This is my mind dessert. After a while of time i feel keyboard hungry to express a few thoughts and now i think i can share them and preserve them as well. Might be one day this will become an asset for me.
Who am I ?
আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...
২০১০।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
ছেঁড়া নকশি কাঁথা
বাংলাদেশ নতুন করে ৩৬ জুলাই ২৪ এ স্বাধীন হলো। অনেক রক্ত আর আন্দোলনের পর ১৫/১৬ বছরের রেজিম বিদায় নিয়েছে - অত্যাচার আর বঞ্চণার পর যেন এদেশে মানুষ নিজেদের কণ্ঠ নিজেরা শুনতে পেয়েছে অনেক বছর পর ...কিন্তু নিজেদের কণ্ঠ শুনে কেমন যেন নিজেরাই চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা সবার !
এরপর সবাই জানি প্রফেসর ইউনুস দেশের হাল ধরেছেন সমন্বক দের অনুরোধ রক্ষা করে - ইন ফ্যাক্ট উনার নিজের ও ইচ্ছা ছিল সেটা অবশ্য অন্য আলাপ ! আমি নিজে একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে কি কি উপলব্ধি করলাম আর কি কি করা উচিত ছিল বলে মনে করি সেটা নিয়ে আমার এই ইতিহাসে লিখে রাখার চেষ্টা মাত্র সুতরাং একদম কড়া রাজনৈতিক বা জিয়োপলিটিকাল আলাপ এর দিকে না যাই ।
শুরুতেই বলি আমি নিজেকে নির্ভেজাল একজন সাধারণ নাগরিক মনে করি এবং এই কারণে আমার দেশত্ববোধ এবং জাতীয়তা নিয়ে আমি যেকোনো পরিস্থিতি তে কোন শর্ত ছাড়াই দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেলি। এক্ষেত্রে আমার দল মত বা ব্যক্তি কখনোই প্রাধান্য পায়নাই এবং পাওয়ার কোন সম্ভাবনা ও নাই।
আমার মত এ বাংলাদেশের মানুষ কে সন্তুষ্ঠ করা অনেক সহজ - শুধু তিনটি প্রধান চাহিদা - এক, খাদ্যের দাম কম হতে হবে, নিরাপত্তা থাকতে হবে (মানে হুটহাট করে একসিডেন্ট, ডাকাতি বা ছিনতাই হবে না) আর পরিশেষে আমাদের পাসপোর্টের দাম বাড়াতে হবে যেন এদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা সহজে বিদেশ গিয়ে চাকরি করতে পারে। বাদবাকি সবকিছু নিয়ে এদেশের মানুষ খুব একটা ভাবে না অথবা মনে করে আমার ভাবার দরকার নাই - যদি না কেউ এসে জোর করে ভাবানোর চেষ্টা করে - মানে বাইরের শক্তির কথা বলছি ! আমাদের দেশের মানুষ এমনিতেই অনেক সহনশীল এবং তারা মনের ভিতর থেকে কুটিল নয় - নাহলে ৫ আগস্টের আশেপাশে যখন দেশে আইন বলতে কিছু ছিল না তখন ব্যাংক লুট, ডাকাতি, খুন দিয়ে ভরে যেত - কিন্তু সেই সময় এগুলো শুরু হলেও অরাজকতা বলতে যেই ব্যাপারটা পশ্চিমা দেশে ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলেই শুরু হয়ে যায় -সেটা ছিল না। এ থেকে ভালো করেই বোঝা যায় এদেশের মানুষ সাধারণত শান্তিপ্রিয় তথাপি তাদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করে যা সময় সময়ে তাদের কে উদ্বেলিত করে।এবার বলি ইন্টেরিম সরকারের অনেক কাজ ই প্রশংসার দাবিদার এবং তাদের কাজ এর ধরণ ও বেশ ভালো লেগেছে। অন্তত গিমিক হিসাবেও যদি এর ২৫% কাজ হয়ে থাকে আর সেটা যদি ধরে রাখা সম্ভব হয় সেটাও অনেক কিছু - কিন্তু এতো কিছুর পর ও কিছু জিনিস নিয়ে খুব বেশি খারাপ লাগা কাজ করেছে, হতে পারে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত অথবা আমার মতো কম বুদ্ধির মানুষের কাছে খারাপ লেগেছে -
প্রথমত পুলিশের ভূমিকা
যখন দেশে আগের রেজিমের নেতা হোতা রা ছিল তখন বুঝলাম পুলিশের কাজ অনেকটাই আজ্ঞাবহ লাঠিয়াল এর মতো করে যাকে তাকে ধরে বেঁধে পিটে হুমকি ধামকি দিয়ে দাবিয়ে রাখা ছিল। পছন্দের মানুষ দের জন্য সবকিছু মাফ ছিল। কেউ কেউ তো আবার ছিল একদম সবকিছুর উর্দ্ধে - তাদের কে ধরা তো দূরের কথা তাদের সাথে কথা বলার ও অনুমতি ছিল না সে যা খুশি করুক - দেশে তখন সবাই ভিআইপি আর সবাই কারো না কারো আত্মীয় ! কিন্তু ৩৬ জুলাই এর পরে তো পুলিশের অবস্থান নিজেদের কীর্তিকলাপ এর জন্য মাটিতে মিশে যায় আর তারা বেশিরভাগ ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে - অনেকে পালিয়ে যায় আবার অনেকে জীবনের মায়ায় লুকিয়ে থাকে বা যতটুকু সম্ভব আড়ালে থেকে দেখতে থাকে আসলে কি হচ্ছে। কিন্তু যখন বা যেদিন থেকে পুলিশ আবার তাদের পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া শুরু করে তখন থেকে তাদের আবার মানুষ একটু হইলেও সম্মান দেওয়া শুরু করে - মানুষ বুঝতে পারে এখন যারা পোশাক পরে রাস্তায় বের হয়েছে আর যাই হোক তারা আগের সময়ের সেই নষ্ট গ্রূপ টার অংশ না। কিন্তু সেই বাহিনী কি আসলেই তাদের নতুন করে শুরুটা ভালো করে সম্মান ধরে রেখে কাজ করছে? তাদের তো উচিত ছিল এই সময়ে নিজেদের মর্যাদা ধরে রেখে মানুষের পাশে নাহোক অন্তত আইনের কাজ গুলো করে যাওয়া কিন্তু আদতে তারা যেখানেই কোন কিছু দেখেছে সেখান থেকে আরো দূরে সরে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করে গেছে। তাদের কেউ কেউ আবার এই সময়ে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর কাজে নেমেছে, কেউ কেউ আবার হবু নেতা দের সাথে সেই পুরাতন রেজিম স্টাইলে একই মডেল এ সেফ থাকার কাজ করেছে। মাঝে থেকে আমজনতা আবার সেই একই গন্ধ পাচ্ছে।ধরে নিলাম ঘুষ খাওয়া কমেছে ! এটা ভালো দিক - কিন্তু কথা হলো ধরুন আপনি কোনো সঠিক কাজের জন্য হয়রান হয়ে শেষে ঘুষ দিয়ে rightful থাকার পর ও কাজ টা করিয়েছেন বনাম আপনি ঘুষ ও দেন নাই বলে অনেক গর্বিত বোধ করছেন এবং সেটা নিয়ে প্রচুর আলাপ আলোচনা করে ফাটিয়ে ফেলছেন কিন্তু আবার আপনার কাজ ও হয় নাই , এই দুইটার মধ্যে আপনি কোনটা কে প্রাধান্য দিবেন? পুলিশের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের কে নতুন করে জন্ম দেওয়ার একটা এতো সুন্দর সুযোগ জীবনে আর আসবে বলে মনে হয় না, তাহলে কেন আবার এমন হলো সেইটা কি ভেবে দেখা দরকার না? সম্ভাবনা বা কারণ অনেক থাকতে পারে কিন্তু সবথেকে ভয়ংকর কারণ হবে যদি এইটা বের হয় যে পুলিশের এখনের সদস্যরা ইচ্ছাকরে এইসব করছে। তারা তাদের "খাইসলত" বদলাবে না, শুধু কার লাঠিয়াল হয়ে থাকবে সেটা যেহেতু চেঞ্জ হবে তাই বসে বসে সময় পার করতেসে নতুন "বস" এর আশায়?এইটা হলে যত সংস্কারই আসুক না কেন আপনি ধরে নিন আবার আরেকটা রেজিম তৈরির পথ হচ্ছে - যেটা আরো ভয়ংকর হবে কারণ এই নতুন রেজিম কে কন্ট্রোল করবে যারা এখন ভালো মানুষের মুখোশে আছে আর তারা উল্টা বলবে আমরা তোমাদের কে এই অবস্থান এ এনেছি - তোমরা যদি পতন না চাও আমরা যা যেভাবে বলি মেনে নাও !
সেবা খাত
এই জায়গায় আমরা বরাবরই খুব দুর্বল এবং সেটা আজকে থেকে না -অনেকদিন থেকেই। মাঝে আমরা যা কিছু একটু উন্নতি করেছিলাম তা যেন আবার আমাদের নিজেদের কারণেই নাই হয়ে গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিপক্ষের চাপে আমরা নিজেরাই যেন নিজেদের কে এই একটা জায়গায় বিশ্বাস করতে পারছিলাম না - আমার মনে হয় এখনো পুরোপুরি করি না !। আগের রেজিমের অনেক চটকদার ও মানবকল্যান এর জন্য ভালো ভালো ইনিশিয়েটিভ নিয়েছিল কিন্তু এক এক করে তার সব এ বন্ধ হয়ে যায় তা দেখে বোঝা যায় এগুলো আসলে টাকা মারার ধান্দা ছিল, মানুষের কল্যাণের জন্য না। উদাহরণ হিসাবে বলি, ওয়াই ফাই যুক্ত বাস, ঢাকার জন্য সার্কুলার নৌপথ এ ওয়াটার বাস, নারীদের জন্য বাস, অনলাইনে জিডি করা, ট্রাফিক লাইট, পথচারী পারাপার এর জন্য বাটন যুক্ত সিগন্যাল, নাগরিক সেবা বা অভিযোগের জন্য নগর app , স্কুলের শিশুদের জন্য পাঠ্যবই এর অনলাইন ভার্সন এমন হাজারো কিছু !!! কয়টা উদ্বোধনের পর খুঁজে পাওয়া গেসে? বেশির ভাগ ই বিভিন্ন সরকারি বিভাগের বাজেট খোর দের তৃপ্তি মিটিয়ে ধুঁকে ধুঁকে হয় শেষ হয়ে গেছে অথবা মানুষ ভুলে গেছে। কিন্তু এই জিনিসগুলো যে আসলেই কাজের এবং মানুষের কাছে যে এইসবের চাহিদা ও আছে সেটা আবার ঠিক ই প্রাইভেট সেক্টরে দেখা যায়। খেয়াল করে দেখবেন এখনো অনেক আগের কোনো সার্ভিস প্রাইভেট সেক্টরে চালু আছে যেটা হয়তো আপনি খুব ঠেকায় না পড়লে ব্যবহার ই করেনা না। খুব কম এফোর্ট দিয়ে এই সরকার চাইলেই এই বসে থাকা জিনিসগুলো চালু করে মানুষের সেবা দিতে পারতো। উদাহরণ দেই আবার - এখনই ঢাকা তে কম খরচে নারীদের জন্য বাস চালু করতে পারে - একটা দুইটা না বরং অনেকগুলো চালু করতে পারে , সেই বাসের হেলপার নারী হবে আবার সেই বাসের কারণে শহরে ঘা পাঁচড়া হিসাবে ব্যাটারি টেসলার পরিমান কমিয়ে আনার কাজ ও করে ফেলতে পারতো, এক চান্সএ বিআরটিসির পচে যাওয়া দুর্নীতির রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বড় সংখক বাস প্রকৃত পন্থায় চলাচল করার সুযোগ তৈরী হতো ! এই একই পদ্ধতি তে ঢাকার সব বড় স্কুল গুলোকে বাধ্যতামূলক স্কুল বাস চালু করার কাজটাও করে ফেলতে পারতো - রাস্তায় রাস্তায় ধনীর দুলাল ও দুলালী দের জন্য অপেক্ষমান গাড়ি দিয়ে জ্যাম কমে আসতো - আবারো টেসলার দৌরাত্ম কমতো - দৈনন্দিন যাতায়াতের খরচ ও যন্ত্রনা কমে আসতো। এখন যারা নীতি নির্ধারক আছেন তাদের তো জনপ্রিয় হবার দরকার নাই যে আবার সামনের ইলেকশনে জিততে হবে ! তারা নীতি করেই খালাস হইলেও হবে না - সেগুলো কে কাজে লাগাতে হবে এবং কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সেটাও নজর রাখতে হবে।মানছি বাজার দর ধরে রাখার জন্য তাদের যে তদারকি এবং চেষ্টা সেটা অনেকটা কাজে দিয়েছে কিন্তু তার পাশাপাশি অন্য জায়গা গুলোতেও তো তদারকি প্রয়োজন ! এইটুকু করার জন্য তারা তো আর নিজেরা করবেন না - তারা করবেন তাদের ডিপার্টমেন্ট দিয়ে ! কোনো জায়গায় যদি কোনো উপদেষ্টার কাজ করার দক্ষতা বা আয়ত্বে আনার ক্ষমতার কমতি দেখা যায় তাহলে তাকে বাদ কেন দেওয়া হবে না? এমন তো না যে উপদেষ্ঠা বলে তার ভুল থাকতে পারবে না বা তার ভুল কাজের ব্যাখ্যা কেউ চাইতে পারবে না , আদতে তাদের কাজ ই তো এই বৈষম্য দূর করে সংস্কার করা !
পররাষ্ট্র
এই একটা জায়গায় আমরা গত ১৫/১৬ বছরে এমন পিছিয়ে গিয়েছি যে এখন আমাদের কোনো পররাষ্ট্র নীতি আছে বলেই মনে হয় না ! অবস্থা এমন হয়েছিল আমাদের পররাষ্ট্র নীতি করার জন্য প্রথমে আরেক দেশের সাথে দেনদরবার করা লাগতো। ভারতপন্থী, পাকপন্থী, চীনপন্থী, মার্কিনপন্থী এতসব পন্থীর মাঝে আমাদের বাংলাদেশপন্থী আর কেউ নাই - আসুন এবার ভাবি আমাদের কি সম্পদ আছে সেটা নিয়ে কারণ পররাষ্ট্র নীতি কাজ করে কি দিবে আর কি নিবে এইটার উপরে। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি যেই সম্পদ তা হলো মানুষ ! এই মানুষ গুলো কে একসময় আমরা বিদেশে বিভিন্ন পেশা তে নিয়োগ দিতাম, আর সেই থেকেই আজকে আমাদের রেমিটেন্স একটা অনেক বড় শক্তি। এখন এই জায়গায় আমরা প্রায় শূন্যের ঘরে। আমাদের দেশের পাসপোর্ট বিভিন্ন দেশে এখন রীতিমতো অস্পৃশ্য !!! আমাদের কে কাজে নিয়োগ দেওয়া তো দূরে থাকুক আমাদের কে এয়ারপোর্ট ই পার না হতে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মনে রাখা উচিত এই দেশের পুনর্জন্মের অনেক বড় ভূমিকা এদেশের প্রবাসী ভাইরা যারা দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে রক্ত ঘামের প্রতিদানে যা পান তা এই দেশের জন্য বৈধ রাস্তায় পাঠিয়ে অবদান রাখার ও চেষ্টা করেন ! আজকে আমাদের দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের সুনাম এশিয়া ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশের নার্স আর কেয়ার গিভার রা ইউরোপে সুনাম কুড়াচ্ছে কিন্তু তার সব ই নিজেদের যোগাযোগএ বা দৈবক্রমে !!! আমাদের এই বিশাল সম্পদ আমরা বাইরের মাটিতে ব্র্যান্ড হিসাবে প্রমোট করি নাই। এইটা আমরা বুঝিনাই যে দেশের বাইরে আমি আম্মা লীগ বা বিম্পি বিদেশ শাখা খুলে বিভেদ না করে সবাই এক সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে আছি এই ঐক্যটা বেশি দরকার। আর দরকার আমাদের পাসপোর্ট টা কে একটু মর্যাদা দেওয়া। আমাদের দেশের কর্মীদের বাইরের দেশে কর্মঠ আর বিশ্বস্ত হিসাবে যে সুনাম টা আছে টা কে প্রমোট করে সামনে নিয়ে আসা। দেশের অনেক বড় একটা অংশ বেকার - যাদের অনেকেই হতাশায় ভুগে অথবা বড় কিছু করার আশা তে ফটকাবাজ দের সাথে হাত মিলায় বা তাদের শিকার হয়ে আরো হতাশায় পরে !!! আউটসোর্সিং এর মূল ঝুলায়ে, স্টার্টআপ এর নাম করে, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এর পুঁজি মেরে আমরা সত্যিকার অর্থে তেমন কিছুই করি নাই শুধু একটা সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া !আজকে আমার দেশে বিদেশী vloger এসে ভিডিও করে করে এই দেশের কোটি কোটি ভিউ পেয়ে ব্যবসা করে চলে যাচ্ছে শুধু মাত্র আমাদের মানুষ এতো বেশি তাই সংখ্যাটা বড় হইতেসে বলে। এই বিশাল অংশের একটা ছোট অংশ কেও যদি বাইরে পাঠানো যায় তারা আমাদের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসবে।দিনশেষে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের এখনো চক্ষুলজ্জার কারণে দেশে ছোটকিছু করার থেকে বিদেশে ছোটোকিছু করার আগ্রহের কমতি নাই। আমার মত হলো আমরা যে বিশ্বের বুকে দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি এক্সপোর্টার কোনোদিন হবো এমন কিন্তু আমরা কেউই চিন্তা ও করিনি। সবাইকে উদ্যোক্তা বানানোর চিন্তা ভালো কিন্তু সেই উদ্যোক্তা কে তো কোনো না কোনো ইকোসিস্টেম এর মধ্যে ঢুকে ব্যবসা করতে হবে, তার চেয়ে ও বড় কথা সবাই যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী কি থেকে আসবে? ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিক কে হবে? কুটির শিল্প দিয়ে এনজিও চালানো যায়, ফ্যাক্টরি কি চলে? আর আমাদের দেশের ইকোসিস্টেম এতো বড় না যে সেইটা এই দেশ কে হঠাৎ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তুলবে - তার জন্য অবশ্যই দেশের বর্ডারের বাইরে গিয়ে ব্যবসা করতে হবে। চায়না বা ইন্ডিয়া কিন্তু তাদের এই ইকোসিস্টেম নিজেদের এক্সপ্যাটদের কে দিয়ে তৈরী করে এখন দেশ থেকেই সাপ্লাই চেইন ধরে রেখেছে। আমাদের এই জায়গায় যাওয়ার আগেই পরের ধাপে চলে যাওয়াটা কি একটু নিজের পাখা কেটে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া না ?
পরিশেষে বলি আমি অর্থনীতিবিদ না বা রাজনৈতিক মত থেকে কোনো কথা বলি না। ছোটবেলা থেকে সত্য কে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলার অভ্যাস আমাকে অনেক সুবিধা যেমন দিয়েছে তেমনি অনেকের চক্ষুশূল হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। আমার সামান্য জ্ঞান থেকে আমার মনে হয়েছে এই জায়গা গুলো আমাদের জন্য এখনো জাতি হিসাবে কষ্টের একটা কারণ। আমরা নিজেদের কে নিয়ে অনেক কিছু চিন্তা করি কিন্তু তার পথে আমরা কেউ ই যেতে চাইনা , অথবা যাওয়ার পথটা খুঁজে পাইনা , অথবা হাল ছেড়ে দেই। আমি খুব পজিটিভ চিন্তা করি এই দেশ কে নিয়ে যা শুনে অনেকেই হাসে আর ভাবে আমি অলীক জগতে বাস করি - আমাদের সবাই লেখাপড়া করা কিন্তু শিক্ষিত কয়জন সেটা ও হিসাব করার সময় বোধহয় এখনই ! নাহলে আবার কেউ এসে আমাদের কে বলবে এটাই সত্য আর এটাই চিরন্তন - আর আমরাও কিছুদিন অন্ধের মতো চলে নিজেদের কে খুঁজে পাওয়ার জন্য চিৎকার করে নিজের কণ্ঠকে চিনতে পারবো না। নকশি কাঁথা ছেঁড়া হলেও ক্ষতি নাই - তার সেলাই এর মাঝে যেই মমতা টুকু আছে সেটা কে ধরে রাখাটা জরুরি নাকি সেটা ফেলে দিয়ে নতুন করে সেলাই করা জরুরি সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেন পুরো একটা জাতি !
-Scion , June 2025
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন