formula আরো বেশি ব্যবহার করবেন অবশ্যই যদি আপনার সামনে "promoted" জিনিষগুলো আসে তাদের ক্ষেত্রে।

এখন আসেন একদম অন্য একটা perspective এ কিছু জিনিষ দেখি। আপনি আমি সবাই মোটামুটি একই জায়গায় আছি, এর মাঝেও একেকজন একেকভাবে এই সময়টাকে কাজে লাগাচ্ছি; বা বলা চলে spend করছি। যদিও এইখানে spend এর সংজ্ঞা আবার একেকজনের কাছে একেক রকম হবে, আমার কাছে যেইটা spend, সেইটা আরেকজনের কাছে utilize বা waste হতেই পারে। (যেমন আমি এই article টা লিখছি, আমার কাছে মনে হচ্ছে এটা আমার একটা time এর utilization, আবার কেউ কেউ এইটা না পড়েই বলবে, আজাইরা time waste !!! - তাদের সাথে ও আমি অবশ্যই একমত) 

এর মাঝে কেউ কেউ নিজেদের প্রতিভা শেয়ার করছেন, কেউ কেউ কিছু রান্না করছেন, কেউ বা কোন skill enhancement training নিচ্ছেন বা দিচ্ছেন, কেউ আবার নিতান্ত কিছু না করে ছুপছাপ পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। একদম সাধারনভাবে চিন্তা করলে যদি এই মুহূর্তে কাউকে জিজ্ঞেস করি এদের মাঝে কাকে আপনার মনে হয় সবচেয়ে ভালোভাবে সময়টাকে "utilize" করছে বলে মনে করেন, almost 85-90% মানুষ হাত তুলবে তাদের পক্ষে যারা training নিচ্ছে বা দিচ্ছে...আমি তাদের বিপক্ষে না। কিন্তু আমার কথা অন্যখানে, এই কঠিন সময়ের পরে আমি আপনি বেঁচে ফিরবো কিনা জানি না, আমার পরিবারকে আমি আমার career এর জন্য অনেক সময় ignore করে কাজে ডুবে ছিলাম, তাদের সাথে time spend করাটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় utilization বলে মনে হয়। তাদের কে সাথে নিয়ে প্রতিভা বা রান্না অথবা একেবারেই তাদের সবাই কে নিয়ে কিছু করা আমার কাছে এখন অনেক মূল্যবান। একটা certificate হয়ত আমাকে সবার সামনে বড় করে তুলে ধরবে, কিন্তু কি লাভ যদি আজকের পরে বেচেই না থাকি? আর আমার এই certificate শেয়ার করা না করা তে কি যায় আসে - এই ঘরে বসে থাকাটা কোন প্রতিযোগিতা না যে আমি locked down হয়ে কি কি achieve করলাম তা আমাকে কারো কাছে প্রমাণ করতে হবে...

না, আমি আপনার কোন কিছুর against এ না। ভাববেন না আপনি আপনার certificate, জ্ঞান বা রান্না upload করছেন তার আমি সমালোচনা করছি। আমি শুধু বলতে চাইছি, আপনি যা করছেন, সেইটা আপনার মনের খোরাক, আমি যা করছি সেইটা আমার ... এর মাঝে যেন কোন comparison বা competition চলে না আসে। 

দিনশেষে, 

সুখ একটা ঐচ্ছিক ব্যাপার, আপনি মন থেকে চাইলে সবখানে, সব পরিবেশে, সব পরিস্থিতিতে সুখি থাকতে পারবেন, এই সময় সেটাই মুখ্য...আর কিছু নয়।



-সায়ন
২৩ মে ২০২০  

শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

Know Thyself - First !!!


নিতান্ত সভ্যতা প্রসূত বিবেক থেকে মাঝে মাঝে কিছু অযাচিত যন্ত্রনা তৈরি হয়। সেগুলো আস্তে আস্তে এমন তীব্রতর হয়ে ওঠে যে তখন মনে হয় কিছু না বলে না করে চুপ থাকাটা নিজের সাথে প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই না।

কিছুদিন আগে এমন এক Linkedin যন্ত্রনা ছিল, যাদের নাম ছিল professional CV writer. এদের কাজ ছিল আপনার নামে ইতং বিতং চাপাবাজি করে আপনাকে বিপদে (!) ফেলা। এবং এই কাজটা তারা এতটাই confidently করা শুরু করে দিল যে অনেকে confused হয়ে গেল ব্যাপারটা আদৌ objectionable কিনা তা নিয়ে। বিপদ জিনিষটা একটু খোলাসা করে দেই- সিভি ব্যাপারটা আপনার “জীবন বৃত্তান্ত”... সেটার উপরে depend করে আপনার মূল্যায়ন হবে বলেই আপনি সেই “জীবন” এমনভাবে ফুলিয়ে ফাপিয়ে আরেকজন কে দিয়ে present করলেন যে আপনি নিজেই জানেন না আপনার “জীবন”- এ আপনি কি কি করেছেন আর করেন নাই।

এবার আসি আরেক নতুন Linkedin যন্ত্রনার পরিচয় করিয়ে দেই। এরা নিজেরা মনে করে এরা সেলস বা মার্কেটিং এ বিশাল সাফল্য অর্জন করে ফেলসে, নিজে অনেক বা* ছিঁড়ে এখন অন্যদের কে জ্ঞান দিয়ে জন সাধারনের সামনে নিজেকে বিশাল বিদ্যাধর প্রমান করার জন্য এরা বড় বড় Linkedin পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন কাহিনী বয়ান করে। এইসব কাহিনী তে উনারা থাকেন হিরো আর কাহিনীর শেষে উনারা আবার উনাদের আত্মতৃপ্তির (“Happy ending”…LOL) বানী প্রসব করেন। সমস্যা এখানে না, সমস্যা হল, উনারা এই বানীগুলোতে খুব সাধারন ভাবে ভুল জিনিষ শিখিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন (end of day, অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী) । একটা উদাহরন দেই, মনে করি, এইরকম একজন মহাবিদ্যান জ্ঞানী ব্যাক্তি যার নাম ABC. ভদ্রলোক নিজের বাহাদুরি সম্পর্কে কাহিনী Linkedin post এ বললেন,

“আমার কোম্পানি একবার মহা বিপদে পরে গেল, কারন আমাদের পানিপথে advertisement দেওয়ার কোন উপায় কেউ বের করতে পারছিল না। MD DMD SMD QMD LMD SMG … যে যে আছে সবার ত মাথা মুথা out… এমন সময় বাইরে বিদ্যুৎ চমকাইল! দেখা গেল আমি নীল tights এর উপরে লাল জাঙ্গিয়া পরে হাজির... আমি থাকতে চিন্তা কিসের? আমি দারুন একটা চিন্তা করে বের করলাম, পানির উপরে নৌকার পাটাতনে পোস্টার লাগায়ে দিলাম, আর পানির নিচে submarine roof billboard  লাগায়ে দিলাম। এ থেকে আমরা কি শিখলাম বন্ধুরা? পানির উপরে নৌকার পাটাতনে পোস্টার লাগানো হইল ATL  বা above the line marketing আর পানির নিচে submarine roof billboard লাগানো হইল, BTL বা below the line marketing.”

এখন যারা marketing জানেন, বোঝেন তারা আঁতকে উঠবেন এইটা দেখে যে জনাব ABC কি সুন্দর ভাবে একটা ভুল জিনিষ মানুষকে বলে বেড়াচ্ছেন! একটা সংজ্ঞাকে change  করার মত নিরবুদ্ধিতা যে করতে পারে সে কোন level এর আবা* সেটা বুঝে ফেলবেন। কিন্তু ভয়ংকর কথা টা হল, এই Linkedin post অনেকেই অমোঘ মনে করে ধারন করে ফেলবে। তারা জানবেও না তারা যা শিখছে তা ভুল। কারন ABC এতটাই নির্লজ্জ চামার category-র যে সে কোনভাবেই স্বীকার করবে না সে ভুল কিছু post করেছে শতবার শতজন reference সহ ধরিয়ে দিলেও; বরং ABC বার বার topic অন্যদিকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে তার ভুল যারা ধরেছে তাদের কেই মূর্খ আর অর্বাচীন প্রমাণ করে defame করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে !

এজন্যই আমার এই পোস্ট, Linkedin এ যা দেখবেন, পড়বেন, তা-ই বিশ্বাস করে নিবেন না। এমনকি আমি post করলেও না ! নিজেরা যাচাই করে নেন, আমি যা বলেছি সেই সংজ্ঞাটা সঠিক কিনা। দরকার পড়লে google এ একটা সার্চ মেরে দেখেন। নিচে আমি চেষ্টা করলাম কিছু useful link দিতে, যেখান থেকে আর কিছু না হোক কেউ marketing নিয়ে চাপাবাজি করলে ধরতে পারবেন।
ধন্যবাদ



-Scion
1 Sept 2018

রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭

Motivational speaker

What is motivation? Is it something that comes externally? Or is it something inbuilt with your objective? Something to reach is being called your target or goal… then where does motivation fit in? If determination is not violated by mental pollution, obviously the question of lost motivation does not arrive. Then where does it come from? Is it a catalyst? Is it something like a success “Middleman”? is it something that helps like a drug? I am not an expert in that to judge. But I am a person who can raise these questions for a valid reason as a normal guy who requires a lot of “motivation” in life to cross a small milestone.
The very common context of motivational speech is a generic term that defines a successful person walking from left to right (and vice versa) on a stage with his/her hands shooting in different postures while speaking of personal success story with examples of real life case scenarios mixed with few nutty spices. The whole thing is called a session or seminar where people can also interactively participate in the “session” with the speaker and thus making the entire “thing” more attractive. Normally this successful person (who is a big shot!) also explains few scenarios of other influences and the journey of how s/he overcame the whole hard rough (offroad!)times and became such a “Big shot” successful person in life.
So very simply, when someone is moving towards a target, if the person is getting slow, fatigue stricken or leaning back; this boost up through a session is what a motivational session is and the person conducting such session is a motivational speaker – so the tipping point identifier and kick starter is a motivational speaker. Now here comes the twist, the people who attend such “sessions” are not with similar back ground or economical demography neither social nor mental state. So when the speech is un-tailored and generic the backfire rate is something sky high and that means the misinterpretation of the entire delivery as well. Thank goodness the audiences of our country do not take these speeches that seriously otherwise we would have been a zombie nation with burnt out brain cells and “kaput” mental navigations. From ancient times it is said “the one thing you can get free in this country is ADVICE” and now this advice thing is being given in a package called “motivational speech”. Advice is something that needs to be precisely designed for the person to get benefitted, otherwise there are chances it might go in a very wrong way. So when the honorable motivational speakers “broadcast” their mind waves in these sessions with most precious advices, do you really think that has a double figure ratio to get positively vibrant? Let me give you an example to clarify a bit more, do you have any idea of how many people take medical consultancy per day? Around 9 lac. Then do you know how many people actually take medical consultancy from an authentic medical facility? Around 30%-33%. The remaining percentages fall in the categories of “self treatment”, asking FnF, trying to go with it, going to quacks and frauds. Yes, you can point out different reasons for this phenomena like unavailability of proper facility, financial condition, scarcity of particular specialist, transport system hassle etc. But if we count the literacy rate of Bangladesh and look at this ratio we already know roughly around 50% people are out of the basket. So give or take 50% people are knowingly doing wrong (my personal opinion, these are “fatal wrongs” that leads to death!) and now you expect a nutty spicy personal case scenario filled juicy story telling guy’s session to be followed and tried by heart? A pretty far stretch that might have something else as an agenda (sounds highly like a conspiracy theory but it is as it is…) that are hidden from the naked eyes. That agenda is not related to the audience’s success or the motivational speaker’s capability of making things go north by any means, its linked with a fat paycheck, nothing else.
Let’s get one square back. Change the side of the speaker. Who is the person that is delivering the success story? What has this guy proved? Per minutes of this session is his success story actually. s/he is earning a quite handsome fat bill for this session. The fame through audience word-through-mouth is a topping. This person is saying what you already know since your childhood days from your FnF, teachers and well-wishers. The person who is this motivational guy, he seeks fame and fortune through this session itself, so it’s another feather in his hat rather trying to make you recover from what sh*t you are in. In fact s/he doesn’t even care what you need, it’s not in the to-do-list s/he will do in this session. It’s a scripted speech play he is performing on the stage for you. It is precisely designed for you to be confused and while your brain takes up the time to recalculate where the confusion is the topic moves to another such topic. While all these things are mostly associated with figures and thus you get attacked by “numeric confusion-bombs” over and over before you try to figure out where you stand in this entire flow of confusions, your brain’s initial feedback being prompted by the “motivational speaker” again- thus you surrender in the session to the “Hero speaker” who already showed the sign that he knows how you think, what you think and when you think (“Holy MS”, not “man-sh*t”, holy motivational speaker I meant)!!! Let’s say this guy said in his session, “During school life, I used to study in late nights and slept till 8AM.” Fair enough! His brain was capable of doing that. But it might be that your brain can understand stuffs in early morning. This ability of the brain is unique and varies from person to person. So even trying what you learnt in the session will ruin 2/3 mornings for you. Is that worth? Who has authenticated this person to become a motivational speaker? Yeah yeah, it doesn’t require any certificates to become a motivational speaker, but do you have the example that s/he actually has walked the beds of thrones to understand the real experience to share and tell you how to overcome? Or do you have a solid testimonial or real person who’s life turned downside up (as these speaker’s are portrayed) after this person’s motivational speech or simply, a person who stopped or started doing something after a session? Now-a-days a so called motivational speaker who claims to earn “Six figure” handsome salary is being “idol”-ed by many. Alas, this particular guy was hired by a leading mobile handset company to set up the brand and thus the business model altogether (as this guy was the CMO!!!). You know what, that brand is now counting time to get extinct dumping a hefty amount of money and getting almost nothing in return. Well, for that company I understand they took marketing gimmick too far by trying celebrity endorsement into some sort of “celebrity” recruitment to “do-nothing-to-enhance sales & distribution network-except-FB-posting-motivational pumps-and-ajaira unrelated-bungee” and paid the price. But yet, brand-wise speaking, this motivational speaker person earned already what he aimed for using this company as a ladder and gateway to corporate identity, God bless the person who recommended and selected this guy at the first place. Unfortunately now people take this guy as a motivational guru and wait to listen to him. The cliché is his success story has evolved once he became a “motivational speaker” not as a corporate person or a proven change maker in his professional trend yet this person is seen in corporate events delivering “know-how’s” on things he failed miserably …so it stands he was no successful person until he became a motivational speaker. For the sake of equation it stands, this guy is a good “speaker” and motivation is a topic that chooses. For a better understanding, if a satellite TV channel owner owns 2 channels at the same time, one broadcasting 24/7 fashion shows and music videos and the other one 24/7 Islamic religious talk shows and awareness programs does not make this owner a religious person neither a fashion icon rather a core business man who has no connection between personal ethics and business. 
Hardly will you find a real successful person conducting motivational sessions on a mass or commercial level. Because the real successful person knows the value of becoming “Successful” s/he has earned through his/her hardships and also knows this intrinsic experience that will change the course for another person is far too diversified with separate external factors involved which might be beyond the capacity of even understanding in an open mass session. The real successful persons also try to avoid such motivational experience sharing because they never think they are successful enough to be in a position to share their experience at all. Even when they are asked and requested, they are always interested to attend an open discussion session rather speech delivery session, because they think open discussions make minds open and new ideas float around which will help them as well.

We have been carried away by the savage hype of “motivational speaker” syndrome but have we looked just over our shoulders to find the utmost motivation of our life for all times there. The powers are within us. It’s not someone else who will wave the magic wand saying the spells on the stage with bogus stories making faces and suddenly everything will ease up for us. The miracles are around you, the motivations are all inside these miracles…Look at your mother’s satisfying face after you finish drinking the glass of water finishing all the food of your plate, look at the wrinkles vanish on your father’s forehead after your return home ending a hard day’s toil, see the million stars playing inside your child’s eyes when they find you to wrap around their tiny hands around with, see the supportive guardian smile in your spouse’s lips after you share a story of the day in your regular monotonous mechanical life, search for the slightest happy tears at the corners of your teacher’s eyes when you tell her/him about you being you today after bumping into each other in the street years apart, feel the pain inside your eardrums due to the scream and the heartbeats near your heart when your friend hugs you sharing the happiest moment of his/her life with you, shout with fake agony when your sibling beats you on your back for you being the most irritating sibling to him/her or simply in the raised thankful weak wrinkled hand after you help an old man cross the road in a mid day traffic…  How much more motivation does it take to make a miracle happen?    

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

শিক্ষা কি ?

মাঝে মাঝেই মাথাতে একটা পোকা চাড়া দিয়ে ঠে-নিজেকে মনে হয় অথর্ব, অকাজের, বুদ্ধিহীন, ভীতু, জড় পদার্থ (সবগুলোই ঠিক!) তখন কোন কাজ ই ভাল লাগে না; মনে হয় “ধুর শালা, কি আছে “গীবনে” (মুরাদ টাকলা ধন্যবাদ)”। কিন্তু কেন মনে হয় তা বের করে নিজেকে তার চেয়েও বেশী অসহায় মনে হয়। বুঝতে পারি কতটা নিচে আমি। নিজের অজান্তে কতটা বিক্ষুব্ধ আর বিবেক বর্জিত আমি। আমার চারপাশের যা কিছু অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারীতা, তার দায় ত আমার উপরেও আছে। আমিও ত মুখ বন্ধ করে দেখেও না দেখার ভান করে দ্রুত হেটে পার হয়ে যাই যেন আমাকে জড়াতে না হয়...
সবচেয়ে বড় কথা, চারপাশের এত এত বিরামহীন নিয়মহীন অব্যবস্থাপনা, এর মূল কারন কি? শুধু শুধু আমরা সরকারি দল, বিরোধী দল, সাবেক বিরোধী দল, ধর্মীয় দল, নিরধর্মীয় দল ইতং বিতং নিয়ে কোন্দল করছি। আগে প্রচলিত ছিল, সরষের মাঝে ভুত; এখন ত paddy field এর ট্রাক্টরের diesel এ “কেরাসিন” !!! আমরা মোটামুটি আমাদের সবকিছুকেই একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছি। কি সেই শিল্প? বিবেকহীন অনৈতিক যুক্তিহীন শিল্প ! (যারা যারা বিমূর্ত শিল্পকলা ভেবে বসে আছেন তারা হাত তুলেন) আমরা এতটাই এই শিল্পের প্রেমিক, যে নিজেরা একের পর এক এই শিল্প তৈরী করেই চলেছি না বুঝেই।
আমাদের মাঝে কয়জন আছেন যারা রাস্তায় হাটার সময় footpath ব্যবহার করেন? যেখানে footpath নাই সেখানে রাস্তার পাশ ঘেঁসে হাটি? উত্তরটা দেওয়ার আগে আমাদের চিন্তা করে নিতে হবে, কারন আমরা কখনই এভাবে ভাবি না। অথচ গ্রাম থেকে শহরে আসা একটা মানুষ ঠিক ঠিক এই নিয়ম মেনে রাস্তায় চলে, সেটা গাড়ি চাপার ভয়ে হোক অথবা গাড়ি চাপা না পরলেও তার চালকের গালাগালির ভয়ে হলেও হতে পারে। কিন্তু তাকে আপনি কোনভাবেই বলতে পারবেন না সে নিয়মের লঙ্ঘন করেছে। আবার কয়েকদিন পরে, সেই গ্রামের লোকটাই যখন সরকারী কোন পদে আসীন হবেন, তখন তার ভাবের ফাপড়ে অন্যদের কাপড় নষ্ট হতে পারে ! শুধু সে-ই না, তার আত্মীয়-স্বজন সহ আশেপাশের লোকজন এমনকি বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাটে ফাঁপর দিয়ে বেড়ায়। যে মানুষ সারাজীবন (শুধু সারা জীবন না, তার বাবা, তার বাবা... আব্বে Banglalink এর এড !!!) নিষ্পেষিত হয়ে এসেছে, সে সমাজের প্রতি মজ্জাগত বিদ্বেষ প্রকাশ করবেই। আর সুযোগ পেলেই তার উসুল ও তুলবে । যেমন, ড্রাইভার নেমে এসে দরজা না খুলে দিলে গাড়ি থেকে নামবে  না... পিছনে জ্যাম লেগে যাক !!! একবার Green road Comfort hospital  এর সামনে বিশাল জ্যাম লাগিয়ে এক পতাকাবাহী গাড়ি থেকে এক ছ্যাঁচড়া (এর চেয়ে ভাল কিছু বলা সম্ভব না) নামলেন উনার ড্রাইভার দরজা খুলে ধরার পরে। আমি চিক্কুর দিয়ে বল্লামঃ “আহ হা ! কি কষ্ট, গাড়িটা ক্যান লিফটের মধ্যে ঢুকানো গেল না !!!” (পিছনে হাসির রোল পরে গেল) ছ্যাঁচড়া আমার দিকে আগুন দৃষ্টি দিয়ে তাকালো (ভাই, পুরা বাংলা ছবির ভিলেন ইষ্টাইল!) আর বেচারা ড্রাইভার ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে হাফ ছেড়ে বাচলো; নাহলে পাব্লিক পরিবার সম্পর্কিত গালাগালিগুলো ওকেই হজম করতে হত ।

আমি কয়েকদিন হল একটা ছোট initiative নিয়েছি। আমি যতটা সম্ভব গাড়ির হর্ন না বাজিয়ে চালানোর চেষ্টা করি। খুব অবাক করার মত বিষয়, আসলে হর্ন ছাড়া চালানো খুব কষ্টের কিছু না ! in fact, নিতান্ত বদ গোছের কেউ না হলে, আপনি অনায়াসে হর্ন ছাড়া চালাতে পারবেন। তবে হ্যা, high beam/deeper light ব্যবহার করতে হবে। আমি প্রায় প্রতিরাতেই বের হই আর অবাক হই, এই শহরের রিকশাওয়ালা পর্যন্ত লাইটের মানে বোঝে। গাড়ির deeper দেখে পথ ছেড়ে দেয়। আরও অবাক হয়েছি সিটি সার্ভিসের বাস (বিশেষ করে মিরপুর রুটের) যাদের side না দেওয়া আর “চাপ” মারার কুখ্যাতি আছে, তারাও deeper দেখে হাতের ইশারায় পার হয়ে যাওয়ার জন্য বলে অথচ হর্ন বাজালে ভ্রুক্ষেপ ও করেন না। গাড়ির প্রসঙ্গ যখন আসলই, তখন আরেকটা উদাহরন দেই; কয়েকদিন আগে এক ভদ্রগোছের অভদ্রলোক এর দেখা পেলাম। মিরপুরে সিএনজি পাম্পএ দাড়িয়ে আছি গ্যাস নেবার জন্য, লোকটি খুব সুন্দর করে আমার গাড়ি ঘেঁসে ঘেঁসে হেটে যাচ্ছে, এর মাঝে স্বভাবতই গাড়ি queue এ এগিয়ে যাওয়াতে শুধুই neutral থেকে gear  আ শিফট করাতে উনার ‘শইল্লে’ সামান্য touch মাত্র লাগে (honestly, ওইটা শুধু touch  বল্লেও বেশী বলা হবে, যারা জানেন তারা বুঝতেসেন) লোকটা পট করে দাড়িয়ে আমার ড্রাইভারকে যা তা বলা শুরু করে দিল, শুধু ওইটুকু হলেও চলত, কিন্তু যখন উনি গাড়ির side glass ধরে টানাটানি শুরু করে দিলেন তখন আমার দাড়িয়ে থাকাটা সম্ভব হল না-আমি তাকে বললাম, driver  এর পক্ষ থেকে আমি আপনাকে  sorry বলছি, আপনি এইভাবে glass টা ধরে টানলে তা ভেঙ্গে যাবে ! লোক টা একটা ছোট pause  দিয়ে আবার বলা শুরু করে দিল- শুধু sorry  বললে হবে নাকি? যখন দেখলাম উনি সমানে “ত্যানা” প্যাচাইতেছেন, তখন আমিও দিলাম একটু প্যাচ (আমার ত প্যাচ মারা স্বভাব আগে থেকেই) খুব মোলায়েম সুরে বললাম, আপনি ত footpath  বাদ দিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন তাই গাড়ি ত লাগিয়ে দিসে, কিন্তুক ! যদি আমার ছোট গাড়ি না হয়ে বাস বা ট্রাক হইত, then  এতক্ষনে ত aunty বিধবা হইয়া যাইত ! এইবার ব্যাটা মহা খেপে গেল কারন আমি তাকে আকারে-ইঙ্গিতে “মামা” বানায়ে ফেলসি! উনি বললেন- রাস্তা দিয়া হাটসিলাম মানে? আমি রাস্তা পার হইতেসিলাম!!! আমি বললাম- আপনি ত আরেকটা নিয়ম ভাংসেন, অই যে foot over bridge, আপনি অইটা ব্যবহার না করে এইভাবে রাস্তার divider ডিঙ্গায়া পার হইতেসেন, আপনার পোলা-মাইয়া দেখলে কি শিখবে???
এইবার আসি আসল কথায়ে, “শিক্ষা” কি?
আমাদের এত এত সমস্যা এত ঝামেলা তার কারন কি? আমরা ত দেশের শিক্ষা সূচকে অনেক বিশাল আয়তনে এগিয়ে গিয়েছি। এখন ত আমাদের দেশের ৭৮.৫৬% মানুষ শিক্ষিত (Wikipedia 2015 data, 61% according to UNESCO)! আমাদের দেশের গ্রামের স্কুলে পর্যন্ত কম্পিউটার আছে, ইন্টারনেট আছে (যদিও তা তে মূলত ফেসবুক দেখা হয় আর “আই এয়াম যুনাইদ” প্র্যাকটিস করা হয়)  যে দেশের মানুষ এর শিক্ষার হার এত, সেই দেশের অবস্থা এমন কেন?  উত্তরটা খোঁজার জন্য রকেট বিজ্ঞানী দরকার নাই, শুধু country ranking according to literacy rate এর দিকে তাকালেই চলবে। আমাদের মাঝের আমরা শুধুই দেখি “কতটা” শিক্ষিত “আমাদের” মাঝে। কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছি শিক্ষিত বলতে আমরা কি শুধুই একটা সার্টিফিকেট কে বোঝাচ্ছি কি না?
আমার মনে পরে আইবিএ-তে এনামুল হক স্যারের ইকোনমিক্স এর প্রথম ক্লাসের প্রথম কথা। উনি আমাদের কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, শিক্ষা কি? আমরা মোটামুটি মাথা চুল্কে চলটা তুলে ফেলসিলাম কিন্তু সঠিক উত্তরটা দিতে পারিনি। উত্তরটা হল, enlightenment , আলো ! “আমি এসেছি এখানে অন্যদের enlightened করতে। to give you thoughts of mind, broaden your thinking; স্যারের মুচকি হাসির ফাঁকে এই অমোঘ বাক্যটি সারাটা জীবন যেন জ্বলজ্বল করবে।
আসলেই কিন্তু তাই। শিক্ষিত সেই মানুষ, যার কাছ থেকে অন্য মানুষ কিছু শিখে। তার মানে এই না যে যেই মানুষটা সারাক্ষন অন্যদের “শিক্ষা” দিয়ে বেড়ান উনি মহা শিক্ষিত... (যার নজির আমরা দেখি, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় মাপের কোন অনুষ্ঠানে মহা সম্মানিত অতিথি আসেন কোন রকমে স্কুল পাশ করা মহান নেতা !!!) যে মানুষটির নিজের অজান্তে অথবা কাজের মাধ্যমে অন্য মানুষের মাঝে শিক্ষা প্রচারিত হয়, সেই শিক্ষিত। একটু ভাবেন ত, আমাদের কয়জন এভাবে চিন্তা করেছি? আমি ত প্রতিনিয়ত ভয় পাই, আমার বাজে জিনিসগুলো আমার সন্তান রা যেন না শিখে ফেলে। আমি জানি আপনারাও এভাবে সতর্ক থাকেন। কিন্তু নিজের সন্তান বাদে? অন্যদের ক্ষেত্রে?
আমাদের সমাজে অনেকে আছেন যারা বড়াই করেন, “আমি ত দুই যুগ ধরে বিদেশে থাকি, এই দেশের বাজে culture আমার মাঝে নাই” (খারান একটু হাইস্যা নেই...হাহাহা) বিদেশ এ থাকা টা যদি আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট-র মাঝে ফুটে উঠত তাহলে আপনি আর এই কথা বলতেন না !!! একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল,
এক বিয়ে বাড়িতে এক মহিলা এক লোককে দেখে বলছেঃ “আমি আমার বাচ্চাদেরকে যেভাবে বড় করছি তা দেখে যে কেউ স্বীকার করবে আমি কতটা modern”...
লোকটি জিজ্ঞেস করলঃ তাই? আপনি কি করেন?
ঃ আমি বিদেশে থাকি, আপনি?
ঃ অহ, আমি ঢাকা তে থাকি...
হাহাহা, কেউ হাসল না দেখে নিজেই হাসি, হাজার হলেও বিদেশে থাকা মানুষরা আমার সামনে নিদেনপক্ষে এইটাকে credit হিসাবে নেওয়ার আগে ৩/৪ বার ভাববে...(সায়ন যেই জিনিশ, অর সামনে না-ই বা বলি...) তবে বেশির ভাগ সময়ে, এই credit নেওয়াটা ঘটে supplementary ব্যাক্তি বর্গের মাঝে। মানে হল, যারা অন্যের উপর ভর করে বিদেশে গিয়েছেন-নিজের জন্য বা নিজের যোগ্যতায় না। যেমনঃ toilet cleaner কিনলে মগ free, লুঙ্গি কিনলে রুমাল free, সাবান কিনলে soap case ফ্রী, গাড়ি কিনলে এক কেজি পিঁয়াজ free... (রোজার দিন...) সেইরকম আর কি, জামাই বিদেশ গেসে-বউ ফ্রি তে গেসে...  
Credit নেওয়ার বিষয়টা যখন আসলোই, তখন আরও সুন্দর উদাহরন দেওয়া যায়, আমাদের এই সমাজে উপকারীর উপকার অস্বীকার করা একটা বিশাল credit এর ব্যাপার। শুধু তাই ই না, উপকারির অপকার করা ত celebrity পর্যায় পরে যায়! হয়ত, একটা ৭/৮ জনের সংসার চলত একটা মানুষের উপরে ভরসা করে, সেই মানুষটার নীরব কষ্ট স্বীকার করা উপার্জন থেকে সাহায্য নিয়ে চলত সেই সংসার; তার টাকায় ভর করা ভবিষ্যত, সংসারের ছোটদের- কিন্তু এক সময়ে গিয়ে দেখা যায়, ওই সংসারের সবচেয়ে অবহেলিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষ সে-ই! কারন ততদিনে ভবিষ্যত তৈরী হয়ে গেছে, তাকে আর দরকার নাই। তার কষ্টগুলো তখন দেখা হয় বাতুলতা হিসাবে। এমন উদাহরন শুধু সিনেমাতে না, বাস্তবেও প্রচুর আছে। তথাকথিত “শিক্ষিত”, অথবা credit নেওয়া প্রবাসী পরিবারের মাঝেই আছে !
আমাদের দেশে আইন ভেঙ্গে বা নিয়ম ভেঙ্গে চলা কে ভাবা হয় খুব credit এর কাজ! রাস্তা তে মহা জ্যাম, উলটা পথে পু পু করে সাইরেন বাজিয়ে চলে যান, what a ভাব ! কোনখানে বিশাল queue? মাঝখানে ঢুকে বলেন, “জানেন আমি কে?” অত্যান্ত ভাব-বাচক ব্যাপার !!! কিন্তু আমরা এর উলটা টা চিন্তা করে দেখি না। যে মানুষটা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করল না, উপরন্তু, সেটা লুকিয়ে রাখার জন্য নিতান্ত সাধারন হয়ে চলল, অন্য মানুষ জানতে চাইবে, “উনি কে ভাই?” নিজের পরিচয় দিয়ে কাজ আদায় করার চেয়ে নিজের কাজের মাধ্যমে পরিচয় প্রচার কি বেশী ভাল না?
মহান স্রষ্ঠার কাছে, আমার বাবা-মা, বোন, স্ত্রী, পরিবার আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমি প্রতিনিয়ত কৃতজ্ঞ, পৃথিবীর অনেককিছু আমাকে তারা দেখিয়ে দিয়েছেন। কোনটা ভাল ভাবে, কোনটা কেন খারাপভাবে তার যুক্তি হয়ত আমি জানি না। কিন্তু তার প্রত্যেকটা আমাকে দিয়েছে অভিজ্ঞতা- শিক্ষা। আমিও যেন আমার সেই শিক্ষাটা একটু করে হলেও ছড়াতে পারি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, সেটাই কামনা করি । আর যাই হোক আমাকে গন্ড মূর্খ বলা ঠেকাতে হবে।
কে জানে, হয়ত সেটাই আসলে মানবসভ্যতার মূল উদ্দ্যেশ্য !

সায়ন

২১ জুন ২০১৬