Who am I ?

... no description fits me exactly. But i can say, i m always trying to find out what is the proper way to express myself and my thoughts. Like after the main course, u need a dessert... this is my mind dessert. Time passes on and so do my thoughts...i try to catch some of them and stick them here with letters, words, sentences and all other possible ways i know.

অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম একটু একটু করে লেখালেখি করি নিজের মত করে।কোন কারণে নয়, শখের বশে অহেতুক কিছু কথা লিখে জীবনের একটা দলিল করে রাখার মত আরকি...কিন্তু কিছুতেই আর হয়ে ওঠে না।সেটাই স্বাভাবিক কারন আমার মত অলস মানুষ কম ই আছে দুনিয়ায় ! অবশেষে একদিন শুরু করে দিলাম । মনের অনেক কথা , সামাজিক চিন্তা, নিজের মতামত কিংবা নিতান্তই আবোলতাবোল কিছু হয়ত লিখব। তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যেন কেউ আমার কথা তে আঘাত পেয়ে মাইন্ড না খায়...আমি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান,দল, গোষ্ঠি, সমিতি, জাতি, গোত্র, ধর্ম বা শ্রেনীকে কেন্দ্র করে, উপেক্ষা করে, কটাক্ষ করে, আঘাত করে, উদ্দেশ্য করে, ইঙ্গিত করে বা উস্কানী দিয়ে কিছু লিখবো না। তারপর ও যদি কেউ যদি আমার কোন পোস্ট দ্বারা মানসিক, সামাজিক, চারিত্রিক, বাহ্যিক, আন্তরিক (!), আর্থিক বা শারিরিক (!?) ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে (যা জীবনেও সম্ভব না, হলেও মানবো না !) তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে বিবেচিত হবে কারণ এই ব্লগ শুধুমাত্র ভারসাম্যহীনদের ভারসাম্যের প্রচেষ্টামাত্র...

আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...

সায়ন আনজীর
২০১০।

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ঘি সয় না !!!

 

 

এটা নিয়ে অনেকবার বলেছি, আবারো বলি – আমাদের দেশের মানুষ কিছু কিছু জিনিষ deserve করে না। সুতরাং শুধু শুধু সেগুলোতে খরচ না করে আমাদের মত আমজনতার ট্যাক্সের টাকা আরেকজনকে মুফতে গোগ্রাসে খাওয়ার scope বানানো বন্ধ করা উচিত।

যদি উদাহরন দেই, ট্রাফিক সিগ্ন্যালের বাত্তি !!! আজ পর্যন্ত দেখলাম না এইগুলাকে ঠিকঠাক মত ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করতে। উলটা এমন দেখসি যে লাল বাত্তি দেখে দাঁড়ায়ে পড়া confused driver কে ট্রাফিক পুলিশ ঝারি মারতেসে ফাঁকা রাস্তায় দাঁড়ায়ে পরসে কেন? এর পাশাপাশি এইগুলার কারেন্টের খরচ, যখন তখন নিজেদের মনের ইচ্ছামত জ্বলে আর নিভে। আবার এইগুলাকে নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন ও দেখি করা হয়। রাস্তার একপাশ আটকায়ে ক্রেন লাগায়ে এইগুলা কে align করা হয়, রঙ করা হয়, ঠিকমত জ্বলতেসে কিনা চেক করা হয়!!! আদতে এইগুলাকে চাইলে বিয়া বাড়ির ডেকোরেশনের কাজে ভাড়া দিলেও কাজে আসতো… লাল, হলুদ, সবুজ নিজে নিজে জ্বলে একটা হাল্কা ডিজে ডিজে ভাব নিয়ে আসতো ! আমরা চাইলে কিন্তু বলতে পারি, আমরা wireless traffic signalling যুগে প্রবেশ করেছি। আমাদের দেশে বাচ্চাদের কে স্কুলে পড়ানো হবে, বলত বাবু, ট্রাফিক লাইট কাকে বলে? বাবু উত্তর দিবে- কোন এক কালে এদেশের রাস্তাঘাটে একধরনের লাইট দেখা যেত যার কোন কাজ ছিল না… ক্যান্টনমেন্ট বাদে এদেশের এমন কোন জায়গা দেখানো সম্ভব যেখানে ট্রাফিক লাইট মানা হয়? যদি না-ই হয়, তাহলে এগুলো রাখা হইসে কি দেশ হিসাবে status symbol হিসাবে? আমরা আসলে এগুলোর যোগ্য না।

আরেকটা জায়গা… BRTC…এই এমন একটা জায়গা যেখানে দুনিয়ার বড় বড় waste disposal কোম্পানি গুলোর হোমরাচোমরা বড় কর্তারা এসে পায়ে পড়ে থাকে একটা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য… বড় বড় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ওয়েস্ট ডিস্পোজাল এক্সপার্টরা এসে নিয়মিত কান্নাকাটি করে… এর এক্টাই কারন, এইখানে যা ই দেওয়া হোক, তা নাই হয়ে যায়। আপনি ভল্ভো আলেকজান্ডার দেন আর দাইয়ু দেন কোন লাভ নাই। প্রতি বাস মাত্র কয়েক সপ্তাহ ঠিকমত চলতে পারবে বড়জোর! তারপর থেকেই এটা নাই, ঐটা উধাও, এইটা বসা, ঐটা খসা… অনেকটা ব্ল্যাকহোলের মত… হা করে আছে বাইরে থেকে যা আসবে ক্যোঁৎ করে গিলে খাবে! অন্যান্য কোম্পানী লাভের উপরে লাভ করে মাসের পর মাস নিজেদের সেম বাস দিয়ে কোয়ালিটি সারভিস দিচ্ছে আর BRTC সেম জিনিষ নিমেষে ধ্বংস করে ফেলতেসে। আমার মনে হয় যখন কোন নতুন বাস ডিপোতে ঢুকে তখন কসাই-র ভাগাভাগি স্টার্ট হয়ে যায়, সিনাটা অমুক সাহেবের, সামনের রান অমুক ভাইএর, কলিজাটা তমুকের… সেরকম, ইঞ্জিন হেড অমুক স্যারের, টায়ারগুলা তমুক ভাইয়ের, সামনের গ্রিলসহ লাইটগুলা তমুকের… প্রতি বছর এরা লোকসান দিয়ে যাচ্ছে, প্রতিবছর নতুন বাসের হয় চাহিদা নাহলে চালান আসতেসে, প্রতিবছর সাংবাদিক আর বুদ্ধিজীবিদের ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে, প্রতিবছর ওখানের কর্মকর্তা/কর্মচারী দের পকেটে অঢেল টাকা ঢুকতেসে!!! এদের কে সোজাসুজি বন্ধ করে দেওয়া উচিত! আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এমন চোরের সিন্ডিকেট পোষার দরকার কি? এর চেয়ে এই বছর বছর ৩০০/৪০০ বাস না এনে এই বাজেট রেল+নৌ পথে উন্নতির জন্য ব্যবহার করা যাক। সড়কের ত উন্নয়ন হচ্ছেই, BRTC পোষার যুক্তিকতা কতটুকু?

 

আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি কোন ইভেন্ট টা হয় জানেন? না জানলে বলে দিচ্ছি –

উদ্বোধন !!!

 

সকালে অমুক উদ্বোধন, ত বিকালে তমুক … এক-ই মানুষ ও দেখা যায় অনেক জায়গায় অনেককিছু উদ্বোধন করে যাচ্ছেন। আজ "নিখিল বাংলাদেশ আলুপ্রেমী সমিতির" উদ্বোধন ত কালকে সেই লোক-ই "বাংলাদেশ আলু ঠেকাও আন্দোলনের" উদ্বোধনে হাজির। প্রচুর প্রচুর উদ্বোধন চারদিকে, কিন্তু এরপর এগুলোকে কয়জন দেখে? কয়জন আসলে এই উদ্বোধন হওয়া “ব্যাপারটার” সুবিধা ভোগ করেন? হ্যা, একেবারে যে সুবিধা দিচ্ছে না তা বলি নাই (সুরম্য পাবলিক টয়লেটগুলো এর খুব সুন্দর উদাহরন) , কিন্তু বেশিরভাগ-ই দিচ্ছে না এইটা বলেছি। ঢাকার বাসে Wifi সুবিধা… মহিলাদের জন্য আলাদা বাস… পথচারিদের রাস্তা পার হওয়ার জন্য বিশেষ বাটন লাগানো সিগ্নাল বাতি…ভ্রাম্যমান পাবলিক টয়লেট... মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা… চক্রাকার নৌপথ… ডেমু ট্রেন… নাগরিক সুবিধা-অসুবিধা app… নির্ধারিত রাস্তা ছাড়া রিকশা না চলাচল... কাওরানবাজার মাছের আড়তের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাস্তা খালি করে দেওয়া... মহাসড়কে অটোরিকশা না চলাচল... ট্রেনের ছাদে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা... বাংলাদেশের এমাজন+জেফ বেজোস... থুক্কু... কতকিছু শুধু আসলো মহা সমারোহে… গায়েব হয়ে গেল একদম কম সময়ে কোন আওয়াজ না করে ! কতকিছুর “নতুন দিক উন্মোচন” হল… কতকিছু “নতুন আশা” জাগালো… কিন্তু দিনশেষে???!!!

 

এজন্য-ই এই হতাশা, আগে দেখি নিজের এখন পর্যন্ত কি আছে? সেগুলোকে কি আমরা ঠিক মত utilize করতেসি? ধরি প্রথম যে উদাহরন টা দিলাম, ট্রাফিক পুলিশ হাত দিয়ে কন্ট্রোল করছে করুক, তাদের কে একটা wireless remote তৈরি করে দেই, যেটা দিয়ে manually তারা এই লাইটগুলোকে control করবেন, তাহলে ত আস্তে আস্তে লাইটের ব্যবহার টা inject হতে থাকবে সবার মনের ভিতরে এবং চালকের অবচেতন মনেও, এক সময় সেটাই চালু হয়ে যাবে… অনেকটা বাইকের হেলমেটের মত।

 

৫০ বছর ত পার হয়ে গেল, এখনও যদি আমাদের মুরুব্বি অভিভাবকেরা মনে করেন show off করেই চলতে পারবে আর নিজে যা বুঝে সেটাই ঠিক, তাহলে কপালে গালাগালি, দল থেকে বহিস্কার, সম্মানহীন ঝরে পড়া ছাড়া আর কোন ভবিষ্যত তাদের জন্য নাই। দেশটা উনাদের কাছে অনেক আশা করে, আমরা আমজনতা আজ এই আশা ব্যাপারটাই ছাড়তে শিখলাম না বলে…   

 

 

সায়ন

১৯ অক্টোবর ২০২১

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন