অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম একটু একটু করে লেখালেখি করি নিজের মত করে।কোন কারণে নয়, শখের বশে অহেতুক কিছু কথা লিখে জীবনের একটা দলিল করে রাখার মত আরকি...কিন্তু কিছুতেই আর হয়ে ওঠে না।সেটাই স্বাভাবিক কারন আমার মত অলস মানুষ কম ই আছে দুনিয়ায় ! অবশেষে একদিন শুরু করে দিলাম । মনের অনেক কথা , সামাজিক চিন্তা, নিজের মতামত কিংবা নিতান্তই আবোলতাবোল কিছু হয়ত লিখব। তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যেন কেউ আমার কথা তে আঘাত পেয়ে মাইন্ড না খায়...আমি কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান,দল, গোষ্ঠি, সমিতি, জাতি, গোত্র, ধর্ম বা শ্রেনীকে কেন্দ্র করে, উপেক্ষা করে, কটাক্ষ করে, আঘাত করে, উদ্দেশ্য করে, ইঙ্গিত করে বা উস্কানী দিয়ে কিছু লিখবো না। তারপর ও যদি কেউ যদি আমার কোন পোস্ট দ্বারা মানসিক, সামাজিক, চারিত্রিক, বাহ্যিক, আন্তরিক (!), আর্থিক বা শারিরিক (!?) ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে (যা জীবনেও সম্ভব না, হলেও মানবো না !) তাহলে তা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে বিবেচিত হবে কারণ এই ব্লগ শুধুমাত্র ভারসাম্যহীনদের ভারসাম্যের প্রচেষ্টামাত্র...
আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...
This is my mind dessert. After a while of time i feel keyboard hungry to express a few thoughts and now i think i can share them and preserve them as well. Might be one day this will become an asset for me.
Who am I ?
... no description fits me exactly. But i can say, i m always trying to find out what is the proper way to express myself and my thoughts. Like after the main course, u need a dessert... this is my mind dessert. Time passes on and so do my thoughts...i try to catch some of them and stick them here with letters, words, sentences and all other possible ways i know.
সায়ন আনজীর
২০১০।
২০১০।
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১০
জীবন সস্তা আমার দেশে...
আমি জানিনা আমাদের সার্কেলের মধ্যে কয়জন সক্রিয় অথবা নিষ্ক্রিয় জীবনের রাজনীতিতে, কিন্তু আমি একটি জিনিষ নিশ্চিত জানি আর তা হল আমাদের দেশে জীবন খুব ই সস্তা ! বিশ্বাস হচ্ছে না? আসুন দেখি বিশ্বাস করাতে পারি কিনা?
ধরুন কোন মার্ডার কেসের আসামী । একদম সরাসরি কুপায়া মারসে কাউকে...সমস্যা নাই। টাকা ঢালতে হবে কিছুটা...অন্য কোন লোক এসে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেই স্বীকার করে নিবে যে সে খুন করেছে।শুধু সে না, তার পরিবারের ১৪ জেনারেশন লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে স্বাক্ষ্য দেবার জন্য যে ঐ লোক ই খুন টা করেছে। কার মুল্য এখানে বেশি? যে খুন হয়েছে? যে খুন করেছে নাকি যে খুনী বলে স্বীকার করল?
দুই পক্ষের গুতাগুতি...।প্রতিপক্ষকে কেচকি মাইর দেওয়ার জন্য কোন পথ ই খোলা নাই।শুরু হয়ে গেল মারামারি...নিজের পক্ষের এক লোককে মেরে লাশ বানায়ে রটিয়ে দেওয়া হল অমুক মেরেছে ! আর যাবে কোথায়? কেস শেষ ?...না...হয় নাই শেষ ! প্রতিপক্ষ তুমুল উতসাহের সাথে আরেকটি পালটা লাশ জোগাড় করে শুরু করে দিল আবার নতুন করে...
পাবলিক ইউনিভারসিটির হল দখল হবে...।সারা রাত গোলাগুলি তে বাইরের কেউ ভেবে বসতে পারে আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল কিনা...সকালে অবধারিত ভাবে জানা যাবে কয়েকটি তাজা মেধাবী প্রান নাই। শুরু হবে এই লাশগুলো কে দলে ভিড়িয়ে মেধাবী তরুণ নেতা কিংবা উশৃংখল সন্ত্রাসী প্রমাণিত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কেউ একবারও ভাববে না ঐ পরিবারগুলোর কথা বা ঐ মানুষগুলোর ভবিষ্যতের কথা...না না ভুল বললাম। ভাবা হবে, কোন বিশেষ দিনে ঐ পরিবার গুলো কে সাহায্য দিবেন আমাদের কোন স্বনামধন্য ব্যাক্তি (প্রকৃত তদন্ত করলে দেখা যাবে উনিই এই লাশ হবার প্রক্রিয়া তে জড়িত ছিলেন !)। আর খুব বেশী সৌভাগ্যবান লাশ হলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ হতে পারে। যেটি বানানোর কাজ পাবার জন্য নতুন করে মারপিট শুরু হবে... সারা বছর যেখানে পোস্টার লাগানো হবে । কুত্তা সম্প্রদায় এক পা তুলে জল বিয়োগ করবে এর গায়ে । এর গায়ে হেলান দিয়ে সাইকেল রাখা হবে...
রাস্তায় ট্রাক-বাস এর ড্রাইভার দের কারনে চরম নাস্তিকের মুখ থেকেও ধর্মীয় দোয়া-মন্ত্র বেড়িয়ে আসে। চোখে ঘুম নিয়ে, গাঁজায় দম দিয়ে, বোতলে টান মেরে ঢুলুঢুলু নয়নে ড্রাইভাররা ভালই চালান বলতে বাধ্য হচ্ছি । তবে ভাইয়ারা, দোহাই লাগে কেউ ভুলেও কোনদিন কোন প্রফেশনাল ড্রাইভার কে পিসিতে এন,এফ,এস খেলতে দিয়েন না...রিয়েল লাইফ এন এফ এস তাদের যথেষ্ট ! স্টীমার-লঞ্চ এর কথা কি আর বলব? উনারা পারলে উনাদের কোলে করে হলেও যাত্রী নিতে রাজী আছেন । তবে অবশ্যি ক্রেডিট দিতে হবে আমাদের দেশের বিমান কে...কোন রিডিং ছাড়া, ফিটনেস এক্সপায়ার করা প্লেন নিয়ে আন্দাজের উপরে আমাদের পাইলটরা যেভাবে চালান সেটাকে হ্যাটস অফ ! বিমানের ট্যাগ লাইন হওয়া উচিত "ও আমার দেশের মাটি তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা..."
রিয়েল এস্টেট এর অবস্থা খুবই ভালো আমাদের দেশে । লাল এ লাল ! বিল্ডিং বানাতে উন্নত দেশে বালু-সিমেন্ট-রড ইত্যাদি লাগলেও আমাদের দেশ এদিক থেকে এগিয়ে আছে । আমাদের দেশের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের বেশীর ভাগই এই নতুন আবিষ্কৃত পদ্ধতিতে বিল্ডিং তৈরী করে থাকেন। এতে রড-সিমেন্ট কম লাগে...লাগলেও নিম্ন মানেরটা দিয়েই কাজ চলে। আর লাগে বালু !!! পিসার হেলে পড়া টাওয়ার এর মত তাই আমাদের দেশেও অনেক নতুন নতুন তাসের ঘরের মত টাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে...
ফল-সবজীওয়ালা আপনাকে আজ যা দিয়ে গেল তা কি আদৌ কি তা আপনি জানেন? উন্নত দেশে এগুলোকে ল্যাব স্পেসিমেন বলা হয়ে থাকে । বিভিন্ন ল্যাবে উনারা বিকার বা টেস্ফট টিউবে ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখেন স্পেসিমেন। আর আমরা খাই...মাশাল্লাহ আমাদের হজমি শক্তির বড়াই করতে পারি । চাউলের সাথে পাথর, মশলার সাথে ইটের-কাঠের গুড়া, মুড়ির সাথে ইউরিয়া, মোবিলে ভাজা চানাচুর তো খুবই নরমাল । কয়েকদিন পরে হয়ত দেখা যাবে কেউ বাজার এ গিয়ে বলবে - "এহ ! ছি ছি তুমি মশলাতে ইটের গুড়া দাওনি কেন? নিব না তোমারটা..."
ডাক্তার থেকে ইঞ্জিনিয়ার, উকিল থেকে শিক্ষক (যদিও শিক্ষক সরাসরি জড়িত নন !), সচিব থেকে কেরানি...কাকে দোষ দিব নিজেকে ছাড়া?
এই জন্য ই ত বললাম আমাদের এইখানে জীবনের দাম খুব কম, বিশ্বাস ত করলেন না। লাগবে নাকি কয়েকটা ? মাত্র ১০ হাজারে নামায়ে দিব...শুধু দেখায়ে দিয়েন কাকে...
সায়ন
ঢাকা
৩০/১২/২০১০
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন