Scion's MIND DESSERT
This is my mind dessert. After a while of time i feel keyboard hungry to express a few thoughts and now i think i can share them and preserve them as well. Might be one day this will become an asset for me.
Who am I ?
আপনাদের মন্তব্য, উপদেশ, আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, গালি, ঝাড়ি, ফাপড়, দাবড়ানি, স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে বাধিত করবেন...
২০১০।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
ছেঁড়া নকশি কাঁথা
বাংলাদেশ নতুন করে ৩৬ জুলাই ২৪ এ স্বাধীন হলো। অনেক রক্ত আর আন্দোলনের পর ১৫/১৬ বছরের রেজিম বিদায় নিয়েছে - অত্যাচার আর বঞ্চণার পর যেন এদেশে মানুষ নিজেদের কণ্ঠ নিজেরা শুনতে পেয়েছে অনেক বছর পর ...কিন্তু নিজেদের কণ্ঠ শুনে কেমন যেন নিজেরাই চমকে যাওয়ার মতো অবস্থা সবার !
এরপর সবাই জানি প্রফেসর ইউনুস দেশের হাল ধরেছেন সমন্বক দের অনুরোধ রক্ষা করে - ইন ফ্যাক্ট উনার নিজের ও ইচ্ছা ছিল সেটা অবশ্য অন্য আলাপ ! আমি নিজে একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে কি কি উপলব্ধি করলাম আর কি কি করা উচিত ছিল বলে মনে করি সেটা নিয়ে আমার এই ইতিহাসে লিখে রাখার চেষ্টা মাত্র সুতরাং একদম কড়া রাজনৈতিক বা জিয়োপলিটিকাল আলাপ এর দিকে না যাই ।
শুরুতেই বলি আমি নিজেকে নির্ভেজাল একজন সাধারণ নাগরিক মনে করি এবং এই কারণে আমার দেশত্ববোধ এবং জাতীয়তা নিয়ে আমি যেকোনো পরিস্থিতি তে কোন শর্ত ছাড়াই দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ফেলি। এক্ষেত্রে আমার দল মত বা ব্যক্তি কখনোই প্রাধান্য পায়নাই এবং পাওয়ার কোন সম্ভাবনা ও নাই।
আমার মত এ বাংলাদেশের মানুষ কে সন্তুষ্ঠ করা অনেক সহজ - শুধু তিনটি প্রধান চাহিদা - এক, খাদ্যের দাম কম হতে হবে, নিরাপত্তা থাকতে হবে (মানে হুটহাট করে একসিডেন্ট, ডাকাতি বা ছিনতাই হবে না) আর পরিশেষে আমাদের পাসপোর্টের দাম বাড়াতে হবে যেন এদেশের রেমিটেন্স যোদ্ধারা সহজে বিদেশ গিয়ে চাকরি করতে পারে। বাদবাকি সবকিছু নিয়ে এদেশের মানুষ খুব একটা ভাবে না অথবা মনে করে আমার ভাবার দরকার নাই - যদি না কেউ এসে জোর করে ভাবানোর চেষ্টা করে - মানে বাইরের শক্তির কথা বলছি ! আমাদের দেশের মানুষ এমনিতেই অনেক সহনশীল এবং তারা মনের ভিতর থেকে কুটিল নয় - নাহলে ৫ আগস্টের আশেপাশে যখন দেশে আইন বলতে কিছু ছিল না তখন ব্যাংক লুট, ডাকাতি, খুন দিয়ে ভরে যেত - কিন্তু সেই সময় এগুলো শুরু হলেও অরাজকতা বলতে যেই ব্যাপারটা পশ্চিমা দেশে ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলেই শুরু হয়ে যায় -সেটা ছিল না। এ থেকে ভালো করেই বোঝা যায় এদেশের মানুষ সাধারণত শান্তিপ্রিয় তথাপি তাদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করে যা সময় সময়ে তাদের কে উদ্বেলিত করে।এবার বলি ইন্টেরিম সরকারের অনেক কাজ ই প্রশংসার দাবিদার এবং তাদের কাজ এর ধরণ ও বেশ ভালো লেগেছে। অন্তত গিমিক হিসাবেও যদি এর ২৫% কাজ হয়ে থাকে আর সেটা যদি ধরে রাখা সম্ভব হয় সেটাও অনেক কিছু - কিন্তু এতো কিছুর পর ও কিছু জিনিস নিয়ে খুব বেশি খারাপ লাগা কাজ করেছে, হতে পারে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত অথবা আমার মতো কম বুদ্ধির মানুষের কাছে খারাপ লেগেছে -
প্রথমত পুলিশের ভূমিকা
যখন দেশে আগের রেজিমের নেতা হোতা রা ছিল তখন বুঝলাম পুলিশের কাজ অনেকটাই আজ্ঞাবহ লাঠিয়াল এর মতো করে যাকে তাকে ধরে বেঁধে পিটে হুমকি ধামকি দিয়ে দাবিয়ে রাখা ছিল। পছন্দের মানুষ দের জন্য সবকিছু মাফ ছিল। কেউ কেউ তো আবার ছিল একদম সবকিছুর উর্দ্ধে - তাদের কে ধরা তো দূরের কথা তাদের সাথে কথা বলার ও অনুমতি ছিল না সে যা খুশি করুক - দেশে তখন সবাই ভিআইপি আর সবাই কারো না কারো আত্মীয় ! কিন্তু ৩৬ জুলাই এর পরে তো পুলিশের অবস্থান নিজেদের কীর্তিকলাপ এর জন্য মাটিতে মিশে যায় আর তারা বেশিরভাগ ই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে - অনেকে পালিয়ে যায় আবার অনেকে জীবনের মায়ায় লুকিয়ে থাকে বা যতটুকু সম্ভব আড়ালে থেকে দেখতে থাকে আসলে কি হচ্ছে। কিন্তু যখন বা যেদিন থেকে পুলিশ আবার তাদের পোশাক পরে রাস্তায় বের হওয়া শুরু করে তখন থেকে তাদের আবার মানুষ একটু হইলেও সম্মান দেওয়া শুরু করে - মানুষ বুঝতে পারে এখন যারা পোশাক পরে রাস্তায় বের হয়েছে আর যাই হোক তারা আগের সময়ের সেই নষ্ট গ্রূপ টার অংশ না। কিন্তু সেই বাহিনী কি আসলেই তাদের নতুন করে শুরুটা ভালো করে সম্মান ধরে রেখে কাজ করছে? তাদের তো উচিত ছিল এই সময়ে নিজেদের মর্যাদা ধরে রেখে মানুষের পাশে নাহোক অন্তত আইনের কাজ গুলো করে যাওয়া কিন্তু আদতে তারা যেখানেই কোন কিছু দেখেছে সেখান থেকে আরো দূরে সরে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করে গেছে। তাদের কেউ কেউ আবার এই সময়ে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর কাজে নেমেছে, কেউ কেউ আবার হবু নেতা দের সাথে সেই পুরাতন রেজিম স্টাইলে একই মডেল এ সেফ থাকার কাজ করেছে। মাঝে থেকে আমজনতা আবার সেই একই গন্ধ পাচ্ছে।ধরে নিলাম ঘুষ খাওয়া কমেছে ! এটা ভালো দিক - কিন্তু কথা হলো ধরুন আপনি কোনো সঠিক কাজের জন্য হয়রান হয়ে শেষে ঘুষ দিয়ে rightful থাকার পর ও কাজ টা করিয়েছেন বনাম আপনি ঘুষ ও দেন নাই বলে অনেক গর্বিত বোধ করছেন এবং সেটা নিয়ে প্রচুর আলাপ আলোচনা করে ফাটিয়ে ফেলছেন কিন্তু আবার আপনার কাজ ও হয় নাই , এই দুইটার মধ্যে আপনি কোনটা কে প্রাধান্য দিবেন? পুলিশের ক্ষেত্রে তাদের নিজেদের কে নতুন করে জন্ম দেওয়ার একটা এতো সুন্দর সুযোগ জীবনে আর আসবে বলে মনে হয় না, তাহলে কেন আবার এমন হলো সেইটা কি ভেবে দেখা দরকার না? সম্ভাবনা বা কারণ অনেক থাকতে পারে কিন্তু সবথেকে ভয়ংকর কারণ হবে যদি এইটা বের হয় যে পুলিশের এখনের সদস্যরা ইচ্ছাকরে এইসব করছে। তারা তাদের "খাইসলত" বদলাবে না, শুধু কার লাঠিয়াল হয়ে থাকবে সেটা যেহেতু চেঞ্জ হবে তাই বসে বসে সময় পার করতেসে নতুন "বস" এর আশায়?এইটা হলে যত সংস্কারই আসুক না কেন আপনি ধরে নিন আবার আরেকটা রেজিম তৈরির পথ হচ্ছে - যেটা আরো ভয়ংকর হবে কারণ এই নতুন রেজিম কে কন্ট্রোল করবে যারা এখন ভালো মানুষের মুখোশে আছে আর তারা উল্টা বলবে আমরা তোমাদের কে এই অবস্থান এ এনেছি - তোমরা যদি পতন না চাও আমরা যা যেভাবে বলি মেনে নাও !
সেবা খাত
এই জায়গায় আমরা বরাবরই খুব দুর্বল এবং সেটা আজকে থেকে না -অনেকদিন থেকেই। মাঝে আমরা যা কিছু একটু উন্নতি করেছিলাম তা যেন আবার আমাদের নিজেদের কারণেই নাই হয়ে গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিপক্ষের চাপে আমরা নিজেরাই যেন নিজেদের কে এই একটা জায়গায় বিশ্বাস করতে পারছিলাম না - আমার মনে হয় এখনো পুরোপুরি করি না !। আগের রেজিমের অনেক চটকদার ও মানবকল্যান এর জন্য ভালো ভালো ইনিশিয়েটিভ নিয়েছিল কিন্তু এক এক করে তার সব এ বন্ধ হয়ে যায় তা দেখে বোঝা যায় এগুলো আসলে টাকা মারার ধান্দা ছিল, মানুষের কল্যাণের জন্য না। উদাহরণ হিসাবে বলি, ওয়াই ফাই যুক্ত বাস, ঢাকার জন্য সার্কুলার নৌপথ এ ওয়াটার বাস, নারীদের জন্য বাস, অনলাইনে জিডি করা, ট্রাফিক লাইট, পথচারী পারাপার এর জন্য বাটন যুক্ত সিগন্যাল, নাগরিক সেবা বা অভিযোগের জন্য নগর app , স্কুলের শিশুদের জন্য পাঠ্যবই এর অনলাইন ভার্সন এমন হাজারো কিছু !!! কয়টা উদ্বোধনের পর খুঁজে পাওয়া গেসে? বেশির ভাগ ই বিভিন্ন সরকারি বিভাগের বাজেট খোর দের তৃপ্তি মিটিয়ে ধুঁকে ধুঁকে হয় শেষ হয়ে গেছে অথবা মানুষ ভুলে গেছে। কিন্তু এই জিনিসগুলো যে আসলেই কাজের এবং মানুষের কাছে যে এইসবের চাহিদা ও আছে সেটা আবার ঠিক ই প্রাইভেট সেক্টরে দেখা যায়। খেয়াল করে দেখবেন এখনো অনেক আগের কোনো সার্ভিস প্রাইভেট সেক্টরে চালু আছে যেটা হয়তো আপনি খুব ঠেকায় না পড়লে ব্যবহার ই করেনা না। খুব কম এফোর্ট দিয়ে এই সরকার চাইলেই এই বসে থাকা জিনিসগুলো চালু করে মানুষের সেবা দিতে পারতো। উদাহরণ দেই আবার - এখনই ঢাকা তে কম খরচে নারীদের জন্য বাস চালু করতে পারে - একটা দুইটা না বরং অনেকগুলো চালু করতে পারে , সেই বাসের হেলপার নারী হবে আবার সেই বাসের কারণে শহরে ঘা পাঁচড়া হিসাবে ব্যাটারি টেসলার পরিমান কমিয়ে আনার কাজ ও করে ফেলতে পারতো, এক চান্সএ বিআরটিসির পচে যাওয়া দুর্নীতির রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বড় সংখক বাস প্রকৃত পন্থায় চলাচল করার সুযোগ তৈরী হতো ! এই একই পদ্ধতি তে ঢাকার সব বড় স্কুল গুলোকে বাধ্যতামূলক স্কুল বাস চালু করার কাজটাও করে ফেলতে পারতো - রাস্তায় রাস্তায় ধনীর দুলাল ও দুলালী দের জন্য অপেক্ষমান গাড়ি দিয়ে জ্যাম কমে আসতো - আবারো টেসলার দৌরাত্ম কমতো - দৈনন্দিন যাতায়াতের খরচ ও যন্ত্রনা কমে আসতো। এখন যারা নীতি নির্ধারক আছেন তাদের তো জনপ্রিয় হবার দরকার নাই যে আবার সামনের ইলেকশনে জিততে হবে ! তারা নীতি করেই খালাস হইলেও হবে না - সেগুলো কে কাজে লাগাতে হবে এবং কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সেটাও নজর রাখতে হবে।মানছি বাজার দর ধরে রাখার জন্য তাদের যে তদারকি এবং চেষ্টা সেটা অনেকটা কাজে দিয়েছে কিন্তু তার পাশাপাশি অন্য জায়গা গুলোতেও তো তদারকি প্রয়োজন ! এইটুকু করার জন্য তারা তো আর নিজেরা করবেন না - তারা করবেন তাদের ডিপার্টমেন্ট দিয়ে ! কোনো জায়গায় যদি কোনো উপদেষ্টার কাজ করার দক্ষতা বা আয়ত্বে আনার ক্ষমতার কমতি দেখা যায় তাহলে তাকে বাদ কেন দেওয়া হবে না? এমন তো না যে উপদেষ্ঠা বলে তার ভুল থাকতে পারবে না বা তার ভুল কাজের ব্যাখ্যা কেউ চাইতে পারবে না , আদতে তাদের কাজ ই তো এই বৈষম্য দূর করে সংস্কার করা !
পররাষ্ট্র
এই একটা জায়গায় আমরা গত ১৫/১৬ বছরে এমন পিছিয়ে গিয়েছি যে এখন আমাদের কোনো পররাষ্ট্র নীতি আছে বলেই মনে হয় না ! অবস্থা এমন হয়েছিল আমাদের পররাষ্ট্র নীতি করার জন্য প্রথমে আরেক দেশের সাথে দেনদরবার করা লাগতো। ভারতপন্থী, পাকপন্থী, চীনপন্থী, মার্কিনপন্থী এতসব পন্থীর মাঝে আমাদের বাংলাদেশপন্থী আর কেউ নাই - আসুন এবার ভাবি আমাদের কি সম্পদ আছে সেটা নিয়ে কারণ পররাষ্ট্র নীতি কাজ করে কি দিবে আর কি নিবে এইটার উপরে। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি যেই সম্পদ তা হলো মানুষ ! এই মানুষ গুলো কে একসময় আমরা বিদেশে বিভিন্ন পেশা তে নিয়োগ দিতাম, আর সেই থেকেই আজকে আমাদের রেমিটেন্স একটা অনেক বড় শক্তি। এখন এই জায়গায় আমরা প্রায় শূন্যের ঘরে। আমাদের দেশের পাসপোর্ট বিভিন্ন দেশে এখন রীতিমতো অস্পৃশ্য !!! আমাদের কে কাজে নিয়োগ দেওয়া তো দূরে থাকুক আমাদের কে এয়ারপোর্ট ই পার না হতে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মনে রাখা উচিত এই দেশের পুনর্জন্মের অনেক বড় ভূমিকা এদেশের প্রবাসী ভাইরা যারা দেশের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে রক্ত ঘামের প্রতিদানে যা পান তা এই দেশের জন্য বৈধ রাস্তায় পাঠিয়ে অবদান রাখার ও চেষ্টা করেন ! আজকে আমাদের দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের সুনাম এশিয়া ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের দেশের নার্স আর কেয়ার গিভার রা ইউরোপে সুনাম কুড়াচ্ছে কিন্তু তার সব ই নিজেদের যোগাযোগএ বা দৈবক্রমে !!! আমাদের এই বিশাল সম্পদ আমরা বাইরের মাটিতে ব্র্যান্ড হিসাবে প্রমোট করি নাই। এইটা আমরা বুঝিনাই যে দেশের বাইরে আমি আম্মা লীগ বা বিম্পি বিদেশ শাখা খুলে বিভেদ না করে সবাই এক সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে আছি এই ঐক্যটা বেশি দরকার। আর দরকার আমাদের পাসপোর্ট টা কে একটু মর্যাদা দেওয়া। আমাদের দেশের কর্মীদের বাইরের দেশে কর্মঠ আর বিশ্বস্ত হিসাবে যে সুনাম টা আছে টা কে প্রমোট করে সামনে নিয়ে আসা। দেশের অনেক বড় একটা অংশ বেকার - যাদের অনেকেই হতাশায় ভুগে অথবা বড় কিছু করার আশা তে ফটকাবাজ দের সাথে হাত মিলায় বা তাদের শিকার হয়ে আরো হতাশায় পরে !!! আউটসোর্সিং এর মূল ঝুলায়ে, স্টার্টআপ এর নাম করে, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এর পুঁজি মেরে আমরা সত্যিকার অর্থে তেমন কিছুই করি নাই শুধু একটা সংখ্যা বাড়ানো ছাড়া !আজকে আমার দেশে বিদেশী vloger এসে ভিডিও করে করে এই দেশের কোটি কোটি ভিউ পেয়ে ব্যবসা করে চলে যাচ্ছে শুধু মাত্র আমাদের মানুষ এতো বেশি তাই সংখ্যাটা বড় হইতেসে বলে। এই বিশাল অংশের একটা ছোট অংশ কেও যদি বাইরে পাঠানো যায় তারা আমাদের জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আসবে।দিনশেষে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের এখনো চক্ষুলজ্জার কারণে দেশে ছোটকিছু করার থেকে বিদেশে ছোটোকিছু করার আগ্রহের কমতি নাই। আমার মত হলো আমরা যে বিশ্বের বুকে দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি এক্সপোর্টার কোনোদিন হবো এমন কিন্তু আমরা কেউই চিন্তা ও করিনি। সবাইকে উদ্যোক্তা বানানোর চিন্তা ভালো কিন্তু সেই উদ্যোক্তা কে তো কোনো না কোনো ইকোসিস্টেম এর মধ্যে ঢুকে ব্যবসা করতে হবে, তার চেয়ে ও বড় কথা সবাই যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী কি থেকে আসবে? ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিক কে হবে? কুটির শিল্প দিয়ে এনজিও চালানো যায়, ফ্যাক্টরি কি চলে? আর আমাদের দেশের ইকোসিস্টেম এতো বড় না যে সেইটা এই দেশ কে হঠাৎ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তুলবে - তার জন্য অবশ্যই দেশের বর্ডারের বাইরে গিয়ে ব্যবসা করতে হবে। চায়না বা ইন্ডিয়া কিন্তু তাদের এই ইকোসিস্টেম নিজেদের এক্সপ্যাটদের কে দিয়ে তৈরী করে এখন দেশ থেকেই সাপ্লাই চেইন ধরে রেখেছে। আমাদের এই জায়গায় যাওয়ার আগেই পরের ধাপে চলে যাওয়াটা কি একটু নিজের পাখা কেটে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া না ?
পরিশেষে বলি আমি অর্থনীতিবিদ না বা রাজনৈতিক মত থেকে কোনো কথা বলি না। ছোটবেলা থেকে সত্য কে সত্য আর মিথ্যা কে মিথ্যা বলার অভ্যাস আমাকে অনেক সুবিধা যেমন দিয়েছে তেমনি অনেকের চক্ষুশূল হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। আমার সামান্য জ্ঞান থেকে আমার মনে হয়েছে এই জায়গা গুলো আমাদের জন্য এখনো জাতি হিসাবে কষ্টের একটা কারণ। আমরা নিজেদের কে নিয়ে অনেক কিছু চিন্তা করি কিন্তু তার পথে আমরা কেউ ই যেতে চাইনা , অথবা যাওয়ার পথটা খুঁজে পাইনা , অথবা হাল ছেড়ে দেই। আমি খুব পজিটিভ চিন্তা করি এই দেশ কে নিয়ে যা শুনে অনেকেই হাসে আর ভাবে আমি অলীক জগতে বাস করি - আমাদের সবাই লেখাপড়া করা কিন্তু শিক্ষিত কয়জন সেটা ও হিসাব করার সময় বোধহয় এখনই ! নাহলে আবার কেউ এসে আমাদের কে বলবে এটাই সত্য আর এটাই চিরন্তন - আর আমরাও কিছুদিন অন্ধের মতো চলে নিজেদের কে খুঁজে পাওয়ার জন্য চিৎকার করে নিজের কণ্ঠকে চিনতে পারবো না। নকশি কাঁথা ছেঁড়া হলেও ক্ষতি নাই - তার সেলাই এর মাঝে যেই মমতা টুকু আছে সেটা কে ধরে রাখাটা জরুরি নাকি সেটা ফেলে দিয়ে নতুন করে সেলাই করা জরুরি সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেন পুরো একটা জাতি !
-Scion , June 2025
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
দিন শেষে মাছি পাশে থাকে
পদ্য ?
অসুস্থ প্রজন্ম জীবন শেখে টিভির আয়নায়
কাল কেয়ামত হলে লাইভ হবে কোন চ্যানেলে
যুক্তি যেখানে মুখ লুকায় ক্ষমতার ছায়াতে
সেখানে বাসমতী চাউলের সুঘ্রান কুকুর ছাড়া কেউ পায়না
দম্ভ আর নিজের দিকে আলোকিত করার তীব্রতা
ঝাঁজরা করে দেয় বিবেকের অথর্ব গম্ভীরতার কাঁচ
সবাই দৌড়ায় কে কাকে ধাক্কা দিয়ে এক পা সামনে থাকবে
রক্ত আর ধুলার জমাট কাদায় পা ডুবিয়ে চাটুকারের দল
সম্মান আর শ্রদ্ধা যুদ্ধ করে স্বার্থের সাথে
নির্বিকার দাড়িয়ে থাকে সভ্যতা আপন শান্তির বিনিময়ে
দিনশেষে
একঝাক ভনভনে মাছি থাকে পাশে, দিন শেষে...
-সায়ন
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২
Pipeline of CEOs
কয়েকদিন আগেই দেখলাম ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত সিইও দের কে নিয়ে অনেক লাফ ঝাপ দেওয়া হল। অনেকে অনেক কথা বললেও একটা বেসিক কথা কিন্তু ঠিকই উঠে এসেছে... শিক্ষার মান!!!
হঠাত এই কথা বলার মানে আর কিছুই না, সিলেটে আমাদের দেশের গর্বের স্থান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন। অবাক করার বিষয় হল, আপাত দৃষ্টিতে এটা অনেক নবীন একটা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু সেই তুলনায় আন্দোলনের দিক থেকে অনেক এগিয়ে। অনেক প্রতিবাদ আর প্রগতির আইডল হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এরা। কেন? বারবার ওরাই কেন? তুলনামূলক ভাবে শিক্ষাগত দিক দিয়ে পশ্চাতপদ জনপদের মাঝখানে কিভাবে এরা এমন একটা সামনের সারির সুনামধারী বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা আস্তে আস্তে দখল করে নিল? কারন অনেকগুলো। নবীন হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ মানুষের চোখ খোলা (আবার অনেকে কাঠের চশমা পরে ক্ষমতার লোভে চাটাচাটি করে, কিন্তু সেটা খুব কম)। তারা অনেক আগে থেকে ঘরে বসেও দুনিয়া দেখা আয়ত্ব করা শিখে গিয়েছে। সাথে সাথে সেইটাকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে কেরিয়ার আর বিজনেস সেন্স কিভাবে মনেটরি কনভারশন হবে তা-ও বের করে ফেলেছে। তাদের সাথে চুদুর বুদুর করে পার পাওয়া মুশকিল। অন্যান্য জায়গায় শ্লোগান দিয়ে হেলমেট পরায়া লেলিয়ে দিয়ে কাজ হলেও এখানে এভাবে কাজ হয়না। কারন যারা নেমে যাবে তাদের পাশে পাশে হেল্মেট পড়া ছেলেটিও ভাবে নিজের ৪ বছর পরের অবস্থানের জন্য গ্রেটার স্বার্থ কোনটা।
না আমি এখানের ছাত্র ছিলাম না। কিন্তু আমার অনেক peer আর বন্ধু network এর কল্যানে এখানের অনেক কিছুই আমার জানা।
কিন্তু আসল কথা অইখানে না, আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল আমার প্রথম লাইনটা নিয়ে কথা বলা। আমরা খুব বড় বড় কথা বলি। আমাদের দেশের অনেক লোক বড় বড় জায়গায় আছে... বুঝলাম। তাদের কয়জন আমাদের দেশে পড়াশুনা করে অইখানে অই বড় জায়গায় গিয়ে বসছে? মাথা চুল্কায়া চল্টা তুলে ফেললেও কয়টা বের হবে জানি না। আমাদের সরষের মধ্যে ভুত কে তাড়াবে?
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারে যাদের কে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে তার থেকে যোগ্যতম প্রার্থীকে সাদা দল, লাল দল, হলুদ দল ইতং বিতং এর কারনে নেওয়া হয়নি? অমুকের আত্মীয়, তমুকের শালা আর অমুক দলের প্রাক্তন নেতার ভীরে কয়টা পড়ুয়া ভাল ছাত্রের ঠ্যাকা পরসে ধাক্কাধাক্কি করে শিক্ষক হওয়ার? তার চেয়ে বাইরে বা বিদেশে যাওয়া তার জন্য obviously better option ! কেউ কেউ logic দাড় করায়ে দিবে, ভাল ছাত্র হলেই ভাল শিক্ষক না... জ্বি ভাই, তাদের জন্য বলি... ধরেন কালকে বাংলাদেশের দিকে একটা ধুমকেতু ছুটে আসতেসে! হাতে ২৪ ঘন্টা সময়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশ উপায় দিতে করতে রাজি না। আমাদের একমাত্র বাঁচার রাস্তা বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে ধুমকেতু কক্ষপথে নিয়ে এসে intercept করে বাঁচা। এখন এই কক্ষপথে আনার দ্বায়িত্ব কি আপনি আত্মীয় বা শালা কোটাতে আসা শিক্ষক কে দিবেন না ক্লাসের ফার্স্ট বয়টাকে দিবেন? (মুফতে সেই একটা সাই-ফাই সিনেমার প্লট দিয়ে দিলাম ...) যান আরো সহজ করে দেই... আপনার খুব জটিল একটা সার্জারি করতে হবে... আপনার অপশন শালা কোটা তে পাশ করা ডাক্তার আর সেই ক্লাসের ফার্স্ট বয়... (ইন্সুরেন্স এর নোমিনি পাল্টায়ে নিয়েন...)
আমাদের entire supply chain এই সমস্যা! পাশের দেশ যখন আইটি outsourcing, call center, back office নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা কি নিয়ে লাফাই? লাখ টাকার App কে ফুলিয়ে ফাপিয়ে শত কোটিতে নিয়ে গিয়ে সেটার বাজারের উপকারীতার screen saver (পড়েন মিথ্যা আশ্বাস) দেখিয়ে ফান্ড বের করার চিপা খুঁজতে। ধুমায়া বড় বড় বিল্ডিং ঝা চকচকা করে দাড় করিয়ে গাল্ভরা আইটি ঘেষা নাম দিয়ে ঘোষণা দিতে, যেন মানুষ মনে করে ওররে বাপ্রে এইটা না জানি আইটির কত কিছু করতেসে!!! এসব অনেক পরের step! বলতেসি না যে কাজের না, কিন্তু এই মুহূর্তে এইগুলার আসলেই কাজ নাই। উদাহরন দেই, আমাদের দেশে proper coder or programmer বের হওয়ার কোন pipeline এখন পর্যন্ত তৈরি হয় নাই। যারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে programmer or coder হয়ে বের হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আসে তারা বেশির ভাগই self taught. হ্যা, অংক করার জন্য রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া আর অংক নিয়ে পরে থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু আমার কথা হল, যারা শ্রমিক হিসাবে কাজ করবে (code/program writer) তাদের স্কুল কয়টা? বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা ছেলেটা নিজেকে programmer এর চেয়ে programmer দের manager হওয়ার জন্য বেশি আগ্রহি। তাহলে আমাদের সেই manager এর নিচের স্তরের মানুষগুলোর সাপ্লাই চেইন কই? মার্কেটিং এ পাশ করা ছেলেটা বাজারে ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে চমক দেখানো ATL করার জন্য মুখিয়ে থাকে কিন্তু আদতে মার্কেটে তার কোন রূটের কোন ডিলার কোন প্রোডাক্ট কোন shelf এ কতদিন কেন রাখছে সেইটা সে জানে না। জানেনা তার ROI কতদিনে আসবে আর আসলেও আদৌ তার কতটুকু মনেটরি আর কতটুকু ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসাবে?
ফিল্টারের পর ফিল্টারিং হওয়া এইসব ছাত্ররা অনেক কিছু জানে, কিন্তু ওদের কে সামনে এগিয়ে bigger picture পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পথের mentor ই যদি ঠিক না থাকে তাহলে আর multinational giant এর সিইও নিয়ে কথা বলার জন্য কয়েকদিন পরে দেশি company-র manager ও তৈরী হবে না। নাকি এভাবে step by step মেধা কে ছাঁচে ফেলে ঠুলি পরেই এগিয়ে যাবে সবাই?
সায়ন
২৭ জানুয়ারী ২০২২
মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
ঘি সয় না !!!
এটা নিয়ে অনেকবার বলেছি, আবারো বলি – আমাদের দেশের মানুষ
কিছু কিছু জিনিষ deserve করে না। সুতরাং শুধু শুধু সেগুলোতে খরচ না করে আমাদের মত আমজনতার
ট্যাক্সের টাকা আরেকজনকে মুফতে গোগ্রাসে খাওয়ার scope বানানো বন্ধ করা উচিত।
যদি উদাহরন দেই, ট্রাফিক সিগ্ন্যালের বাত্তি !!! আজ পর্যন্ত
দেখলাম না এইগুলাকে ঠিকঠাক মত ব্যবহার করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন করতে। উলটা এমন দেখসি
যে লাল বাত্তি দেখে দাঁড়ায়ে পড়া confused driver কে ট্রাফিক পুলিশ ঝারি মারতেসে ফাঁকা
রাস্তায় দাঁড়ায়ে পরসে কেন? এর পাশাপাশি এইগুলার কারেন্টের খরচ, যখন তখন নিজেদের মনের
ইচ্ছামত জ্বলে আর নিভে। আবার এইগুলাকে নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন ও দেখি করা হয়। রাস্তার
একপাশ আটকায়ে ক্রেন লাগায়ে এইগুলা কে align করা হয়, রঙ করা হয়, ঠিকমত জ্বলতেসে কিনা
চেক করা হয়!!! আদতে এইগুলাকে চাইলে বিয়া বাড়ির ডেকোরেশনের কাজে ভাড়া দিলেও কাজে আসতো…
লাল, হলুদ, সবুজ নিজে নিজে জ্বলে একটা হাল্কা ডিজে ডিজে ভাব নিয়ে আসতো ! আমরা চাইলে
কিন্তু বলতে পারি, আমরা wireless traffic signalling যুগে প্রবেশ করেছি। আমাদের দেশে
বাচ্চাদের কে স্কুলে পড়ানো হবে, বলত বাবু, ট্রাফিক লাইট কাকে বলে? বাবু উত্তর দিবে-
কোন এক কালে এদেশের রাস্তাঘাটে একধরনের লাইট দেখা যেত যার কোন কাজ ছিল না… ক্যান্টনমেন্ট
বাদে এদেশের এমন কোন জায়গা দেখানো সম্ভব যেখানে ট্রাফিক লাইট মানা হয়? যদি না-ই হয়,
তাহলে এগুলো রাখা হইসে কি দেশ হিসাবে status symbol হিসাবে? আমরা আসলে এগুলোর যোগ্য
না।
আরেকটা জায়গা… BRTC…এই এমন একটা জায়গা যেখানে দুনিয়ার বড়
বড় waste disposal কোম্পানি গুলোর হোমরাচোমরা বড় কর্তারা এসে পায়ে পড়ে থাকে একটা এপয়েন্টমেন্ট
এর জন্য… বড় বড় নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের ওয়েস্ট ডিস্পোজাল এক্সপার্টরা এসে নিয়মিত
কান্নাকাটি করে… এর এক্টাই কারন, এইখানে যা ই দেওয়া হোক, তা নাই হয়ে যায়। আপনি ভল্ভো
আলেকজান্ডার দেন আর দাইয়ু দেন কোন লাভ নাই। প্রতি বাস মাত্র কয়েক সপ্তাহ ঠিকমত চলতে
পারবে বড়জোর! তারপর থেকেই এটা নাই, ঐটা উধাও, এইটা বসা, ঐটা খসা… অনেকটা ব্ল্যাকহোলের
মত… হা করে আছে বাইরে থেকে যা আসবে ক্যোঁৎ করে গিলে খাবে! অন্যান্য কোম্পানী লাভের
উপরে লাভ করে মাসের পর মাস নিজেদের সেম বাস দিয়ে কোয়ালিটি সারভিস দিচ্ছে আর BRTC সেম
জিনিষ নিমেষে ধ্বংস করে ফেলতেসে। আমার মনে হয় যখন কোন নতুন বাস ডিপোতে ঢুকে তখন কসাই-র
ভাগাভাগি স্টার্ট হয়ে যায়, সিনাটা অমুক সাহেবের, সামনের রান অমুক ভাইএর, কলিজাটা তমুকের…
সেরকম, ইঞ্জিন হেড অমুক স্যারের, টায়ারগুলা তমুক ভাইয়ের, সামনের গ্রিলসহ লাইটগুলা তমুকের…
প্রতি বছর এরা লোকসান দিয়ে যাচ্ছে, প্রতিবছর নতুন বাসের হয় চাহিদা নাহলে চালান আসতেসে,
প্রতিবছর সাংবাদিক আর বুদ্ধিজীবিদের ক্ষোভ আর হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে, প্রতিবছর ওখানের
কর্মকর্তা/কর্মচারী দের পকেটে অঢেল টাকা ঢুকতেসে!!! এদের কে সোজাসুজি বন্ধ করে দেওয়া
উচিত! আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এমন চোরের সিন্ডিকেট পোষার দরকার কি? এর চেয়ে এই
বছর বছর ৩০০/৪০০ বাস না এনে এই বাজেট রেল+নৌ পথে উন্নতির জন্য ব্যবহার করা যাক। সড়কের
ত উন্নয়ন হচ্ছেই, BRTC পোষার যুক্তিকতা কতটুকু?
আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি কোন ইভেন্ট টা হয় জানেন? না জানলে
বলে দিচ্ছি –
উদ্বোধন !!!
সকালে অমুক উদ্বোধন, ত বিকালে তমুক … এক-ই মানুষ ও দেখা যায়
অনেক জায়গায় অনেককিছু উদ্বোধন করে যাচ্ছেন। আজ "নিখিল বাংলাদেশ আলুপ্রেমী সমিতির" উদ্বোধন
ত কালকে সেই লোক-ই "বাংলাদেশ আলু ঠেকাও আন্দোলনের" উদ্বোধনে হাজির। প্রচুর প্রচুর উদ্বোধন
চারদিকে, কিন্তু এরপর এগুলোকে কয়জন দেখে? কয়জন আসলে এই উদ্বোধন হওয়া “ব্যাপারটার” সুবিধা
ভোগ করেন? হ্যা, একেবারে যে সুবিধা দিচ্ছে না তা বলি নাই (সুরম্য পাবলিক টয়লেটগুলো এর খুব সুন্দর উদাহরন) , কিন্তু বেশিরভাগ-ই দিচ্ছে
না এইটা বলেছি। ঢাকার বাসে Wifi সুবিধা… মহিলাদের জন্য আলাদা বাস… পথচারিদের রাস্তা
পার হওয়ার জন্য বিশেষ বাটন লাগানো সিগ্নাল বাতি…ভ্রাম্যমান পাবলিক টয়লেট... মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা… চক্রাকার নৌপথ…
ডেমু ট্রেন… নাগরিক সুবিধা-অসুবিধা app… নির্ধারিত রাস্তা ছাড়া রিকশা না চলাচল... কাওরানবাজার মাছের আড়তের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাস্তা খালি করে দেওয়া... মহাসড়কে অটোরিকশা না চলাচল... ট্রেনের ছাদে ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা... বাংলাদেশের এমাজন+জেফ বেজোস... থুক্কু... কতকিছু শুধু আসলো মহা সমারোহে… গায়েব হয়ে গেল
একদম কম সময়ে কোন আওয়াজ না করে ! কতকিছুর “নতুন দিক উন্মোচন” হল… কতকিছু “নতুন আশা”
জাগালো… কিন্তু দিনশেষে???!!!
এজন্য-ই এই হতাশা, আগে দেখি নিজের এখন পর্যন্ত কি আছে? সেগুলোকে
কি আমরা ঠিক মত utilize করতেসি? ধরি প্রথম যে উদাহরন টা দিলাম, ট্রাফিক পুলিশ হাত দিয়ে
কন্ট্রোল করছে করুক, তাদের কে একটা wireless remote তৈরি করে দেই, যেটা দিয়ে
manually তারা এই লাইটগুলোকে control করবেন, তাহলে ত আস্তে আস্তে লাইটের ব্যবহার টা
inject হতে থাকবে সবার মনের ভিতরে এবং চালকের অবচেতন মনেও, এক সময় সেটাই চালু হয়ে যাবে… অনেকটা বাইকের হেলমেটের মত।
৫০ বছর ত পার হয়ে গেল, এখনও যদি আমাদের মুরুব্বি অভিভাবকেরা
মনে করেন show off করেই চলতে পারবে আর নিজে যা বুঝে সেটাই ঠিক, তাহলে কপালে গালাগালি,
দল থেকে বহিস্কার, সম্মানহীন ঝরে পড়া ছাড়া আর কোন ভবিষ্যত তাদের জন্য নাই। দেশটা উনাদের
কাছে অনেক আশা করে, আমরা আমজনতা আজ এই আশা ব্যাপারটাই ছাড়তে শিখলাম না বলে…
সায়ন
১৯ অক্টোবর ২০২১